‘শিশু নির্যাতনের’ জন্য গ্রেফতার সাংবাদিক শামসুজ্জামান

- আপডেট সময় : ০৪:১৩:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ এপ্রিল ২০২৩ ১১৮ বার পড়া হয়েছে
জীবনযাত্রার খরচ নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জন্য নয়, প্রথম আলোর সাংবাদিককে মূলত চাইল্ড অ্যাবিউজের (শিশু নিপীড়ন) কারণে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে বিবৃতিতে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয় বলছে, ‘সম্প্রতি শামসুজ্জামানকে গ্রেফতার নিয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে সংবাদে বলা হচ্ছে যে, জীবনযাত্রার মান নিয়ে প্রতিবেদন লেখার কারণে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে; এই তথ্যটি সম্পূর্ণ ভুল ও বানোয়াট। ওই সাংবাদিককে গ্রেফতার করা হয়েছে চাইল্ড অ্যাবিউজ ও এক্সপ্লয়টেশনের (শিশু নিপীড়ন ও শোষণ) জন্য।’
শনিবার (০১ এপ্রিল) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
‘ওই সাংবাদিক ৯ বছরের একটি শিশুকে ১০ টাকা দিয়েছিলেন এবং নিজের ভাষ্য ওই শিশুকে দিয়ে বলিয়েছিলেন’ অভিযোগ করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এটি অবশ্যই চাইল্ড অ্যাবিউজ ও এক্সপ্লয়েটেশন। দ্বিতীয়ত মহান স্বাধীনতা দিবসে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে খাটো করে দেখার চেষ্টা করেছেন; এই ধরনের কার্যকলাপও অবশ্যই অপরাধযোগ্য শাস্তি।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, ‘প্রতিটি নাগরিকের জন্য বাক প্রকাশে স্বাধীনতা বজায় রাখার জন্য সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কিন্তু প্রতারণামূলক কাজের মাধ্যমে সামাজিক অস্থিরতা তৈরি করা সৎ সাংবাদিকতার পরিপন্থী।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার সব নাগরিক ও গণমাধ্যমের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর। তবে এ ধরনের প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ড সৎ সাংবাদিকতার চেতনাবিরোধী। জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদ (সিআরসি) সমর্থনকারী হিসেবে বাংলাদেশ সরকার এ ধরনের শিশু নিপীড়নমূলক কর্মকাণ্ড সহ্য করবে না। দেশের স্বাধীনতা দিবসকে অবমাননা করার এমন প্রচেষ্টাও সরকার মেনে নেবে না।
গত ২৬ মার্চ প্রথম আলো অনলাইনের একটি প্রতিবেদন ফেসবুকে প্রকাশের সময় দিনমজুর জাকির হোসেনের উদ্ধৃতি দিয়ে একটি ‘কার্ড’ তৈরি করা হয়। সেখানে উদ্ধৃতিদাতা হিসেবে দিনমজুর জাকির হোসেনের নাম থাকলেও ভুল করে ছবি দেওয়া হয় একটি শিশুর। পরে অবশ্য সেটি অনলাইন থেকে সরিয়ে নেয় প্রথম আলো।
ওই ঘটনার জেরে বুধবার ভোর চারটার দিকে সাভারের বাসা থেকে সিআইডি পরিচয়ে তুলে নেয়া হয়। পরে রাতে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়। এ মামলার বাদী যুবলীগের ঢাকা মহানগর উত্তরের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মো. গোলাম কিবরিয়া।
পরে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রমনা থানায় মামলা হয়। যাতে প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানের সঙ্গে শামসুজ্জামানকেও আসামি করা হয়। এই মামলায় শামসুজ্জামানকে গ্রেফতার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার শামুজ্জামানকে আদালতে তোলা হয়। রমনা থানার মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।