• রবিবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৬:২২ পূর্বাহ্ন

১৩ হুথি বিদ্রোহীকে মুক্তি দিল সৌদি

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ / ৩৯ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে
প্রকাশ : রবিবার, ৯ এপ্রিল, ২০২৩
সৌদি আরব থেকে মুক্তি পাওয়া হুথি বন্দিরা- রয়টার্স

দীর্ঘ ৮ বছর পর ইয়েমেন যুদ্ধের সমাপ্তি ঘোষণা করতে যাচ্ছে সৌদি আরব। সৌদি কর্তৃপক্ষ বলছে, চলতি রমজান মাসেই যুদ্ধ শেষের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিতে কাজ করছে উভয়পক্ষ। এমন অবস্থায় ১৩ হুথি বিদ্রোহীকে মুক্তি দিয়েছে সৌদি আরব।

ইয়েমেনি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর একজন মুখপাত্র এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এদিকে ইয়েমেনের বহু বছর ধরে চলা সংঘাতের অবসান ঘটাতে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ওমানি কর্মকর্তারা ইয়েমেনের রাজধানী সানা সফর করছেন।

মাস্কাটে অবস্থিত হুথির প্রধান আলোচক মোহাম্মদ আবদুল সালাম শনিবার টুইটারে বলেছেন যে, তিনি ওমানি প্রতিনিধি দলের সাথে সানায় পৌঁছেছেন।

ওমান কয়েক বছর ধরে ইরান সমর্থিত হুথি ও সৌদি আরবের মধ্যে আলোচনার আয়োজন করে আসছে।

ইয়েমেনের সংঘাতে বন্দি বিনিময় আলোচনার দায়িত্বে থাকা হুথি কর্মকর্তা আবদুল-কাদের আল-মুর্তজা টুইটারে বলেছেন যে, ১৩ জন হুথি বন্দি সানায় এসেছেন।

তিনি বলেন, সৌদি বন্দির মুক্তির বিনিময়ে এসব হুথি বন্দিদের মুক্তি মিলেছে। তবে তারা কবে সৌদি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছেন তা তিনি বলেননি।

সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

এদিকে সৌদি আরব এ ইয়েমেন যুদ্ধ অবসানের ঘোষণা দেওয়ার পর হুথি আনসারুল্লাহ আন্দোলনের শীর্ষ পর্যায়ের নেতা মোহাম্মদ আল-বুখাইতি তার দেশ থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

আল-মুর্তজা বলেন, জাতিসংঘের মাধ্যমে সম্মত চুক্তির অংশ হিসেবে সৌদি কারাগার থেকে বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার চুক্তিটি সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়িত হবে।’

তিনি গত মাসে সুইজারল্যান্ডে জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় হওয়া একটি চুক্তির কথা উল্লেখ করছিলেন যার মধ্যে ৮৮৭ বন্দীর মুক্তি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

ইয়েমেনে সংঘাত ২০১৪ সালে শুরু হয়েছিল, যখন হুথিরা সানা এবং দেশের উত্তরের বেশিরভাগ অংশ দখল করে নিয়েছিল। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকার প্রধান পালিয়ে সৌদি আরবে আশ্রয় নেন।

এরপর সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন জোট ইয়েমেনে হুথিদের বিরুদ্ধে হামলা শুরু করে। অপরদিকে হুথিদের ইরান সর্বাত্মক সহযোগিতা করে বলে অভিযোগ রয়েছে। এই সংঘাতকে সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে প্রক্সি যুদ্ধ হিসেবে দেখা হয়।

সম্প্রতি সম্পর্ক পুনরায় স্থাপনের জন্য চুক্তি করেছে ইরান ও সৌদি। চীনের মধ্যস্ততায় হওয়া এই চুক্তির অধীনে এরই মধ্যে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৈঠক করেছেন ও বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে একমত হয়েছেন। ইয়েমেন যুদ্ধ থামাতে এই চুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

সূত্র: আল জাজিরা


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