২৬মার্চ শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়া বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়েছিলেন: ঈশা

- আপডেট সময় : ১২:১২:২৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫ ১৮ বার পড়া হয়েছে
উপরে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করা শুরু করেছিলো ঠিক সে সময়েই শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানীদের নিকট আত্মসমর্পন করে পশ্চিম পাকিস্তানে চলে যান। ঐ সময়ে বাঙালী জাতী যখন দিশেহারা, ঠিক সে সময়ে দেশকে বাঁচাতে কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষনা দেন। তাঁন এই ঘোষনার মধ্যে দিয়ে শুরু হয় বাংলাদেশকে স্বাধীন করার জীবনপ্রাণ আন্দোলন।
বুধবার বিকেলে কাজলার রেডিও সেন্টার মাঠে রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র অন্তর্গত মতিহার থানা বিএনপি’র আয়োজনে বিএনপি চেয়াপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় এবং বিগত ফ্যসিস্ট সরকারকে বিতারিত করার আন্দোলনে সকল শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি রাজশাহী মহানগরের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট এরশাদ আলী ঈশা এই কথাগুলো বলেন।
তিনি বলেন, বিগত পতিত সরকারকে এদেশ থেকে বিতারিত করতে এই মতিহার থেকে কঠোর আন্দোলন শুরু করেছিলো ছাত্র-জনতা। তার শেষ পরিণতি হয় ৫ আগস্ট আলুপট্টির স্ব”ছ টাওয়ারের সামনে। সেখানে অকাতরে কয়েকজন প্রাণ দেন। এরপর হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে তার দোসররাও অনেকে পালিয়ে যায়। তিনি বলেন, এদেশেকে দ্বিতীয়বার স্বাধীন করতে এবং দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে ও ভোটাধিকার নিশ্চিৎ করতে বিএনপি দীর্ঘ সতের বছর আন্দোলন করে যাচ্ছে। আর এই আন্দোলনের সক্রিয় ভূমিকা ও নির্দেশনা প্রদান করেছেন বিএনপি’র ভারপাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি সুদুর লন্ডন থেকে এই আন্দোলন পরিচালনা করতেন এবং এখনো অব্যাহত রেখেছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, দেশে এখন অন্তর্বতীকালীন সরকার আছেন। তারা সঠিক নিয়মে দেশ পরিচালনা করতে হিমশিম খাচ্ছেন। কারন পতিত সরকারের দোসরা এখনো আইন শৃংখলা বাহিনী ও প্রশাসনে রয়ে গেছে। তারাই মুলত বিঘ্ন ঘটাচ্ছে। ঐ সকল দোসরদের দ্রুত অপসারণ করার দাবী জানান তিনি। দেশকে এই সকল হায়নাদের নিকট রক্ষা করতে দ্রুত সময়ের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনেরও দাবী জানান তিনি। বক্তব্য শেষে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
ইফতার মাহফিলে মতিহার থানা বিএনপি’র আহ্বায়ক একরাম আলীর সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব আল মামুন বাবুর সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সদস্য সচিব মামুর-অর-রশিদ মামুন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি রাজশাহী মহানগরের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল হুদা, জিয়ার পরিষদ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি প্রফেসর ড. এনামুল হক, রাবি জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম এর সভাপতি প্রফেসর ড. আব্দুল আলীম, রাবি ফাইনান্স বিভাগের প্রফেসর ড. আমজাদ হোসেন ও রাবি জিয়া পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. ফরিদুল ইসলাম।
এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি রাজশাহী মহানগরের যুগ্ম আহ্বায়ক যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম শাফিক ও বজলুল হক মন্টু, রাজপাড়া থানা বিএনপি’র সভাপতি মিজানুর রহমান মিজান, বোয়ালিয়া থানা (পূর্ব) বিএনপি’র সভাপতি আশরাফুল ইসলাম নিপু ও সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন, রাজশাহী মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান, সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম রবি, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি আকবর আলী জ্যাকি ও রাবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ রাহীসহ মহানগর ও মতিহার থানা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীবৃন্দ ও সাধারণ জনগণ।