ঢাকা ০২:৩৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শান্তিগঞ্জের ঠাকুরভোগ গ্রামে হামলার ঘটনায় মামলা, সুফি মিয়া গ্রেপ্তার

সুনামগঞ্জ সংবাদদাতাঃ
  • আপডেট সময় : ১১:২১:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুলাই ২০২৩ ৭৭ বার পড়া হয়েছে

সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়নের ঠাকুরভোগ গ্রামের বিভিন্ন মামলার আসামী মো. সুফি মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার বাদ জুম্মা শান্তিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোহাম্মদ খালেদ চৌধুরীর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়নের দুর্বাকান্দা গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

মামলায় আহত মানিক মিয়া নিজে বাদি হয়ে গত ২৪ জুলাই ঠাকুরভোগ গ্রামের মৃত তছই মিয়ার ছেলে মো. নুর মিয়া,মৃত গুরাই মিয়ার ছেলে মো. সুফি মিয়া,মৃত তছই মিয়ার ছেলে ফজলু মিয়া,মৃত মছব্বির মিয়ার ছেলে আখলু মিয়া,আলাই মিয়ার ছেলে আতাউর রহমান,মৃত মছব্বির মিয়ার ছেলে আলাই মিয়া,আখলু মিয়ার ছেলে নাঈদ,মৃত মছব্বির মিয়ার ছেলে কালন মিয়া,নজরুল ইসলামের ছেলে স্বপন মিয়া,মৃত আব্দুল মন্নানের ছেলে নজরুল ইসলাম,সুফি মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া,জুবেল মিয়া,মৃত কলমন্দর উল্ল্যাহর ছেলে চাঁন মিয়া,চান মিয়ার ছেলে ইমন,নুর মিয়ার ছেলে টিটু মিয়া,মৃত তোতাই মিয়ার ছেলে মজিবুর রহমান,মজিবুর রহমানের ছেলে সজিবুর,মৃত ফিরাছত উল্ল্যাহর ছেলে সিরাজ মিয়া,সিরাজ মিয়ার ছেলে আরশাদ মিয়া,আয়াজ উল্ল্যাহর ছেলে সালাম,মৃত কলমন্দর উল্ল্যাহর ছেলে পরতাব উল্ল্যাহ,নজরুল ইসলামের ছেলে উজ্জল,মৃতমহিবুর রহমানের ছেলে জুলু মিয়া,মহিবুর রহমানের ছেলে খলিউরসহ ২৫জনকে আসামী করে দন্ডবিধির ১৪৩/১১৪/৩২৩/৩২৪/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৪২৭ এবং ৫০৬ পেনাল কোডে শান্তিগঞ্জ থানায় এ মামলাটি রুজু করা হয়। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের ৪দিনের মাথায় আজ শুক্রবার(২৮ জুলাই) বিকেলে পুলিশ ইউনিয়নের দুর্বাকান্দা গ্রামে অভিযান চালিয়ে মামলার ২নং আসামী সুফি মিয়াকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন। হয়তো শনিবার আদালতে গ্রেপ্তারকৃতকে হাজির করার কথা রয়েছে।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায, গ্রেপ্তারকৃত সুফি মিয়া একাধিক ডাকাতি মামলার আসামী। এছাড়া তার বিরুদ্ধে নারী ঘটিত বিষয়সহ এলাকায় সালিশ বিচারে টাকা খেয়ে বিচার কার্য পরিচালনা করে থাকেন। তিনি টাকার বিনিময়ে বিচার কার্যে সত্যকে মিথ্যা এবং মিথ্যাকে সত্য বানাতে অভ্যস্থ বলে উল্লেখ করা হয়।

উল্লেখ্য গত ২২ জুলাই শনিবার ঠাকুরভোগ পল্লীতে শিশুদের ক্যারাম খেলাকে নিয়ে গ্রামের সুফি মিয়া ও নুর মিয়ার নির্দেশে গ্রামের একদল সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোকজন দেশীয় ও দাড়াঁলো অস্ত্র দা,রামদা লাঠিসোটা নিয়ে গ্রামের মানিক মিয়ার বাড়ির হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা দাড়াঁলো অস্ত্র দিয়ে মনির মিয়াসহ ৫জনকে আহত করেন। আহতরা হলেন ঠাকুরভোগ গ্রামের মানিক মিয়া,আব্দাল মিয়া,আবুল ও ডালিম ।

এদের মধ্যে মণির মিয়া ও মানিক মিয়ার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকলে ও মণির মিয়ার গুরুতর হওয়ায় তিনি মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন বলে আহতের পরিবারের সদস্যরা জানান। বাকি আহত আব্দাল মিয়া,আবুল ও ডালিম মিয়া সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এ ব্যাপারে মামলার বাদি আহত মানিক মিয়া জানান,মামলার এক নম্বর ও দুই নম্বর আসামীর নির্দেশে পেশীশক্তির জোরে তারা গ্রামে মদ,জুয়া,চুরি ডাকাতিসহ নানান অপকর্ম একটার পর একটা করেই চলেছে। কাজেই অবিলম্বে সকল আসামীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের জন্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন।

এ ব্যাপারে শান্তিগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ খালেদ চৌধুরী সুফি মিয়াকে গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বাকি আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে বলে ও জানান তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

