৫৫০ টাকায় মিলছে গরুর মাংস
- আপডেট সময় : ০৯:২৬:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৩ ৮৫ বার পড়া হয়েছে
পুরান ঢাকার লালবাগের নবাবগঞ্জ বাজারে প্রায় সপ্তাহজুড়ে তুলনামূলক কম দামে মিলছে গরুর মাংস। দোকানিরা অনেকটা হাঁকডাক দিয়ে বিক্রি করছেন মাংস। ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণে ঝুলিয়েছেন ব্যানারও। কেউ কেউ হ্যান্ডমাইকে সুর তুলে ডাকছেন ক্রেতাদের। দোকানগুলেও দেখা গেছে ক্রেতাদের ভিড়।
শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) বাজারে গিয়ে দেখা যায়, অন্তত চারটি দোকানে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টকায়। পাশের দুই দোকানে বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ টকায়। নবাবগঞ্জ বাজার থেকে বের হয়ে নবাব বাগান মসজিদ সংলগ্ন আরেকটি দোকানে মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টকা দরে। যদিও বেলা ১১টা পার হতেই দোকানটিতে মাংস বিক্রি শেষে হয়ে যায়।
অন্যদিকে রাজধানীর নিউমার্কেট, কাটাবন বাজার ঘুরে দেখা যায়, আগের মতো ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস। এসব দোকানির দাবি- মাংসের মান বিবেচনায় দাম উঠানামা করে। যে কারণেই দামের এমন পার্থক্য।
নবাবগঞ্জ বাজারে মাংস বিক্রিতা নাদিম হোসেন জানান, রাজধানীর অন্য বাজারে যেখান থেকে মাংস আসে। আমরাও সেখান থেকেই মাংস এনে বিক্রি করি। মানের দিক থেকে কোনো পার্থক্য নেই। তার দোকানে মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ টাকা দরে।
দাম কমার কারণ জানতে চাইলে পাশের আরেক দোকানি ফারুক জানান, দীর্ঘদিন বাজারে গরুর মাংস ৮০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। একটা সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছিল। যে কারণে বাজারে বিক্রি অর্ধেকে নেমে আসে। যার প্রভাবে খামারগুলোতে গরু বাড়তেই থাকে। জায়গা সংকুলান হচ্ছে না। বর্তমানে খামারিরা বাধ্য হয়েই খামারে গরু কমাচ্ছে। যে কারণে কিছুটা কমে মাংস পাওয়া যাচ্ছে।
আজিমপুর এলাকার বাসিন্দা ইসমাইর হোসেন জানান, মাংস কম দামেই মিলছে। গতকাল ৫৫০ টাকায় কিনেছিলাম এক কেজি। আজ আবার এসেছি। কম থাকায় ৪/৫ কেজি ফ্রিজিং করার ইচ্ছে ছিল। অবশ্য সে দোকনে মাংশ শেষ হয়ে গেছে। এখানে (নবাবগঞ্জ বাজারে) ৫৮০ টকায় দরে বিক্রি হচ্ছে।
এই ক্রেতা বলেন, এসব মাংসে একটা সমস্যা হলো, দেখে নেওয়ার সুযোগ নেই। তারা বড় বড় টুকরা করে টাঙ্গিয়ে দিচ্ছে। এসব টুকরার সাথে চর্বি কিংবা হাঁড়ের টুকরা দিচ্ছে। সব মিলিয়ে এসব টুকরা ওজনেও দুই কেজির বেশি। এক কেজি কিনতে গেলে তাদের পছন্দ মতো, নিতে হয়। দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।
ক্রেতারা বলছেন, চলমান মূল্যস্ফীতিতে অনেকেরই খাদ্য তালিকা থেকে বাদ পড়ে মাংস। অন্যদিকে, ভারত থেকে হাড়বিহীন বা ফ্রোজেন মাংস আমদানি হচ্ছে। যদিও ডলার-সংকটে আমদানি কমেছে। এসব কারণে মাংসের চাহিদা কমে গেছে। খামারে গরু বেড়ে যাওয়ায় কিছুটা কমে মাংস বেচতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।