১৯৭১ সালে ভৌগোলিক স্বাধীনতা হলেও ১৯৭৫ আসে প্রকৃত স্বাধীনতা: রিজভী
- আপডেট সময় : ০২:৫৬:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪ ৭ বার পড়া হয়েছে
৩৪ বছর পূর্বে এই মতিহার চত্বরে বক্তব্য দিয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে ছিলেন। এখানো মনে পরে সেদিনকার কথা। সে সময়ের স্যারদের সঙ্গে দেখা হলে নিজেকে আর ধরে রাখতে পরি না। ১৯৯০ সালে তিনি রাবি এর ভিপি হন আর ১৯৯১ সালে তিনি রাবি থেকে চলে যান ঢাকায়। এভাবে স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য শুরু করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন ১৯৭১ সালে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষনার মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের ভৌগলিক স্বাধীনতা আসলেও তৎকালীন শাসক শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিসর্জন দিয়ে বাকশাল কায়েম করে গনতন্ত্রকে বিতারিত করেন। ১৭৯১ সালে সাধীনতা আসলেও প্রকৃত স্বাধীনতার সুফল ভোগ করে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সময়ে। আর জন্যই ১৯৭৫ পরবর্তী সময়ে সিপাহী-জনতা বিপ্লব ঘটিয়ে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে বন্দিদশা থেকে মুক্ত করেন। সে সময়ে আরেক স্বাধীনতা হয় বাংলাদেশে।
তিনি আরো বলেন, দেশকে যখন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন এবং গণতন্ত্র পুণরুদ্ধার করে দেশকে বহির্বিশ্বের নিকট পরিচিতি এবং স্বীকৃতি পেতে সফল হচ্ছিলেন ঠিক তখনি খুনি হাসিনা ষড়যন্ত করে শহীদ প্রেসিডেন্টকে হত্যা করে। এরপর বন্দুকের নলের মুখে স্বৈরাচার হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ ক্ষমতা দখল করেন। এই স্বৈরাচার সরকারকে বিতারিত করার আন্দোলনে তিনি গুলি খান। সেই যন্ত্রণা আজো তিনি বয়ে বেড়াচ্ছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, পতিত সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে দেশ থেকে পালিয়ে গিয়ে পুণরায় ষড়যন্ত্র শুরু করছে। চিন্ময়কে নিয়ে খেলা শুরু করেছে। ভারত তাকে নিয়ে বিবৃতি ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। সেই সাথে পতিত খুনি হাসিনা এর নিন্দা ও নি:শর্ত মুক্তির দাবী জানাচ্ছেন। কিন্তু বিশ্বজিতকে যখন প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করেছিলো ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সন্ত্রাসীরা তখন ভারত কোথায় গিয়েছিলো বলে তিনি প্রশ্ন করেন। তিনি বলেন, একজন ভূমি প্রতিমন্ত্রীর আমেরিকাসহ অন্যান্য দেশে ৬২০টি বাড়ি রয়েছে। এছাড়াও সাবেক একজন আইজিপি ১০০০ কোটি টাকা দেশের বাহিরে পাঠিয়ে দিয়েছে। আর এগুলো করার সুযোগ দিয়েছেন স্বৈরাচার খুনি হাসিনা। তিনি নিজের ক্ষমতা দির্ঘায়িত করতেই প্রশাসন ও আইন শৃৃংখলাবাহিনীকে এভাবে হাতে রেখেছিলেন। তবুও শেষ রক্ষা হয়নি। তার দলের লোকজন ও নেতাকর্মীদের রেখে দেশ থেকে পালিয়ে যান বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, পতিত সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ঘরে ঘরে চাকুরী, ১০টাকা কেজি চাল, বিনামূল্যে সার ও বীজ দেয়ার কথা বলে জনগণকে তার বাবার মত ধোকা দিয়েছিলেন। এখন আবার মায়াকান্না দেখিয়ে এবং দেশের কিছু বিশৃংখলাকারীদের উস্কিয়ে দিয়ে অরাজকতা করার চেষ্টা করছেন। আর এতে সহযোগিতা করছে ভারত। তাদের এই ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে দেশকে এগিয়ে নেয়ার আন্দোলনে সবাইকে শরীক হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। বক্তব্য শুরু আগে ঐতিহাসিক ৭ই নভেম্বর ১৯৭৫ জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের মহানায়ক জিয়াউর রহমানের গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধান অতিথি।
বৃহস্পতিবার (২৮ ) বিকেলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে ঐতিহাসিক ৭ই নভেম্বর ১৯৭৫ জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের মহানায়ক জিয়াউর রহমানের গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন ও রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সুলতান আহামেদ রাহী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক কেন্দ্রীয় সংসদ নাছির উদ্দীন নাছির। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর এম রফিকুল ইসলাম।
উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন রাবি প্রফেসর ড. এনামুল হক ও প্রফেসর ড. হাসনাত আলী। উপস্থিত ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও বিএনপি রাজশাহী জেলার আহ্বায়ক আবু সাইদ চাঁদ, সাবেক সভাপতি এডভোকেট তোফাজ্জল হোসেন তপু,রাজশাহী মহানগর রাজশাহী নগর বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা এরশাদ আলী ঈসা, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল হুদা, সদস্য সচিব মামুন- অর- রশিদ, যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম শাফিক ও জেলা বিএনপি’র সদস্য গোলাম মোস্তফা মামুন।
এছাড়াও কৃষকদল কেন্দ্রীয় কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আল-আমিন সরকার টিুট, মহানগর মহিলা দলের সভাপতি এডভোকেট রওশান আরা পপি, সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সকিনা খাতুন, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি আকবর আলী জ্যাকি ও সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মাকসুদুর রহমান সৌরভসহ রাজশাহী বিদ্যালয়ের শিক্ষক, বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও রাবি ছাত্রদলের অন্যান্য নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।