ঢাকা ০১:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৬ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সহিংসতার ঘটনায় আন্তর্জাতিক তদন্ত চেয়ে দূতাবাসগুলোতে বিএনপির চিঠি

দেশের আওয়াজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ১০:১৩:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ নভেম্বর ২০২৩ ১০৭ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশে অবস্থানরত বিভিন্ন দেশের দূতাবাসগুলোতে চিঠি দিয়েছে বিএনপি। চিঠিতে গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশে সহিংসতার ঘটনা থেকে শুরু করে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর, বিস্ফোরণ এবং গুপ্তহত্যার বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে। সেইসঙ্গে চলমান গুম, খুন এবং সহিংসতার বিষয়ে আন্তর্জাতিক তদন্ত দাবি করেছে দলটি।

গত সোমবার বাংলাদেশে অবস্থিত বিভিন্ন দূতাবাস ও কূটনৈতিক মিশনে চিঠি দেয় দেড় দশকেরও বেশি সময় ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা দল বিএনপি।

বিএনপির একাধিক সূত্র চিঠি দেওয়ার বিষয়টি জানালেও বিএনপির চিঠি পেয়েছে কি না, কোনো দূতাবাসের পক্ষ থেকে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

চিঠির বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে বিএনপি নেতৃবৃন্দের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রায়ই বৈঠক হতো। রাজনৈতিক বিষয়সহ বিভিন্ন বিষয় তাদের অবহিত করা হতো। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল কোনো চিঠি দেওয়া হতে পারে।’

বিএনপি নেতারা বলছে, বর্তমান সরকারের অধীনে ভোটে অংশ নেবে না তারা। দাবি আদায়ে রাজপথের আন্দোলন কর্মসূচি জোরদারের পাশাপাশি কূটনীতিকদের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নকে গুরুত্ব দিচ্ছে তারা। সেজন্য দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।

বিএনপির চিঠিতে বলা হয়েছে, বর্তমান সরকারের শাসনামলে সংঘটিত নিন্দনীয় অগ্নিসংযোগ ও সহিংস কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানায় বিএনপি। আমরা একটি নিরপেক্ষ ও সূক্ষ্ম তদন্তের দাবি জানাই এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার রাজনৈতিক সদস্য ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ কর্মীদের সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টার তীব্র বিরোধিতা করি, যারা দেশব্যাপী ক্র্যাকডাউনের মাধ্যমে বিরোধী দলকে নির্মমভাবে দমন করতে এ পরিস্থিতিকে কাজে লাগায়।

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে- সারাদেশে ‘অগ্নিসন্ত্রাস-নাশকতা’র ঘটনা ক্ষমতাসীনরাই ঘটাচ্ছে। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় দেশজুড়ে ভীতির রাজত্ব কায়েমের অশুভ উদ্দেশে প্রতিদিন নৈরাজ্যে লিপ্ত হচ্ছে আওয়ামী লীগের দুষ্কৃতিকারী কর্মীরা। তারা গণপরিবহনে অব্যাহতভাবে অগ্নিসংযোগ করছে আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নীরব দর্শকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। জ্বালাও-পোড়াও করে অপরাধীরা খুব সহজে ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়েছে। অথচ প্রত্যক্ষদর্শৗদের মতে অধিকাংশ ঘটনা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে বা বড় পুলিশ চেকপোস্টের কাছাকাছি ঘটছে।

চিঠিতে আরও বলা হয়, এসব অগ্নিসংযোগের ঘটনা প্রতিরোধে কিংবা প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেফতারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ইচ্ছাকৃত নিষ্ক্রিয়তা প্রমাণ করে, দেশজুড়ে চলমান নাশকতায় ক্ষমতাসীন অপশক্তি জড়িত। প্রকৃতপক্ষে, আমাদের বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে যে, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনী ও তাদের আজ্ঞাবাহী পুলিশ সদস্যরা উদ্দেশ্যমূলকভাবে যানবাহনে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে। সামাজিক মাধ্যমে প্রচারিত বেশ কয়েকটি ভিডিও ফুটেজে চালক বা তাদের সহকারীদের বক্তব্যে স্পষ্ট, কীভাবে পুলিশ বা ছাত্রলীগ-যুবলীগের কর্মীরা তাদের বাসে আগুন দেওয়ার জন্য দায়ী।

