ঢাকা ০৩:৪৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাগমারায় বারনই নদী থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার বরিশালে ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় ৩ মৃত্যু, আক্রান্ত ১২৪ লন্ডন বৈঠক গণতন্ত্রে উত্তরণের মাইলফলক: ১২ দলীয় জোটের প্রতিক্রিয়া নাটোরে পুলিশের বাসে বিনামূল্যে ঢাকায় গেল শতাধিক যাত্রী নতুন সেনাপ্রধান ও আইআরজিসি প্রধানের নাম ঘোষণা করল ইরান চুক্তি না করলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে: ইরানকে হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের ইসরায়েলি হামলায় তেহরানে ৭৮ জন নিহত, আহত ৩২৯ ইসরায়েলকে ‘বোকামির’ মূল্য দিতে হবে: ইরানি প্রেসিডেন্ট খেতুরী ধামে ধর্মীয় সমাবেশের নামে ট্রাস্টিদের হেনস্তার প্রচেষ্টা, সংঘাতের আশঙ্কা হযরত মুহাম্মদ (সা) নিয়ে কটুক্তি, যুবককে থানায় সোপর্দ

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শনিবার বন্ধ থাকবে কি না, সিদ্ধান্ত ঈদের পর

দেশের আওয়াজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ১১:১২:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন ২০২৪ ৭৬ বার পড়া হয়েছে

দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিশেষ করে মাধ্যমিক বিদ্যালয় শনিবার খোলা বা বন্ধ রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত পবিত্র ঈদুল আজহার পর নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল ইসলাম চৌধুরী নওফেল।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) রাজধানীর বকশিবাজারে আলিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগ আয়োজিত এক কর্মসূচিতে তিনি এ কথা জানান।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এখন পর্যন্ত শনিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা আছে। আমরা চেষ্টা করছি, শনিবার যে বন্ধ পূর্বে ছিল, সেটা যাতে করে বলবৎ রাখতে পারি। ইতিমধ্যে আমরা ক্যালেন্ডারের (শিক্ষাবর্ষের) হিসাব নিয়েছি।

তিনি বলেন, বেশকিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র নির্বাচিত হয়েছে, প্রায় চারশর মতো। সেখানে কিন্তু সংযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো আছে, সেগুলো শনিবার খোলা রাখতে হতে পারে। আবার সিলেট অঞ্চলে বন্যার কারণে যেসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল, সেগুলোতেও বিশেষভাবে খোলা রাখার বিধান রেখে দেশের অন্যান্য জায়গায় পূর্বের মতো বহাল হাল রাখতে পারি, তার ওয়ার্ক-আউট করা হচ্ছে। আমরা ঈদুল আজহার পর সুনির্দিষ্ট প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সবাইকে অবগত করব। তবে এ মুহূর্তে যেটা মনে হচ্ছে, বন্ধ রাখাটা (শনিবার) সম্ভব হবে।

কওমি মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীদের কাউন্সেলিং করার জন্য বিশেষ সেল গঠন করার পরামর্শ দিয়ে মহিবুল হাসান বলেন, কওমি মাদ্রাসার সন্তানেরাও আমাদের সন্তান, তারাও এ দেশের নাগরিক। রাজনৈতিকভাবে মতাদর্শের দিক থেকে তারা দেশের সংবিধান ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে যাতে বিচ্যুত না হয়। আমি বলব তাদের (শিক্ষার্থীদের) কাউন্সেলিং করার জন্য বিশেষ সেল গঠন করা উচিত।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এবং অন্যান্য ছাত্র সংগঠনকে বলতে চাই— আমাদের অনেক প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠন আছে, তারাও যাতে করে কওমি মাদ্রাসাগুলোতে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, স্বাধীনতার অনুপ্রেরণা, সংবিধানে যে চার মূলনীতি, সেগুলোর বিষয়ে তাদের কাউন্সেলিং করান।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শনিবার বন্ধ থাকবে কি না, সিদ্ধান্ত ঈদের পর

আপডেট সময় : ১১:১২:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন ২০২৪

দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিশেষ করে মাধ্যমিক বিদ্যালয় শনিবার খোলা বা বন্ধ রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত পবিত্র ঈদুল আজহার পর নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল ইসলাম চৌধুরী নওফেল।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) রাজধানীর বকশিবাজারে আলিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগ আয়োজিত এক কর্মসূচিতে তিনি এ কথা জানান।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এখন পর্যন্ত শনিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা আছে। আমরা চেষ্টা করছি, শনিবার যে বন্ধ পূর্বে ছিল, সেটা যাতে করে বলবৎ রাখতে পারি। ইতিমধ্যে আমরা ক্যালেন্ডারের (শিক্ষাবর্ষের) হিসাব নিয়েছি।

তিনি বলেন, বেশকিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র নির্বাচিত হয়েছে, প্রায় চারশর মতো। সেখানে কিন্তু সংযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো আছে, সেগুলো শনিবার খোলা রাখতে হতে পারে। আবার সিলেট অঞ্চলে বন্যার কারণে যেসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল, সেগুলোতেও বিশেষভাবে খোলা রাখার বিধান রেখে দেশের অন্যান্য জায়গায় পূর্বের মতো বহাল হাল রাখতে পারি, তার ওয়ার্ক-আউট করা হচ্ছে। আমরা ঈদুল আজহার পর সুনির্দিষ্ট প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সবাইকে অবগত করব। তবে এ মুহূর্তে যেটা মনে হচ্ছে, বন্ধ রাখাটা (শনিবার) সম্ভব হবে।

কওমি মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীদের কাউন্সেলিং করার জন্য বিশেষ সেল গঠন করার পরামর্শ দিয়ে মহিবুল হাসান বলেন, কওমি মাদ্রাসার সন্তানেরাও আমাদের সন্তান, তারাও এ দেশের নাগরিক। রাজনৈতিকভাবে মতাদর্শের দিক থেকে তারা দেশের সংবিধান ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে যাতে বিচ্যুত না হয়। আমি বলব তাদের (শিক্ষার্থীদের) কাউন্সেলিং করার জন্য বিশেষ সেল গঠন করা উচিত।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এবং অন্যান্য ছাত্র সংগঠনকে বলতে চাই— আমাদের অনেক প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠন আছে, তারাও যাতে করে কওমি মাদ্রাসাগুলোতে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, স্বাধীনতার অনুপ্রেরণা, সংবিধানে যে চার মূলনীতি, সেগুলোর বিষয়ে তাদের কাউন্সেলিং করান।