ঢাকা ০২:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৬ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সুপ্রিম কোর্ট বারে ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ এর সমর্থনে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

দেশের আওয়াজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ০৬:০০:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ জুলাই ২০২৪ ২৩ বার পড়া হয়েছে

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি নিয়ে শিক্ষার্থীরা সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির (বার) ভবনের সামনে মিছিল করেছে। এ সময় তারা সমবেত কণ্ঠে গান পরিবেশন করে। যদিও প্রথমে মাজার গেট এলাকায় পুলিশ তাদের আটকে দিয়েছিলো। পরে একপর্যায়ে তারা সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় প্রবেশ করে।

প্রায় আধাঘণ্টার মতো সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে অবস্থান করে শিক্ষার্থীরা। এরপর তারা সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ ত্যাগ করেন।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বিপুল সংখ্যক পুলিশের উপস্থিতিতে দুপুরে শতাধিক শিক্ষার্থীরা মাজার গেটের সামনে অবস্থান নেয়। এর মধ্যে ঢাবি, বুয়েট, নর্থ সাউথ, ব্র্যাক, ঢাকা কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে অংশ নেন।

এ সময় সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা মিছিল নিয়ে মাজার গেটের সামনে যায়। এর আগে মাজার গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। তখন গেটের বাইরে শিক্ষার্থীরা এবং গেটের ভেতরে আইনজীবীরা স্লোগান দিতে থাকে। একপর্যায়ে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে আটকের খবর শুনে কিছু আইনজীবী গেটের পাশের ব্যারিকেড টপকিয়ে শিক্ষার্থীদের পাশে গিয়ে দাঁড়ায় এবং কিছু শিক্ষার্থীকে ভেতরে নিয়ে আসে।

এ সময় আইনজীবী ও শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ধরণের স্লোগান দেন। সেখানে বসে ‘তোর কোটা তুই নে, আমার ভাইকে ফেরত দে, ছাত্রদের ওপর গুলি কেন, প্রশাসন জবাব দে,’ শিরোনামে স্লোগন দেন।

কিছুক্ষণ পর আইনজীবীদের সঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে চলে এসে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগন দিতে থাকে তারা। প্রায় আধাঘণ্টা পর তারা শিক্ষা ভবনের দিকে চলে যায়।

আইনজীবীদের মধ্যে ছিলেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, তৈমুর আলম খন্দকার, রুহুল কুদ্দুস কাজল, গাজী কামরুল ইসলাম সজল, মোহাম্মদ আলী প্রমুখ।

এদিকে মাজার গেটের ভেতরে দৃক গ্যালারির প্রতিষ্ঠাতা শহিদুল আলম, শারমিন মুরশিদ, রেহেনুমা আহমেদ আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন।

এর আগে মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) দেশের সব আদালত, ক্যাম্পাস ও রাজপথে ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সংগঠনটির অন্যতম সমন্বয়ক আব্দুল কাদেরের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। ছাত্র-জনতার ওপর গণহত্যা, গণগ্রেফতার, হামলা, মামলা, গুম ও খুনের প্রতিবাদে এবং জাতিসংঘের মাধ্যমে তদন্তপূর্বক বিচারের দাবিতে এ কর্মসূচি পালন করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

ছাত্র সমাজের ৯ দফা দাবি আদায়ে নতুন কর্মসূচিতে একাত্মতা ঘোষণা করতে শিক্ষক, আইনজীবী, মানবাধিকার কর্মী, পেশাজীবী, শ্রমজীবী ও সব নাগরিকের প্রতি অনুরোধ জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

সুপ্রিম কোর্ট বারে ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ এর সমর্থনে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

আপডেট সময় : ০৬:০০:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ জুলাই ২০২৪

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি নিয়ে শিক্ষার্থীরা সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির (বার) ভবনের সামনে মিছিল করেছে। এ সময় তারা সমবেত কণ্ঠে গান পরিবেশন করে। যদিও প্রথমে মাজার গেট এলাকায় পুলিশ তাদের আটকে দিয়েছিলো। পরে একপর্যায়ে তারা সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় প্রবেশ করে।

প্রায় আধাঘণ্টার মতো সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে অবস্থান করে শিক্ষার্থীরা। এরপর তারা সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ ত্যাগ করেন।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বিপুল সংখ্যক পুলিশের উপস্থিতিতে দুপুরে শতাধিক শিক্ষার্থীরা মাজার গেটের সামনে অবস্থান নেয়। এর মধ্যে ঢাবি, বুয়েট, নর্থ সাউথ, ব্র্যাক, ঢাকা কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে অংশ নেন।

এ সময় সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা মিছিল নিয়ে মাজার গেটের সামনে যায়। এর আগে মাজার গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। তখন গেটের বাইরে শিক্ষার্থীরা এবং গেটের ভেতরে আইনজীবীরা স্লোগান দিতে থাকে। একপর্যায়ে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে আটকের খবর শুনে কিছু আইনজীবী গেটের পাশের ব্যারিকেড টপকিয়ে শিক্ষার্থীদের পাশে গিয়ে দাঁড়ায় এবং কিছু শিক্ষার্থীকে ভেতরে নিয়ে আসে।

এ সময় আইনজীবী ও শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ধরণের স্লোগান দেন। সেখানে বসে ‘তোর কোটা তুই নে, আমার ভাইকে ফেরত দে, ছাত্রদের ওপর গুলি কেন, প্রশাসন জবাব দে,’ শিরোনামে স্লোগন দেন।

কিছুক্ষণ পর আইনজীবীদের সঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে চলে এসে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগন দিতে থাকে তারা। প্রায় আধাঘণ্টা পর তারা শিক্ষা ভবনের দিকে চলে যায়।

আইনজীবীদের মধ্যে ছিলেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, তৈমুর আলম খন্দকার, রুহুল কুদ্দুস কাজল, গাজী কামরুল ইসলাম সজল, মোহাম্মদ আলী প্রমুখ।

এদিকে মাজার গেটের ভেতরে দৃক গ্যালারির প্রতিষ্ঠাতা শহিদুল আলম, শারমিন মুরশিদ, রেহেনুমা আহমেদ আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন।

এর আগে মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) দেশের সব আদালত, ক্যাম্পাস ও রাজপথে ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সংগঠনটির অন্যতম সমন্বয়ক আব্দুল কাদেরের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। ছাত্র-জনতার ওপর গণহত্যা, গণগ্রেফতার, হামলা, মামলা, গুম ও খুনের প্রতিবাদে এবং জাতিসংঘের মাধ্যমে তদন্তপূর্বক বিচারের দাবিতে এ কর্মসূচি পালন করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

ছাত্র সমাজের ৯ দফা দাবি আদায়ে নতুন কর্মসূচিতে একাত্মতা ঘোষণা করতে শিক্ষক, আইনজীবী, মানবাধিকার কর্মী, পেশাজীবী, শ্রমজীবী ও সব নাগরিকের প্রতি অনুরোধ জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।