ঢাকা ০২:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

২০০ বিলিয়ন সম্পদের ৯৯ শতাংশই আফ্রিকায় দান করবেন বিল গেটস

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ০৫:৪১:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫ ২৪ বার পড়া হয়েছে

মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসের সম্পদের পরিমাণ ২০৪৫ সালের মধ্যে প্রায় ২০০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে। তিনি এই সম্পদের বেশিরভাগই আফ্রিকার স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে ব্যয় করার ঘোষণা দিয়েছেন।

ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবায় আফ্রিকান ইউনিয়নের সদর দপ্তরে এক অনুষ্ঠানে গেটস এই ঘোষণা দেন।

৬৯ বছর বয়সী এই ধনকুবের গত মাসে ঘোষণা দিয়েছিলেন, ২০৪৫ সালের মধ্যে তার সম্পদ প্রায় ২০০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে এবং সেখান থেকে ৯৯ শতাংশই তিনি দান করবেন। ওই বছরেই ‘বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন’ কার্যক্রম বন্ধ করার পরিকল্পনা রয়েছে।

গেটস বলেন, ‘আমি সম্প্রতি প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, আগামী ২০ বছরে আমি আমার সম্পদ দান করব। এর বেশির ভাগই ব্যয় হবে আফ্রিকার নানা সংকট মোকাবিলায়।’

গেটসের এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন মোজাম্বিকের সাবেক ফার্স্ট লেডি গ্রাসা মাশেল। তিনি বলেন, ‘এই সংকটময় সময়ে বিল গেটসের প্রতিশ্রুতি আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’

গেটস জানান, তার ফাউন্ডেশন আফ্রিকায় দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে। ভবিষ্যতে তারা প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে আরও জোর দেবে।

গেটস ফাউন্ডেশনের তিনটি প্রধান লক্ষ্য—মা ও শিশুর প্রতিরোধযোগ্য মৃত্যু রোধ, পরবর্তী প্রজন্মকে প্রাণঘাতী সংক্রামক রোগ থেকে মুক্ত রাখা এবং লাখো মানুষকে দারিদ্র্য থেকে বের করে আনা। গত মাসে বিল গেটস জানান, ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে তার দাতব্য কার্যক্রম আরও দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাবে।

বক্তব্যে তরুণ উদ্ভাবকদের উদ্দেশ্যে গেটস বলেন, মোবাইল ফোন যেভাবে আফ্রিকায় ব্যাংকিং ব্যবস্থায় পরিবর্তন এনেছে, তেমনি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে স্বাস্থ্যসেবাতেও উন্নয়ন সম্ভব।

তিনি রুয়ান্ডার উদাহরণ দিয়ে বলেন, সেখানে ইতোমধ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক আলট্রাসাউন্ড প্রযুক্তি দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভাবস্থা শনাক্ত করা হচ্ছে।

১৯৭৫ সালে পল অ্যালেনের সঙ্গে মিলে মাইক্রোসফট প্রতিষ্ঠা করেন বিল গেটস। পরে প্রতিষ্ঠানটি সফটওয়্যারসহ প্রযুক্তির নানা খাতে আধিপত্য বিস্তার করে।

তবে গত কয়েক দশকে গেটস ধীরে ধীরে মাইক্রোসফট থেকে সরে আসেন। ২০০০ সালে প্রধান নির্বাহীর পদ ছাড়েন, এবং ২০১৪ সালে চেয়ারম্যানের পদ থেকেও সরে দাঁড়ান।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

২০০ বিলিয়ন সম্পদের ৯৯ শতাংশই আফ্রিকায় দান করবেন বিল গেটস

আপডেট সময় : ০৫:৪১:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫

মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসের সম্পদের পরিমাণ ২০৪৫ সালের মধ্যে প্রায় ২০০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে। তিনি এই সম্পদের বেশিরভাগই আফ্রিকার স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে ব্যয় করার ঘোষণা দিয়েছেন।

ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবায় আফ্রিকান ইউনিয়নের সদর দপ্তরে এক অনুষ্ঠানে গেটস এই ঘোষণা দেন।

৬৯ বছর বয়সী এই ধনকুবের গত মাসে ঘোষণা দিয়েছিলেন, ২০৪৫ সালের মধ্যে তার সম্পদ প্রায় ২০০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে এবং সেখান থেকে ৯৯ শতাংশই তিনি দান করবেন। ওই বছরেই ‘বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন’ কার্যক্রম বন্ধ করার পরিকল্পনা রয়েছে।

গেটস বলেন, ‘আমি সম্প্রতি প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, আগামী ২০ বছরে আমি আমার সম্পদ দান করব। এর বেশির ভাগই ব্যয় হবে আফ্রিকার নানা সংকট মোকাবিলায়।’

গেটসের এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন মোজাম্বিকের সাবেক ফার্স্ট লেডি গ্রাসা মাশেল। তিনি বলেন, ‘এই সংকটময় সময়ে বিল গেটসের প্রতিশ্রুতি আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’

গেটস জানান, তার ফাউন্ডেশন আফ্রিকায় দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে। ভবিষ্যতে তারা প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে আরও জোর দেবে।

গেটস ফাউন্ডেশনের তিনটি প্রধান লক্ষ্য—মা ও শিশুর প্রতিরোধযোগ্য মৃত্যু রোধ, পরবর্তী প্রজন্মকে প্রাণঘাতী সংক্রামক রোগ থেকে মুক্ত রাখা এবং লাখো মানুষকে দারিদ্র্য থেকে বের করে আনা। গত মাসে বিল গেটস জানান, ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে তার দাতব্য কার্যক্রম আরও দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাবে।

বক্তব্যে তরুণ উদ্ভাবকদের উদ্দেশ্যে গেটস বলেন, মোবাইল ফোন যেভাবে আফ্রিকায় ব্যাংকিং ব্যবস্থায় পরিবর্তন এনেছে, তেমনি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে স্বাস্থ্যসেবাতেও উন্নয়ন সম্ভব।

তিনি রুয়ান্ডার উদাহরণ দিয়ে বলেন, সেখানে ইতোমধ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক আলট্রাসাউন্ড প্রযুক্তি দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভাবস্থা শনাক্ত করা হচ্ছে।

১৯৭৫ সালে পল অ্যালেনের সঙ্গে মিলে মাইক্রোসফট প্রতিষ্ঠা করেন বিল গেটস। পরে প্রতিষ্ঠানটি সফটওয়্যারসহ প্রযুক্তির নানা খাতে আধিপত্য বিস্তার করে।

তবে গত কয়েক দশকে গেটস ধীরে ধীরে মাইক্রোসফট থেকে সরে আসেন। ২০০০ সালে প্রধান নির্বাহীর পদ ছাড়েন, এবং ২০১৪ সালে চেয়ারম্যানের পদ থেকেও সরে দাঁড়ান।