ঢাকা ০৩:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ঋণের টাকা না পেয়ে নারীকে রাতে তালাবদ্ধ করে রাখল পল্লী উন্নয়ন বোর্ড কুষ্টিয়ায় নিখোঁজ অটোরিকশা চালকের লাশ উদ্ধার, প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ ক্রিকেটে নতুন বিশ্বরেকর্ড গড়লেন ক্যাম্ফার পাকিস্তানে বাস থামিয়ে ৯ যাত্রীকে অপহরণের পর হত্যা উন্নত ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে তরুণ প্রজন্মকে দক্ষ হিসেবে গড়ে তোলা আবশ্যক : প্রধান উপদেষ্টা ফৌজদারি কার্যবিধি সংশোধন করে নতুন অধ্যাদেশ জারি রাষ্ট্রপতির ইসরাইলি বর্বরতায় একদিনে আরও ৮২ ফিলিস্তিনি নিহত গ্লোবাল সুপার লিগ : খালেদের ৪ উইকেটে জয়ে শুরু রংপুরের ২১ জেলায় পানির নিচে ৭২ হাজার হেক্টর জমির ফসল টানা বৃষ্টির প্রভাব কাঁচাবাজারে, মরিচের কেজি প্রায় ৩০০ টাকা

সার্কের বিকল্প জোট গঠন করছে পাকিস্তান-চীন, থাকছে কি বাংলাদেশ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০২:১৪:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫ ১৮ বার পড়া হয়েছে

পাকিস্তান ও চীন একটি নতুন আঞ্চলিক সংস্থা গঠনের প্রস্তাব নিয়ে কাজ করছে। যা দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা সার্কের বিকল্প হতে পারে। সোমবার (৩০ জুন) পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যম দ্যা এক্সপ্রেস ট্রিবিউন এ সংক্রান্ত এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসলামাবাদ ও বেইজিং-এর মধ্যে আলোচনা এখন অনেক দূর এগিয়ে গেছে। উভয় পক্ষই মনে করছে আঞ্চলিক সংহতি ও সংযুক্তির জন্য একটি নতুন সংগঠন সময়ের দাবি।

গত ১৯ জুন চীনের কুনমিং শহরে পাকিস্তান, চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে এই ত্রিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তিন দেশের জ্যেষ্ঠ কূটনীতিকদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত এই বৈঠক প্রথমবারের মতো হওয়ায় ভারতে তা নিয়ে কৌতূহল ও উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।

বৈঠকের মূল লক্ষ্য ছিল সার্কের সদস্য দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোকে নতুন প্রস্তাবিত জোটে অন্তর্ভুক্ত করার আমন্ত্রণ জানানো। ভারতকেও এই নতুন ফোরামে যোগদানের আমন্ত্রণ জানানো হবে।

তবে শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, আফগানিস্তানসহ অন্যান্য দেশ এই জোটের অংশ হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। নতুন সংস্থার মূল উদ্দেশ্য হবে বর্ধিত বাণিজ্য ও সংযুক্তির মাধ্যমে আঞ্চলিক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।

যদি এই প্রস্তাব বাস্তবায়িত হয়, তাহলে এক সময় দক্ষিণ এশিয়ার ইউরোপীয় ইউনিয়ন হিসেবে অভিহিত সার্ক পুরোপুরি অকার্যকর হয়ে পড়বে।

সার্ক তার ঘোষিত উদ্দেশ্য পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। কারণ এটি বরাবরই পাকিস্তান ও ভারতের বৈরিতার বলি হয়েছে। সার্ক সর্বশেষ সম্মেলন করেছিল এক দশক আগে। ২০১৬ সালে পাকিস্তানে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও ভারত তাতে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকে। সে সময় ভারতের ঘনিষ্ঠ শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশও ইসলামাবাদে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

এরপর থেকে সার্ক পুনরুজ্জীবিত করার জন্য কোনো গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। যদিও পাকিস্তান সম্মেলন আয়োজনের ব্যাপারে আগ্রহী ছিল।