উদাহরণ হিসেবে চিঠিতে গত ৬ নভেম্বর চট্টগ্রামের চাতরি চৌমহনী বাজারে পুলিশ বক্সের কাছে, ৩১ অক্টোবর ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবের কাছে, বাংলামোটর মোড়ে, ২৮ অক্টোবর কাকরাইলের কাছে বাসে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনা এবং ৬ নভেম্বর চট্টগ্রামে একটি ট্রাকে আগুন দেওয়ার ঘটনায় ফেনীর স্থানীয় যুবলীগ নেতা নুরুল উদ্দিন টিপুকে হাতেনাতে গ্রেফতার ও ১৪ নভেম্বর নাটোরের তাশরীক জামান রিফাত নামে আওয়ামী লীগের কর্মীকে মুখোশসহ গ্রেফতারের পর ছেড়ে দেওয়ার ঘটনা তুলে ধরা হয়।

চিঠিতে বলা হয়, দেশের সর্বত্র পুলিশ-র‍্যাবের শত শত পেট্রোল টিম এবং বিজিবির শত শত প্লাটুন অস্ত্রসজ্জিত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এর পাশাপাশি পুলিশের সশস্ত্র পূর্ণাঙ্গ সুসংহত টহল রয়েছে। বাংলাদেশ যেন এক যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। এই নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যেও বিরোধী দলের সদস্য কোনো প্রকার সহিংসতা বা অগ্নিসংযোগে কাজে লিপ্ত হবে এই দাবি সর্বত্রই হাস্যকর। বরং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল উপস্থিতির উদ্দেশ্য হয়তো আওয়ামী সন্ত্রাসীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। তারা যেন নিশ্চিন্তে যানবাহনে আগুন দিতে পারে, জনগণের জানমালের ক্ষতি সাধন করতে পারে এবং রাষ্ট্রীয় নৈরাজ্যের প্রেক্ষাপট তৈরিতে ভূমিকা রাখতে পারে। তাদের এসব কর্মকাণ্ড বারবার প্রমাণিত হয়েছে, বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে এসেছে, সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে…রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য বাসে আওয়ামী লীগের দুষ্কৃতিকারী নেতাকর্মীরা কীভাবে অগ্নিসংযোগে লিপ্ত হয়।

এতে আরও বলা হয়, ২০১৪ সালে বিরোধী দলের আন্দোলনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য পঙ্কজ দেবনাথ তার নিজস্ব বিহঙ্গ পরিবহনে পেট্রোল দিয়ে আগুন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বলে গণমাধ্যম মারফত জানা যায়। সেখানে আগুনে ১১ জনের মৃত্যুও হয়েছিল। ২০০৬ সালের নভেম্বরে আওয়ামী লীগ ট্রেন এবং বাসে আগুন দিয়ে, পরিবহন শ্রমিকদের ওউপর হামলা করে মানুষ হত্যা করেছিল। শেরাটনের সামনে গান পাউডার মেরে বাসে আগুন দেওয়াসহ এমন অজস্র দৃষ্টান্ত আছে, যেখানে আওয়ামী লীগ তাদের বিদ্বেষপূর্ণ-বিভাজিত রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য সহিংসতাকে ব্যবহার করেছ। মানুষ হত্যা করে, জনগণের সহায়-সম্বল ধ্বংস করে, ষড়যন্ত্রমূলকভাবে সেই দায় বিরোধী দলের ওপর চাপিয়ে, মিথ্যা মামলায় ভিন্ন দল ও মতের ওপর দমন-নিপীড়ন চালাবার যে বীভৎস রাজনীতি, তা আওয়ামী লীগ লালন করে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

