ঢাকা ০১:৪১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শবে কদরে যেসব আমল করবেন

দেশের আওয়াজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ০৮:৫৬:২৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৩ ৯৮ বার পড়া হয়েছে

‘শবে কদর’ বা ‘লাইলাতুল কদর’। বছরের সর্বশ্রেষ্ঠ রাত। এ রাত সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই আমি কোরআন অবতীর্ণ করেছি মহিমান্বিত রাতে। আর মহিমান্বিত রাত সম্পর্কে তুমি কী জানো? মহিমান্বিত রাত হাজার মাসের চেয়ে উত্তম।’ (সুরা : কদর, আয়াত : ১-৩)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় কদরের রাতে ইবাদতের মধ্যে রাত জাগবে, তার আগের গুনাহ ক্ষমা করা হবে।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৩৫)

শবে কদরে গুরুত্বপূর্ণ কিছু আমল ও জিকির করা যেতে পারে। নিম্নে তা তুলে ধরা হলো-

১। অনর্থক কাজ পরিহার করা (টিভি, মোবাইল ইত্যাদিতে সময় নষ্ট না করা)। (সুরা : মুমিনুন, আয়াত : ৩)

২। ইবাদতে প্রফুল্লতার জন্য আরামদায়ক পোশাক পরা।

৩। দান-সদকা করা।

৪। পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত করা। (বুখারি, হাদিস : ৪৯৯৭)

৫। বেশি বেশি নফল ও হাজতের নামাজ পড়া। (বুখারি, হাদিস : ১৯০১)

৬। দোয়া ও জিকিরে মগ্ন থাকা। নবীজি (সা.) আয়েশা (রা.)-কে কদরের রাতে পড়ার জন্য একটি দোয়া শিখিয়েছেন। তা হলো- ‘আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউউন, তুহিব্বুল আফওয়া, ফাফু আন্নি।’ (তিরমিজি, হাদিস : ৩৫১৩)

এ ছাড়া নিম্নবর্ণিত জিকিরগুলো করা যেতে পারে।

(১) সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহু আকবার। (১০০ বার)

(২) লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ। (২০০ বার)

(৩) আস্তাগফিরুল্লাহ (কমপক্ষে ৫০০ বার, যত বেশি সম্ভব হয়)

(৪) বেশি বেশি দরুদ পড়া।

(৫) সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি (কমপক্ষে ১০০ বার)

(৬) ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়া হুওয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কদির।’ (কমপক্ষে ১০০ বার)

৭) দোয়া ইউনুস। (যত পারা যায়)

(৮) ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি সুবহানাল্লাহিল আজিম।’ (কমপক্ষে ১০০ বার)।

(৯) ‘লা হাওলা ওয়ালা কুওওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ।’ বেশি বেশি পড়তে পারেন।

(১০) সুরা ইখলাস যত বেশি পড়া যায়।

(১১) সাইয়েদুল ইসতিগফার পাঠ করা। ইসতিগফার জাতীয় আমলগুলো রাতের শেষ ভাগে করা যেতে পারে। (সুরা : জারিয়াত, আয়াত : ১৮)

৬। লম্বা রুকু-সিজদাসহ তাহাজ্জুদ পড়া। সম্ভব হলে সিজদায় কোরআন-হাদিসে বর্ণিত দোয়াগুলো পড়া। (সুরা : জুমার, আয়াত : ৯; নাসায়ি, হাদিস : ২২০২)

৭। সাহরি খাওয়ার আগে মহান আল্লাহর কাছে কান্নাজড়িত কণ্ঠে দোয়া করা। (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১৮৬; ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১৩৬৭; নাসায়ি, হাদিস : ৩১০৮)

৯। সাহরি খাওয়া। (নাসায়ি, হাদিস : ২১৪৮)

১০। ফজরের নামাজ পড়া।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

শবে কদরে যেসব আমল করবেন

আপডেট সময় : ০৮:৫৬:২৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৩

‘শবে কদর’ বা ‘লাইলাতুল কদর’। বছরের সর্বশ্রেষ্ঠ রাত। এ রাত সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই আমি কোরআন অবতীর্ণ করেছি মহিমান্বিত রাতে। আর মহিমান্বিত রাত সম্পর্কে তুমি কী জানো? মহিমান্বিত রাত হাজার মাসের চেয়ে উত্তম।’ (সুরা : কদর, আয়াত : ১-৩)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় কদরের রাতে ইবাদতের মধ্যে রাত জাগবে, তার আগের গুনাহ ক্ষমা করা হবে।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৩৫)

শবে কদরে গুরুত্বপূর্ণ কিছু আমল ও জিকির করা যেতে পারে। নিম্নে তা তুলে ধরা হলো-

১। অনর্থক কাজ পরিহার করা (টিভি, মোবাইল ইত্যাদিতে সময় নষ্ট না করা)। (সুরা : মুমিনুন, আয়াত : ৩)

২। ইবাদতে প্রফুল্লতার জন্য আরামদায়ক পোশাক পরা।

৩। দান-সদকা করা।

৪। পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত করা। (বুখারি, হাদিস : ৪৯৯৭)

৫। বেশি বেশি নফল ও হাজতের নামাজ পড়া। (বুখারি, হাদিস : ১৯০১)

৬। দোয়া ও জিকিরে মগ্ন থাকা। নবীজি (সা.) আয়েশা (রা.)-কে কদরের রাতে পড়ার জন্য একটি দোয়া শিখিয়েছেন। তা হলো- ‘আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউউন, তুহিব্বুল আফওয়া, ফাফু আন্নি।’ (তিরমিজি, হাদিস : ৩৫১৩)

এ ছাড়া নিম্নবর্ণিত জিকিরগুলো করা যেতে পারে।

(১) সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহু আকবার। (১০০ বার)

(২) লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ। (২০০ বার)

(৩) আস্তাগফিরুল্লাহ (কমপক্ষে ৫০০ বার, যত বেশি সম্ভব হয়)

(৪) বেশি বেশি দরুদ পড়া।

(৫) সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি (কমপক্ষে ১০০ বার)

(৬) ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়া হুওয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কদির।’ (কমপক্ষে ১০০ বার)

৭) দোয়া ইউনুস। (যত পারা যায়)

(৮) ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি সুবহানাল্লাহিল আজিম।’ (কমপক্ষে ১০০ বার)।

(৯) ‘লা হাওলা ওয়ালা কুওওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ।’ বেশি বেশি পড়তে পারেন।

(১০) সুরা ইখলাস যত বেশি পড়া যায়।

(১১) সাইয়েদুল ইসতিগফার পাঠ করা। ইসতিগফার জাতীয় আমলগুলো রাতের শেষ ভাগে করা যেতে পারে। (সুরা : জারিয়াত, আয়াত : ১৮)

৬। লম্বা রুকু-সিজদাসহ তাহাজ্জুদ পড়া। সম্ভব হলে সিজদায় কোরআন-হাদিসে বর্ণিত দোয়াগুলো পড়া। (সুরা : জুমার, আয়াত : ৯; নাসায়ি, হাদিস : ২২০২)

৭। সাহরি খাওয়ার আগে মহান আল্লাহর কাছে কান্নাজড়িত কণ্ঠে দোয়া করা। (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১৮৬; ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১৩৬৭; নাসায়ি, হাদিস : ৩১০৮)

৯। সাহরি খাওয়া। (নাসায়ি, হাদিস : ২১৪৮)

১০। ফজরের নামাজ পড়া।