পহেলগাম হামলার পর তারা পাকিস্তানি ব্যবসায়ীদের জন্য সংগঠনের অধীনে বিশেষ ভিসা সুবিধা বন্ধ করে ভারত সার্ককে আরেকটি বড় ধাক্কা দেয়।

পাকিস্তান ও চীন দীর্ঘ কয়েক মাস ধরেই এই নতুন সংস্থার বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছিল এবং তারা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে সমমনা দেশগুলোর একসঙ্গে কাজ করা উচিত ভবিষ্যতের জন্য।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

সার্কের বিকল্প জোট গঠন করছে পাকিস্তান-চীন, থাকছে কি বাংলাদেশ

আপডেট সময় : ০২:১৪:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫

পাকিস্তান ও চীন একটি নতুন আঞ্চলিক সংস্থা গঠনের প্রস্তাব নিয়ে কাজ করছে। যা দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা সার্কের বিকল্প হতে পারে। সোমবার (৩০ জুন) পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যম দ্যা এক্সপ্রেস ট্রিবিউন এ সংক্রান্ত এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসলামাবাদ ও বেইজিং-এর মধ্যে আলোচনা এখন অনেক দূর এগিয়ে গেছে। উভয় পক্ষই মনে করছে আঞ্চলিক সংহতি ও সংযুক্তির জন্য একটি নতুন সংগঠন সময়ের দাবি।

গত ১৯ জুন চীনের কুনমিং শহরে পাকিস্তান, চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে এই ত্রিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তিন দেশের জ্যেষ্ঠ কূটনীতিকদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত এই বৈঠক প্রথমবারের মতো হওয়ায় ভারতে তা নিয়ে কৌতূহল ও উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।

বৈঠকের মূল লক্ষ্য ছিল সার্কের সদস্য দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোকে নতুন প্রস্তাবিত জোটে অন্তর্ভুক্ত করার আমন্ত্রণ জানানো। ভারতকেও এই নতুন ফোরামে যোগদানের আমন্ত্রণ জানানো হবে।

তবে শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, আফগানিস্তানসহ অন্যান্য দেশ এই জোটের অংশ হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। নতুন সংস্থার মূল উদ্দেশ্য হবে বর্ধিত বাণিজ্য ও সংযুক্তির মাধ্যমে আঞ্চলিক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।

যদি এই প্রস্তাব বাস্তবায়িত হয়, তাহলে এক সময় দক্ষিণ এশিয়ার ইউরোপীয় ইউনিয়ন হিসেবে অভিহিত সার্ক পুরোপুরি অকার্যকর হয়ে পড়বে।

সার্ক তার ঘোষিত উদ্দেশ্য পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। কারণ এটি বরাবরই পাকিস্তান ও ভারতের বৈরিতার বলি হয়েছে। সার্ক সর্বশেষ সম্মেলন করেছিল এক দশক আগে। ২০১৬ সালে পাকিস্তানে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও ভারত তাতে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকে। সে সময় ভারতের ঘনিষ্ঠ শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশও ইসলামাবাদে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

এরপর থেকে সার্ক পুনরুজ্জীবিত করার জন্য কোনো গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। যদিও পাকিস্তান সম্মেলন আয়োজনের ব্যাপারে আগ্রহী ছিল।

পহেলগাম হামলার পর তারা পাকিস্তানি ব্যবসায়ীদের জন্য সংগঠনের অধীনে বিশেষ ভিসা সুবিধা বন্ধ করে ভারত সার্ককে আরেকটি বড় ধাক্কা দেয়।

পাকিস্তান ও চীন দীর্ঘ কয়েক মাস ধরেই এই নতুন সংস্থার বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছিল এবং তারা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে সমমনা দেশগুলোর একসঙ্গে কাজ করা উচিত ভবিষ্যতের জন্য।