ঢাকা ১২:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৬ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাভারের তাজরীন ট্রাজেডির ১১ বছর আজ

দেশের আওয়াজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ০৮:৩২:১৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৩ ৯০ বার পড়া হয়েছে

সাভারের তাজরীন ফ্যাশনসে অগ্নিকাণ্ডের ১১ বছর পূর্ণ হচ্ছে আজ। ২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুরে কারখানাটিতে অগ্নিকাণ্ডে ১১২ জন শ্রমিক আগুনে পুড়ে মারা যান। আহত হন প্রায় দুই শতাধিক শ্রমিক।

শ্রমিকদের বাঁচার আকুতি আর নিহতদের স্বজন ও আহতদের কান্নায় সেদিন ভারী হয়ে উঠেছিল আশুলিয়ার আকাশ-বাতাস। সেই দিনের কথা ভেবে আজও ঘুমহীন কাটে আহত অনেক শ্রমিকের রাত।

আজও সেই রাতের কথা মনে পড়লে অনেক আহতরাই আঁতকে ওঠেন। ১১ বছর পর নিশ্চিন্তপুরের সেই ভবনটি দাঁড়িয়ে থাকলেও সেসব শ্রমিকরা এখন আর সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারেন না। জীবন বাঁচাতে বিভিন্ন তলা থেকে লাফ দেওয়ায় অনেকেই প্রাণে বেঁচে গেলেও এখন পঙ্গু হয়ে জীবনযাপন করছেন। শারীরিক যন্ত্রণা, সংসারের অনটনের পাশাপাশি দোষীদের শাস্তি না পাওয়ার আক্ষেপে দিন কাটছে তাদের।

শ্রমিকদের নিয়ে কাজ করা সংগঠনের নেতারা বলছেন, ১০ বছরেও হতাহত শ্রমিকরা পায়নি পুনর্বাসন ও সুচিকিৎসা। এছাড়া সরকার ও বিজিএমইএর কাছ থেকে প্রত্যাশা অনুযায়ী মেলেনি প্রাপ্তি।

কারখানাটিতে এক হাজার ১৬৩ জন শ্রমিক কাজ করতেন। ২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুরের তাজরীন ফ্যাশনসে ৯৮৪ জন শ্রমিক কর্মরত ছিলেন। তাদের মধ্যে অগ্নিকাণ্ডে ১১২ জন শ্রমিক মারা যান। মরদেহ শনাক্ত হওয়ায় ৫৮ জনকে পরিবার ও স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। অন্যদের মরদেহ শনাক্ত না হওয়ায় তাদের জুরাইন কবরস্থানে দাফন করা হয়। এছাড়াও এ ঘটনায় আহত হয়ে পঙ্গুত্ব নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন শতাধিক শ্রমিক।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

সাভারের তাজরীন ট্রাজেডির ১১ বছর আজ

আপডেট সময় : ০৮:৩২:১৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৩

সাভারের তাজরীন ফ্যাশনসে অগ্নিকাণ্ডের ১১ বছর পূর্ণ হচ্ছে আজ। ২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুরে কারখানাটিতে অগ্নিকাণ্ডে ১১২ জন শ্রমিক আগুনে পুড়ে মারা যান। আহত হন প্রায় দুই শতাধিক শ্রমিক।

শ্রমিকদের বাঁচার আকুতি আর নিহতদের স্বজন ও আহতদের কান্নায় সেদিন ভারী হয়ে উঠেছিল আশুলিয়ার আকাশ-বাতাস। সেই দিনের কথা ভেবে আজও ঘুমহীন কাটে আহত অনেক শ্রমিকের রাত।

আজও সেই রাতের কথা মনে পড়লে অনেক আহতরাই আঁতকে ওঠেন। ১১ বছর পর নিশ্চিন্তপুরের সেই ভবনটি দাঁড়িয়ে থাকলেও সেসব শ্রমিকরা এখন আর সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারেন না। জীবন বাঁচাতে বিভিন্ন তলা থেকে লাফ দেওয়ায় অনেকেই প্রাণে বেঁচে গেলেও এখন পঙ্গু হয়ে জীবনযাপন করছেন। শারীরিক যন্ত্রণা, সংসারের অনটনের পাশাপাশি দোষীদের শাস্তি না পাওয়ার আক্ষেপে দিন কাটছে তাদের।

শ্রমিকদের নিয়ে কাজ করা সংগঠনের নেতারা বলছেন, ১০ বছরেও হতাহত শ্রমিকরা পায়নি পুনর্বাসন ও সুচিকিৎসা। এছাড়া সরকার ও বিজিএমইএর কাছ থেকে প্রত্যাশা অনুযায়ী মেলেনি প্রাপ্তি।

কারখানাটিতে এক হাজার ১৬৩ জন শ্রমিক কাজ করতেন। ২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুরের তাজরীন ফ্যাশনসে ৯৮৪ জন শ্রমিক কর্মরত ছিলেন। তাদের মধ্যে অগ্নিকাণ্ডে ১১২ জন শ্রমিক মারা যান। মরদেহ শনাক্ত হওয়ায় ৫৮ জনকে পরিবার ও স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। অন্যদের মরদেহ শনাক্ত না হওয়ায় তাদের জুরাইন কবরস্থানে দাফন করা হয়। এছাড়াও এ ঘটনায় আহত হয়ে পঙ্গুত্ব নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন শতাধিক শ্রমিক।