সহিংসতার ঘটনায় আন্তর্জাতিক তদন্ত চেয়ে দূতাবাসগুলোতে বিএনপির চিঠি

আপডেট সময় : ১০:১৩:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ নভেম্বর ২০২৩

বাংলাদেশে অবস্থানরত বিভিন্ন দেশের দূতাবাসগুলোতে চিঠি দিয়েছে বিএনপি। চিঠিতে গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশে সহিংসতার ঘটনা থেকে শুরু করে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর, বিস্ফোরণ এবং গুপ্তহত্যার বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে। সেইসঙ্গে চলমান গুম, খুন এবং সহিংসতার বিষয়ে আন্তর্জাতিক তদন্ত দাবি করেছে দলটি।

গত সোমবার বাংলাদেশে অবস্থিত বিভিন্ন দূতাবাস ও কূটনৈতিক মিশনে চিঠি দেয় দেড় দশকেরও বেশি সময় ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা দল বিএনপি।

বিএনপির একাধিক সূত্র চিঠি দেওয়ার বিষয়টি জানালেও বিএনপির চিঠি পেয়েছে কি না, কোনো দূতাবাসের পক্ষ থেকে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

চিঠির বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে বিএনপি নেতৃবৃন্দের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রায়ই বৈঠক হতো। রাজনৈতিক বিষয়সহ বিভিন্ন বিষয় তাদের অবহিত করা হতো। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল কোনো চিঠি দেওয়া হতে পারে।’

বিএনপি নেতারা বলছে, বর্তমান সরকারের অধীনে ভোটে অংশ নেবে না তারা। দাবি আদায়ে রাজপথের আন্দোলন কর্মসূচি জোরদারের পাশাপাশি কূটনীতিকদের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নকে গুরুত্ব দিচ্ছে তারা। সেজন্য দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।

বিএনপির চিঠিতে বলা হয়েছে, বর্তমান সরকারের শাসনামলে সংঘটিত নিন্দনীয় অগ্নিসংযোগ ও সহিংস কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানায় বিএনপি। আমরা একটি নিরপেক্ষ ও সূক্ষ্ম তদন্তের দাবি জানাই এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার রাজনৈতিক সদস্য ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ কর্মীদের সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টার তীব্র বিরোধিতা করি, যারা দেশব্যাপী ক্র্যাকডাউনের মাধ্যমে বিরোধী দলকে নির্মমভাবে দমন করতে এ পরিস্থিতিকে কাজে লাগায়।

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে- সারাদেশে ‘অগ্নিসন্ত্রাস-নাশকতা’র ঘটনা ক্ষমতাসীনরাই ঘটাচ্ছে। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় দেশজুড়ে ভীতির রাজত্ব কায়েমের অশুভ উদ্দেশে প্রতিদিন নৈরাজ্যে লিপ্ত হচ্ছে আওয়ামী লীগের দুষ্কৃতিকারী কর্মীরা। তারা গণপরিবহনে অব্যাহতভাবে অগ্নিসংযোগ করছে আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নীরব দর্শকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। জ্বালাও-পোড়াও করে অপরাধীরা খুব সহজে ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়েছে। অথচ প্রত্যক্ষদর্শৗদের মতে অধিকাংশ ঘটনা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে বা বড় পুলিশ চেকপোস্টের কাছাকাছি ঘটছে।

চিঠিতে আরও বলা হয়, এসব অগ্নিসংযোগের ঘটনা প্রতিরোধে কিংবা প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেফতারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ইচ্ছাকৃত নিষ্ক্রিয়তা প্রমাণ করে, দেশজুড়ে চলমান নাশকতায় ক্ষমতাসীন অপশক্তি জড়িত। প্রকৃতপক্ষে, আমাদের বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে যে, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনী ও তাদের আজ্ঞাবাহী পুলিশ সদস্যরা উদ্দেশ্যমূলকভাবে যানবাহনে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে। সামাজিক মাধ্যমে প্রচারিত বেশ কয়েকটি ভিডিও ফুটেজে চালক বা তাদের সহকারীদের বক্তব্যে স্পষ্ট, কীভাবে পুলিশ বা ছাত্রলীগ-যুবলীগের কর্মীরা তাদের বাসে আগুন দেওয়ার জন্য দায়ী।

