ঢাকা ০৩:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫, ১৪ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিরিয়ায় আসাদপন্থিদের সঙ্গে সরকারি বাহিনীর সংঘর্ষ, নিহত ৪৮

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ১২:৩৯:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ মার্চ ২০২৫ ৮ বার পড়া হয়েছে

সিরিয়ায় ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের অনুগত যোদ্ধাদের সঙ্গে দেশটির বর্তমান প্রশাসনের নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৪৮ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ১৬ জন নিরাপত্তাকর্মী।

দেশটির লাতাকিয়া প্রদেশে সংঘর্ষের এই ঘটনায় ওই অঞ্চলে কারফিউ জারি করা হয়েছে। শুক্রবার (৭ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।

তবে বিবিসির প্রতিবেদন বলছে, দামেস্কের নতুন সরকারের প্রতি অনুগত সিরিয়ার নিরাপত্তা বাহিনী দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের একটি উপকূলীয় এলাকায় ক্ষমতাচ্যুত আসাদ সরকারের অবশিষ্টাংশের সঙ্গে তীব্র লড়াইয়ে লিপ্ত হয়েছে।

রাষ্ট্রীয় টিভির খবরে বলা হয়েছে, লাতাকিয়া প্রদেশে রাশিয়া-নিয়ন্ত্রিত একটি বিমানঘাঁটির কাছে সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৩ জন সেনা নিহত হয়েছেন। পরে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত সেখানে কারফিউ ঘোষণা করা হয়েছে। গত বছরের ডিসেম্বরে বাশার আল-আসাদের পতনের পর থেকে সিরিয়ার ইসলামপন্থি সরকারের অনুগত বাহিনীর ওপর এটিই সবচেয়ে সহিংস হামলা।

রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সানা জানিয়েছে, সংঘর্ষের ঘটনার পর ‘বিশাল সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করে’ সরকারি সেনারা জাবলেহ শহরের দিকে যাচ্ছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে সিরিয়া-ভিত্তিক স্টেপ সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, সরকার-সমর্থিত বাহিনী ‘প্রায় ৭০ আসাদ অনুগত সাবেক সরকারি যোদ্ধাকে হত্যা করেছেন এবং জাবলেহ ও তার আশপাশের এলাকা থেকে ২৫ জনেরও বেশি যোদ্ধাকে আটক করা হয়েছে।

তবে পর্যবেক্ষকদের বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, সংঘর্ষের ঘটনায় মোট ৪৮ জন নিহত হয়েছেন। এরমধ্যে ১৬ জন সরকরি নিরাপত্তাবহিনী এবং ২৮ জন আসাদপন্থি যোদ্ধা ও ৪ জন বেসামরিক।

সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কর্নেল হাসান আব্দুল গনি রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের মাধ্যমে আসাদের অনুগতদের প্রতি একটি সতর্কবার্তা জারি করেছেন।

তিনি বলেছেন, ‘হাজার হাজার মানুষ তাদের অস্ত্র সমর্পণ করে তাদের পরিবারের কাছে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আবার কেউ কেউ খুনি ও অপরাধীদের রক্ষায় পালিয়ে গিয়ে মৃত্যুর মুখোমুখি হতে জোর দিচ্ছে। তাদের এই পছন্দটি স্পষ্ট: অস্ত্র জমা দিন অথবা অনিবার্য পরিণতির মুখোমুখি হোন।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

সিরিয়ায় আসাদপন্থিদের সঙ্গে সরকারি বাহিনীর সংঘর্ষ, নিহত ৪৮

আপডেট সময় : ১২:৩৯:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ মার্চ ২০২৫

সিরিয়ায় ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের অনুগত যোদ্ধাদের সঙ্গে দেশটির বর্তমান প্রশাসনের নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৪৮ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ১৬ জন নিরাপত্তাকর্মী।

দেশটির লাতাকিয়া প্রদেশে সংঘর্ষের এই ঘটনায় ওই অঞ্চলে কারফিউ জারি করা হয়েছে। শুক্রবার (৭ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।

তবে বিবিসির প্রতিবেদন বলছে, দামেস্কের নতুন সরকারের প্রতি অনুগত সিরিয়ার নিরাপত্তা বাহিনী দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের একটি উপকূলীয় এলাকায় ক্ষমতাচ্যুত আসাদ সরকারের অবশিষ্টাংশের সঙ্গে তীব্র লড়াইয়ে লিপ্ত হয়েছে।

রাষ্ট্রীয় টিভির খবরে বলা হয়েছে, লাতাকিয়া প্রদেশে রাশিয়া-নিয়ন্ত্রিত একটি বিমানঘাঁটির কাছে সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৩ জন সেনা নিহত হয়েছেন। পরে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত সেখানে কারফিউ ঘোষণা করা হয়েছে। গত বছরের ডিসেম্বরে বাশার আল-আসাদের পতনের পর থেকে সিরিয়ার ইসলামপন্থি সরকারের অনুগত বাহিনীর ওপর এটিই সবচেয়ে সহিংস হামলা।

রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সানা জানিয়েছে, সংঘর্ষের ঘটনার পর ‘বিশাল সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করে’ সরকারি সেনারা জাবলেহ শহরের দিকে যাচ্ছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে সিরিয়া-ভিত্তিক স্টেপ সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, সরকার-সমর্থিত বাহিনী ‘প্রায় ৭০ আসাদ অনুগত সাবেক সরকারি যোদ্ধাকে হত্যা করেছেন এবং জাবলেহ ও তার আশপাশের এলাকা থেকে ২৫ জনেরও বেশি যোদ্ধাকে আটক করা হয়েছে।

তবে পর্যবেক্ষকদের বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, সংঘর্ষের ঘটনায় মোট ৪৮ জন নিহত হয়েছেন। এরমধ্যে ১৬ জন সরকরি নিরাপত্তাবহিনী এবং ২৮ জন আসাদপন্থি যোদ্ধা ও ৪ জন বেসামরিক।

সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কর্নেল হাসান আব্দুল গনি রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের মাধ্যমে আসাদের অনুগতদের প্রতি একটি সতর্কবার্তা জারি করেছেন।

তিনি বলেছেন, ‘হাজার হাজার মানুষ তাদের অস্ত্র সমর্পণ করে তাদের পরিবারের কাছে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আবার কেউ কেউ খুনি ও অপরাধীদের রক্ষায় পালিয়ে গিয়ে মৃত্যুর মুখোমুখি হতে জোর দিচ্ছে। তাদের এই পছন্দটি স্পষ্ট: অস্ত্র জমা দিন অথবা অনিবার্য পরিণতির মুখোমুখি হোন।’