ঢাকা ১১:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হবিগঞ্জে ৩৩ শতাংশ বোরো ধান কাটা শেষ

দেশের আওয়াজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ০৩:১৯:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫ ২৫ বার পড়া হয়েছে

হবিগঞ্জ জেলায় আবাদ করা বোরো জমির ৩৩ শতাংশের ধান কেটে ঘরে তোলা হয়েছে। জুনের প্রথম সপ্তাহেই শতভাগ ধান কাটা শেষ হবে বলে জেলা কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে।

শনিবার (২৬ এপ্রিল) স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো এ সংবাদ দিয়েছে।

এ বিষয়ে জেলা কৃষি বিভাগ জানায়, এবার বোরো মৌসুমে জেলায় এক লাখ ২৩ হাজার ৮৮৪ হেক্টর জমিতে তিন ধরনের বোরো ধান আবাদ হয়েছে। তার মধ্যে ৫০ হাজার ৮৮৫ হেক্টর হাইব্রিড, উফশী জাতের ৭২ হাজার ৮০১ হেক্টর এবং স্থানীয় জাতের ধান আবাদ হয় ৫০ হেক্টর জমিতে।

হাইব্রিড জাতে হেক্টর প্রতি চার দশমিক ৬৮ টন, উফশীতে ছয় দশমিক ৯৩ টন ও স্থানীয় জাত থেকে প্রতি হেক্টর থেকে এক দশমিক ৯ টন চাল উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে।

সে অনুযায়ী বোরো থেকে হবিগঞ্জে পাঁচ লাখ ২৬ হাজার ৩৪৯ টন চাল উৎপাদন হওয়ার কথা। ধানের হিসাবে গেলে তা বেড়ে দাঁড়াবে সাত লাখ ৮৬ হাজার ৫১৮ টনে।

শনিবার সকাল পর্যন্ত মোট জমির ৪০ হাজার ৬৪৫ হেক্টর (৩৩ শতাংশ) কাটা হয়েছে। এসব জমি থেকে এক লাখ ৭৪ হাজার ৭৭৩ টন ধান উৎপাদন হয়েছে।

হবিগঞ্জ কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, এবার জেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি চাষ হয়েছে। স্থানীয় প্রায় ৩০ হাজার শ্রমিকসহ বাইরের জেলা থেকে আরও প্রায় ১০ হাজার শ্রমিক, ৪৫৮টি সচল কম্বাইন্ড হারভেস্টার এবং ১৪২টি সচল রিপারের মাধ্যমে ধান কাটা হচ্ছে। ৭০ থেকে ৮০ ভাগ ধান পাকলেই কেটে ফেলতে কৃষকদের বলা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

হবিগঞ্জে ৩৩ শতাংশ বোরো ধান কাটা শেষ

আপডেট সময় : ০৩:১৯:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫

হবিগঞ্জ জেলায় আবাদ করা বোরো জমির ৩৩ শতাংশের ধান কেটে ঘরে তোলা হয়েছে। জুনের প্রথম সপ্তাহেই শতভাগ ধান কাটা শেষ হবে বলে জেলা কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে।

শনিবার (২৬ এপ্রিল) স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো এ সংবাদ দিয়েছে।

এ বিষয়ে জেলা কৃষি বিভাগ জানায়, এবার বোরো মৌসুমে জেলায় এক লাখ ২৩ হাজার ৮৮৪ হেক্টর জমিতে তিন ধরনের বোরো ধান আবাদ হয়েছে। তার মধ্যে ৫০ হাজার ৮৮৫ হেক্টর হাইব্রিড, উফশী জাতের ৭২ হাজার ৮০১ হেক্টর এবং স্থানীয় জাতের ধান আবাদ হয় ৫০ হেক্টর জমিতে।

হাইব্রিড জাতে হেক্টর প্রতি চার দশমিক ৬৮ টন, উফশীতে ছয় দশমিক ৯৩ টন ও স্থানীয় জাত থেকে প্রতি হেক্টর থেকে এক দশমিক ৯ টন চাল উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে।

সে অনুযায়ী বোরো থেকে হবিগঞ্জে পাঁচ লাখ ২৬ হাজার ৩৪৯ টন চাল উৎপাদন হওয়ার কথা। ধানের হিসাবে গেলে তা বেড়ে দাঁড়াবে সাত লাখ ৮৬ হাজার ৫১৮ টনে।

শনিবার সকাল পর্যন্ত মোট জমির ৪০ হাজার ৬৪৫ হেক্টর (৩৩ শতাংশ) কাটা হয়েছে। এসব জমি থেকে এক লাখ ৭৪ হাজার ৭৭৩ টন ধান উৎপাদন হয়েছে।

হবিগঞ্জ কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, এবার জেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি চাষ হয়েছে। স্থানীয় প্রায় ৩০ হাজার শ্রমিকসহ বাইরের জেলা থেকে আরও প্রায় ১০ হাজার শ্রমিক, ৪৫৮টি সচল কম্বাইন্ড হারভেস্টার এবং ১৪২টি সচল রিপারের মাধ্যমে ধান কাটা হচ্ছে। ৭০ থেকে ৮০ ভাগ ধান পাকলেই কেটে ফেলতে কৃষকদের বলা হয়েছে।