ঢাকা ০৭:২৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাইবার নিরাপত্তা আইন যেন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো দমনমূলক না হয়: অ্যামনেস্টি

দেশের আওয়াজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ০৪:৫২:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ অগাস্ট ২০২৩ ১০৪ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংস্থাটি বলেছে, ক্ষমতাসীন দল ও এর সহযোগীরা কঠোর ওই আইনকে ভিন্নমত দমন এবং অনলাইনে মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ন করতে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছিল।

সোমবার (৭ আগস্ট) মন্ত্রিসভা বৈঠকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাদ দিয়ে বিষয়বস্তুতে বড় পরিবর্তন এনে ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন’ নামে নতুন আইন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই ঘোষণা আসার পর অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক আঞ্চলিক দপ্তর এক টুইটে এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকারকে এটা অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের পরিবর্তে যে সাইবার নিরাপত্তা আইন করার পরিকল্পনা করা হয়েছে, তাতে যেন ওই আইনের দমনমূলক বৈশিষ্ট্যগুলো ফিরিয়ে আনা না হয়।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল আরও বলেছে, নতুন আইনটি পাস হওয়ার আগে সব অংশীদার যেন প্রস্তাবিত এই আইন খুঁটিয়ে দেখা এবং এটা নিয়ে মতামত প্রদানের যথেষ্ট সুযোগ দেওয়া হয়। এর বিধানগুলো যেন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সঙ্গে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়, সে আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

কেবল মতপ্রকাশের স্বাধীনতার অধিকারচর্চার কারণে যাঁদের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আওতায় আনা হয়েছে, তাঁদেরকে অবিলম্বে নিঃশর্তভাবে মুক্তি প্রদান এবং তাঁদের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ প্রত্যাহার করতে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

সাইবার নিরাপত্তা আইন যেন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো দমনমূলক না হয়: অ্যামনেস্টি

আপডেট সময় : ০৪:৫২:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ অগাস্ট ২০২৩

বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংস্থাটি বলেছে, ক্ষমতাসীন দল ও এর সহযোগীরা কঠোর ওই আইনকে ভিন্নমত দমন এবং অনলাইনে মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ন করতে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছিল।

সোমবার (৭ আগস্ট) মন্ত্রিসভা বৈঠকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাদ দিয়ে বিষয়বস্তুতে বড় পরিবর্তন এনে ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন’ নামে নতুন আইন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই ঘোষণা আসার পর অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক আঞ্চলিক দপ্তর এক টুইটে এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকারকে এটা অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের পরিবর্তে যে সাইবার নিরাপত্তা আইন করার পরিকল্পনা করা হয়েছে, তাতে যেন ওই আইনের দমনমূলক বৈশিষ্ট্যগুলো ফিরিয়ে আনা না হয়।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল আরও বলেছে, নতুন আইনটি পাস হওয়ার আগে সব অংশীদার যেন প্রস্তাবিত এই আইন খুঁটিয়ে দেখা এবং এটা নিয়ে মতামত প্রদানের যথেষ্ট সুযোগ দেওয়া হয়। এর বিধানগুলো যেন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সঙ্গে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়, সে আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

কেবল মতপ্রকাশের স্বাধীনতার অধিকারচর্চার কারণে যাঁদের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আওতায় আনা হয়েছে, তাঁদেরকে অবিলম্বে নিঃশর্তভাবে মুক্তি প্রদান এবং তাঁদের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ প্রত্যাহার করতে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।