ঢাকা ০২:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হলো বিএনপির গণমিছিল

দেশের আওয়াজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ০৬:২৮:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২২ ১৩৭ বার পড়া হয়েছে

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পতন, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন, সকল রাজবন্দিদের মুক্তিসহ নানা দাবিতে বিএনপির ডাকা গণমিছিল শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে।
বিএনপি ছাড়াও শান্তিপূর্ণভাবে গণমিছিল করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, ১১ দলীয় জোট ও লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি। যুগপৎ আন্দোলনের দ্বিতীয় কর্মসূচি হিসেবে আগামী ১১ জানুয়ারি সারাদেশে বিভাগ ও মহানগরে গণঅবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা করেছে দলগুলো।

রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন না থাকায় গণমিছিলের অনুমতি পায়নি জামায়েতে ইসলামী। অনুমতি না থাকা সত্ত্বেও বিএনপির সঙ্গে গণমিছিল করতে গিয়ে সংঘাতে লিপ্ত হয়েছে দলটি। শুক্রবার জুমার নামাজের পর পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়িয়েছে তারা। পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১১ জামায়াতকর্মীকে।

শুক্রবার বিকেল সাড়ে তিনটায় নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে গণমিছিল শুরু করে বিএনপি। সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে মালিবাগ মোড়ে মিছিলের সমাপ্তি ঘোষণা করেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

মিছিলে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীর উত্তম, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেনসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের হাজার হাজার নেতাকর্মী।

এদিন সকাল ১০টা থেকেই ব্যানার, ফেস্টুন, জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা হাতে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মীর মিছিল স্থলে উপস্থিত হতে দেখা গেছে। এসময় খালেদা জিয়ার মুক্তি, সরকারের পদত্যাগ এবং সরকার বিরোধী বিভিন্ন স্লোগানে রাজপথ মুখরিত করে তুলেন তারা। এছাড়া নেতাকর্মীরা মাথায় সাদা, লাল ও সবুজ ক্যাপ এবং জাতীয় পতাকা পড়ে গলমিছিলে অংশ নিতে দেখা গেছে।

গণমিছিল ঘিরে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের আশপাশে কঠোর অবস্থানে ছিলেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদস্যরা। কার্যালয়ের আশপাশে সাদা পোশাকে দায়িত্ব পালন করেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। জনসমাগম ঘটিয়ে যাতে কোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে, সে জন্য সার্বিক প্রস্তুতিও নেয়া হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হলো বিএনপির গণমিছিল

আপডেট সময় : ০৬:২৮:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২২

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পতন, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন, সকল রাজবন্দিদের মুক্তিসহ নানা দাবিতে বিএনপির ডাকা গণমিছিল শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে।
বিএনপি ছাড়াও শান্তিপূর্ণভাবে গণমিছিল করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, ১১ দলীয় জোট ও লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি। যুগপৎ আন্দোলনের দ্বিতীয় কর্মসূচি হিসেবে আগামী ১১ জানুয়ারি সারাদেশে বিভাগ ও মহানগরে গণঅবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা করেছে দলগুলো।

রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন না থাকায় গণমিছিলের অনুমতি পায়নি জামায়েতে ইসলামী। অনুমতি না থাকা সত্ত্বেও বিএনপির সঙ্গে গণমিছিল করতে গিয়ে সংঘাতে লিপ্ত হয়েছে দলটি। শুক্রবার জুমার নামাজের পর পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়িয়েছে তারা। পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১১ জামায়াতকর্মীকে।

শুক্রবার বিকেল সাড়ে তিনটায় নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে গণমিছিল শুরু করে বিএনপি। সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে মালিবাগ মোড়ে মিছিলের সমাপ্তি ঘোষণা করেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

মিছিলে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীর উত্তম, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেনসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের হাজার হাজার নেতাকর্মী।

এদিন সকাল ১০টা থেকেই ব্যানার, ফেস্টুন, জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা হাতে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মীর মিছিল স্থলে উপস্থিত হতে দেখা গেছে। এসময় খালেদা জিয়ার মুক্তি, সরকারের পদত্যাগ এবং সরকার বিরোধী বিভিন্ন স্লোগানে রাজপথ মুখরিত করে তুলেন তারা। এছাড়া নেতাকর্মীরা মাথায় সাদা, লাল ও সবুজ ক্যাপ এবং জাতীয় পতাকা পড়ে গলমিছিলে অংশ নিতে দেখা গেছে।

গণমিছিল ঘিরে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের আশপাশে কঠোর অবস্থানে ছিলেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদস্যরা। কার্যালয়ের আশপাশে সাদা পোশাকে দায়িত্ব পালন করেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। জনসমাগম ঘটিয়ে যাতে কোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে, সে জন্য সার্বিক প্রস্তুতিও নেয়া হয়।