উদাহরণ হিসেবে চিঠিতে গত ৬ নভেম্বর চট্টগ্রামের চাতরি চৌমহনী বাজারে পুলিশ বক্সের কাছে, ৩১ অক্টোবর ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবের কাছে, বাংলামোটর মোড়ে, ২৮ অক্টোবর কাকরাইলের কাছে বাসে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনা এবং ৬ নভেম্বর চট্টগ্রামে একটি ট্রাকে আগুন দেওয়ার ঘটনায় ফেনীর স্থানীয় যুবলীগ নেতা নুরুল উদ্দিন টিপুকে হাতেনাতে গ্রেফতার ও ১৪ নভেম্বর নাটোরের তাশরীক জামান রিফাত নামে আওয়ামী লীগের কর্মীকে মুখোশসহ গ্রেফতারের পর ছেড়ে দেওয়ার ঘটনা তুলে ধরা হয়।

চিঠিতে বলা হয়, দেশের সর্বত্র পুলিশ-র‍্যাবের শত শত পেট্রোল টিম এবং বিজিবির শত শত প্লাটুন অস্ত্রসজ্জিত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এর পাশাপাশি পুলিশের সশস্ত্র পূর্ণাঙ্গ সুসংহত টহল রয়েছে। বাংলাদেশ যেন এক যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। এই নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যেও বিরোধী দলের সদস্য কোনো প্রকার সহিংসতা বা অগ্নিসংযোগে কাজে লিপ্ত হবে এই দাবি সর্বত্রই হাস্যকর। বরং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল উপস্থিতির উদ্দেশ্য হয়তো আওয়ামী সন্ত্রাসীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। তারা যেন নিশ্চিন্তে যানবাহনে আগুন দিতে পারে, জনগণের জানমালের ক্ষতি সাধন করতে পারে এবং রাষ্ট্রীয় নৈরাজ্যের প্রেক্ষাপট তৈরিতে ভূমিকা রাখতে পারে। তাদের এসব কর্মকাণ্ড বারবার প্রমাণিত হয়েছে, বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে এসেছে, সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে…রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য বাসে আওয়ামী লীগের দুষ্কৃতিকারী নেতাকর্মীরা কীভাবে অগ্নিসংযোগে লিপ্ত হয়।

এতে আরও বলা হয়, ২০১৪ সালে বিরোধী দলের আন্দোলনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য পঙ্কজ দেবনাথ তার নিজস্ব বিহঙ্গ পরিবহনে পেট্রোল দিয়ে আগুন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বলে গণমাধ্যম মারফত জানা যায়। সেখানে আগুনে ১১ জনের মৃত্যুও হয়েছিল। ২০০৬ সালের নভেম্বরে আওয়ামী লীগ ট্রেন এবং বাসে আগুন দিয়ে, পরিবহন শ্রমিকদের ওউপর হামলা করে মানুষ হত্যা করেছিল। শেরাটনের সামনে গান পাউডার মেরে বাসে আগুন দেওয়াসহ এমন অজস্র দৃষ্টান্ত আছে, যেখানে আওয়ামী লীগ তাদের বিদ্বেষপূর্ণ-বিভাজিত রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য সহিংসতাকে ব্যবহার করেছ। মানুষ হত্যা করে, জনগণের সহায়-সম্বল ধ্বংস করে, ষড়যন্ত্রমূলকভাবে সেই দায় বিরোধী দলের ওপর চাপিয়ে, মিথ্যা মামলায় ভিন্ন দল ও মতের ওপর দমন-নিপীড়ন চালাবার যে বীভৎস রাজনীতি, তা আওয়ামী লীগ লালন করে।