নদীর রক্ষা বাঁধ, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স,থানা ভবনসহ বিভিন্ন স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীনের আশংকা
লালপুরে রাতের আধাঁরে পদ্মার চর থেকে বালু ও মাটিভরাট উত্তোলন

- আপডেট সময় : ০৪:০২:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ ২০২৪ ৯৫ বার পড়া হয়েছে
বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ (৪) বলা আছে, বিপণনের উদ্দেশ্যে কোনো উন্মুক্ত স্থান, চা বাগানের ছড়া বা নদীর তলদেশ থেকে বালু বা মাটি উত্তোলন করা যাবে না।
নাটোরের লালপুরে স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ সহ প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করে রাতের অন্ধকারে পদ্মার চর থেকে বালু ও মাটিভরাট উত্তোলন করছে ভূমিদস্যুরা।
এমন কি লালপুর থানা ভবন ও ১নং লালপুর ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের নিচেই গুচ্ছ গ্রাম(পদ্মার চর)এলাকায় রাতের আঁধারে পুলিশ-প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে পুকুরের ন্যায় গভীর গর্ত করে প্রতিনিয়ত-ই অবৈধ ভাবে ভরাট-বালি উত্তোলন করছে কিছু অসাধু মাটি খেকো কুচক্রী মহল।
সেই সাথে উত্তোলনকৃত ভরাট-বালুর ট্রাক্টর থানার সীমানা প্রাচীর হয়ে উক্ত ইউনিয়ন পরিষদের মেইন গেট দিয়ে বের হয়ে চলে যাচ্ছে বিভিন্ন এলাকায়।তবুও যেন থানার কর্মকর্তা কিছুই জানেন না,অথবা জেনেও না জানার ভান ধরা।এইভাবে পুকুর খননের ন্যায় ভরাট-বালি উত্তোলনের ফলে গুচ্ছ গ্রাম,মেডিকেল,থানা ও ইউনিয়ন পরিষদ ভবন অচিরেই ধসে পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয়রা।
আর রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। অন্যদিকে অবৈধভাবে বালু ও মাটি ভরাট উত্তোলন করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে মাটি খেকোরা। এছাড়াও লালপুর সদরের চরজাজিরা ও লক্ষীপুরেও রাতের অন্ধকারে বালু ও মাটি ভরাট উত্তোলন করে যাচ্ছে ভূমিদস্যুরা।অবৈধ ভাবে বালু ও ভরাট উত্তোলন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করে প্রতিকার পাচ্ছে না স্থানীয়রা।এছাড়া বালু ও মাটি ভরাট উত্তোলনের সময় স্থানীয় প্রশাসনকে মুঠো ফোনে অবগত করলেও আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা। এছাড়া স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ সহ প্রভাবশালীদের উৎকোচের বিনিময়ে ম্যানেজ করে অবৈধ ভাবে বালু ও ভরাট উত্তোলন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা। এর ফলে প্রশাসনকে অবগত করে কোন প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানান তারা। অবৈধভাবে বালু ও মাটি ভরাট উত্তোলন ফলে হাজার হাজার বিঘা ফসলি জমি,নদীর তীর রক্ষা বাঁধ, প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক জোন এলাকার জমি,উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স,থানা ভবন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ বিভিন্ন স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশংকা করছেন সচেতন মহল।স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ সহ প্রভাবশালীদের ভয়ে অবৈধ ভাবে বালু ও মাটি ভরাট উত্তোলনের বিষয়ে কোন কথা বলতে চাইনি স্থানীয়রা। তবে সচেতন মহল বলেন, অবৈধভাবে বালু ও মাটি ভরাট উত্তোলন কারীদের সাথে স্থানীয় প্রশাসনের ও পুলিশের যারা জড়িত আছে তাদের সহ ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আখতার বলেন, অবৈধ ভাবে বালু ও মাটি ভরাট উত্তোলনের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।