১৩ ডিগ্রি তাপমাত্রায় কাঁপছে পঞ্চগড়
- আপডেট সময় : ১১:৫৪:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ৮ বার পড়া হয়েছে
পঞ্চগড়ে শীতের আগমনী বার্তা জানান দিয়েছে। একই সঙ্গে গভীর রাত থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে জেলার চারপাশ। দিনের বেলা তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে থাকলেও মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত ঠান্ডা অনুভূত হতে থাকে।
আজ সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকাল ৯টায় ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। সামনের দিকে ঠান্ডার তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গত এক সপ্তাহ ধরে ১৩ ডিগ্রি থেকে ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে তাপমাত্রা। শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে যানবাহনগুলো হেড-লাইট জ্বালিয়ে বিলম্বে যাতায়াত করছে।
বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, রোববার সন্ধ্যার পর শুরু হয় হিমেল বাতাস। সে বাতাসে রাত ৯টার মধ্যে শহরের হাটবাজার কিছুটা জনশূন্য হয়ে পড়ে। রাত গভীর হলে বাড়তে থাকে কুয়াশা। পরদিন সকাল ৭টা পর্যন্ত স্থায়িত্ব থাকে এ কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশের।
স্থানীয়রা বলছেন, দিন ও রাতের তাপমাত্রা পরিবর্তন হয়ে বাড়তে শুরু করেছে শীতের তীব্রতা। গত ৫ থেকে ৬ দিন ধরে শীত ও ঠান্ডা অনেক বাড়ছে। রাতে বৃষ্টির মতো পড়তে থাকে কুয়াশা।
শীতের কারণে বেড়েছে বিভিন্ন ঠান্ডাজনিত রোগ। জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোতে আউটডোরে ঠান্ডাজনিত রোগী বাড়তে শুরু করেছে। চিকিৎসার পাশাপাশি শীতজনিত রোগ থেকে নিরাপদ থাকতে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করছেন চিকিৎসকরা। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের উষ্ণ পরিবেশে থাকার পরামর্শ চিকিৎসকদের।
এদিকে কুয়াশা ও শীতের কারণে দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষগুলোও বিপাকে পড়েছেন। তারা সময়মতো কাজে যেতে পারছেন না।
পঞ্চগড় তেঁতুলিয়ার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া পর্যবেক্ষক জিতেন্দ্র নাথ রায় জানান, হিমালয়ের কাছাকাছি হওয়ায় উত্তর দিক থেকে বয়ে আসা হিমশীতল ঠান্ডা বাতাস কারণে তাপমাত্রা অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে কম হয়ে থাকে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক রোকনুজ্জামান রোকন বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে ১৪ থেকে ১৬ ডিগ্রির ঘরে জেলার তাপমাত্রা উঠানামা করছে। সোমবার তা কমে সকাল ৯টায় ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রির ঘরে নেমে যায়। এছাড়া রোববার (২৪ নভেম্বর) সকাল ৯টায় ১৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হলেও এ দিন দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।’
আগামী কিছুদিনের মধ্যে তাপমাত্রা আরও কমে গিয়ে শীতের তীব্রতা আরও বাড়বে বলেও জানান তিনি।