শান্তিগঞ্জের ঠাকুরভোগ গ্রামে হামলার ঘটনায় মামলা, সুফি মিয়া গ্রেপ্তার

আপডেট সময় : ১১:২১:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুলাই ২০২৩

সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়নের ঠাকুরভোগ গ্রামের বিভিন্ন মামলার আসামী মো. সুফি মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার বাদ জুম্মা শান্তিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোহাম্মদ খালেদ চৌধুরীর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়নের দুর্বাকান্দা গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

মামলায় আহত মানিক মিয়া নিজে বাদি হয়ে গত ২৪ জুলাই ঠাকুরভোগ গ্রামের মৃত তছই মিয়ার ছেলে মো. নুর মিয়া,মৃত গুরাই মিয়ার ছেলে মো. সুফি মিয়া,মৃত তছই মিয়ার ছেলে ফজলু মিয়া,মৃত মছব্বির মিয়ার ছেলে আখলু মিয়া,আলাই মিয়ার ছেলে আতাউর রহমান,মৃত মছব্বির মিয়ার ছেলে আলাই মিয়া,আখলু মিয়ার ছেলে নাঈদ,মৃত মছব্বির মিয়ার ছেলে কালন মিয়া,নজরুল ইসলামের ছেলে স্বপন মিয়া,মৃত আব্দুল মন্নানের ছেলে নজরুল ইসলাম,সুফি মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া,জুবেল মিয়া,মৃত কলমন্দর উল্ল্যাহর ছেলে চাঁন মিয়া,চান মিয়ার ছেলে ইমন,নুর মিয়ার ছেলে টিটু মিয়া,মৃত তোতাই মিয়ার ছেলে মজিবুর রহমান,মজিবুর রহমানের ছেলে সজিবুর,মৃত ফিরাছত উল্ল্যাহর ছেলে সিরাজ মিয়া,সিরাজ মিয়ার ছেলে আরশাদ মিয়া,আয়াজ উল্ল্যাহর ছেলে সালাম,মৃত কলমন্দর উল্ল্যাহর ছেলে পরতাব উল্ল্যাহ,নজরুল ইসলামের ছেলে উজ্জল,মৃতমহিবুর রহমানের ছেলে জুলু মিয়া,মহিবুর রহমানের ছেলে খলিউরসহ ২৫জনকে আসামী করে দন্ডবিধির ১৪৩/১১৪/৩২৩/৩২৪/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৪২৭ এবং ৫০৬ পেনাল কোডে শান্তিগঞ্জ থানায় এ মামলাটি রুজু করা হয়। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের ৪দিনের মাথায় আজ শুক্রবার(২৮ জুলাই) বিকেলে পুলিশ ইউনিয়নের দুর্বাকান্দা গ্রামে অভিযান চালিয়ে মামলার ২নং আসামী সুফি মিয়াকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন। হয়তো শনিবার আদালতে গ্রেপ্তারকৃতকে হাজির করার কথা রয়েছে।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায, গ্রেপ্তারকৃত সুফি মিয়া একাধিক ডাকাতি মামলার আসামী। এছাড়া তার বিরুদ্ধে নারী ঘটিত বিষয়সহ এলাকায় সালিশ বিচারে টাকা খেয়ে বিচার কার্য পরিচালনা করে থাকেন। তিনি টাকার বিনিময়ে বিচার কার্যে সত্যকে মিথ্যা এবং মিথ্যাকে সত্য বানাতে অভ্যস্থ বলে উল্লেখ করা হয়।

উল্লেখ্য গত ২২ জুলাই শনিবার ঠাকুরভোগ পল্লীতে শিশুদের ক্যারাম খেলাকে নিয়ে গ্রামের সুফি মিয়া ও নুর মিয়ার নির্দেশে গ্রামের একদল সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোকজন দেশীয় ও দাড়াঁলো অস্ত্র দা,রামদা লাঠিসোটা নিয়ে গ্রামের মানিক মিয়ার বাড়ির হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা দাড়াঁলো অস্ত্র দিয়ে মনির মিয়াসহ ৫জনকে আহত করেন। আহতরা হলেন ঠাকুরভোগ গ্রামের মানিক মিয়া,আব্দাল মিয়া,আবুল ও ডালিম ।

এদের মধ্যে মণির মিয়া ও মানিক মিয়ার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকলে ও মণির মিয়ার গুরুতর হওয়ায় তিনি মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন বলে আহতের পরিবারের সদস্যরা জানান। বাকি আহত আব্দাল মিয়া,আবুল ও ডালিম মিয়া সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এ ব্যাপারে মামলার বাদি আহত মানিক মিয়া জানান,মামলার এক নম্বর ও দুই নম্বর আসামীর নির্দেশে পেশীশক্তির জোরে তারা গ্রামে মদ,জুয়া,চুরি ডাকাতিসহ নানান অপকর্ম একটার পর একটা করেই চলেছে। কাজেই অবিলম্বে সকল আসামীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের জন্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন।

এ ব্যাপারে শান্তিগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ খালেদ চৌধুরী সুফি মিয়াকে গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বাকি আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে বলে ও জানান তিনি।