ঢাকা ১০:২৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

র‌্যালি-ওয়াকাথন প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে ময়মনসিংহে সমাজসেবা দিবস পালিত

আরিফ রববানী,ময়মনসিংহ:
  • আপডেট সময় : ০৫:৩৮:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী ২০২৫ ৩৩ বার পড়া হয়েছে

‘নেই পাশে কেউ যার, সমাজসেবা আছে তার এই প্রতিপাদ্য নিয়ে সমাজের বঞ্চিত মানুষের অবস্থা, দুর্দশা ও হতাশার চিত্র সবপক্ষের কাছে তুলে ধরার লক্ষ্য নিয়ে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা মোখর পরিবেশে ময়মনসিংহে উদযাপিত হয়েছে জাতীয় সমাজসেবা দিবস।

এ উপলক্ষ্যে (২জানুয়ারী) সকাল ১০টায় জেলার সার্কিট হাউস জিমনেশিয়াম প্রাঙ্গন থেকে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসন ও জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের আয়োজনে ১ম পর্বে উদ্বোধনী র‌্যালি এবং ওয়াকাথন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে ওয়াকাথনের শুভ উদ্বোধন করেন বিভাগীয় কমিশনার মোঃ মোখতার আহমেদ। এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মোঃ ইউসুফ আলী এবং পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম।

র‌্যালিটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শহরের এডভোকেট তারেক স্মৃতি মিলনায়তন প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। পরে মিলনায়তনে কল্যাণরাষ্ট্র গঠন বিষয়ে মুক্ত আড্ডা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার মোঃ মোখতার আহমেদ বলেন, আমরা সমাজসেবা দিবস একটি দিনে পালন করছি, কিন্তু সারা বছর ধরে এই সমাজসেবার কার্যক্রম চলে। কখনো প্রকাশ্যে, কখনো অপ্রকাশ্যে সমাজসেবার কাজ পরিচালিত হয়। সমাজসেবা হচ্ছে কল্যাণ রাষ্ট্রের একটি ধারণা, যেখানে রাষ্ট্র সমাজ বঞ্চিত এবং অসহায় যারা আছে, তাদের পাশে দাঁড়াবে।

অনুষ্ঠানের ২য় পর্বে মুক্ত আড্ডা পরিচালনা এবং সমাপনী করেন ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম । আড্ডা সূচনায় ছিলেন বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয়ের পরিচালক মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা এবং আড্ডা সঞ্চালনায় ছিলেন জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক রাজু আহমেদ।

সমাপনী বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম বলেন, আমরা যারা কর্মকর্তা কর্মচারী রয়েছি প্রত্যেকে যদি নিজ নিজ দায়িত্ব আমানত হিসাবে এবং জবাবদিহিতার সাথে পালন করি, তাহলে সে রাষ্ট্র কল্যাণকর রাষ্ট্রে পরিণত হবে।

আড্ডায় আরো উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কবৃন্দ, জুলাইকন্যা, ছাত্র-ছাত্রী, জনতা, প্রবীণগন এবং গণমাধ্যমকর্মীরা। অনুষ্ঠান শেষে প্রবীণ, জুলাইকন্যা এবং ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে যারা বিজয়ী হয়েছেন তাদের মাঝে পুরষ্কার প্রদান করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

র‌্যালি-ওয়াকাথন প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে ময়মনসিংহে সমাজসেবা দিবস পালিত

আপডেট সময় : ০৫:৩৮:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী ২০২৫

‘নেই পাশে কেউ যার, সমাজসেবা আছে তার এই প্রতিপাদ্য নিয়ে সমাজের বঞ্চিত মানুষের অবস্থা, দুর্দশা ও হতাশার চিত্র সবপক্ষের কাছে তুলে ধরার লক্ষ্য নিয়ে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা মোখর পরিবেশে ময়মনসিংহে উদযাপিত হয়েছে জাতীয় সমাজসেবা দিবস।

এ উপলক্ষ্যে (২জানুয়ারী) সকাল ১০টায় জেলার সার্কিট হাউস জিমনেশিয়াম প্রাঙ্গন থেকে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসন ও জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের আয়োজনে ১ম পর্বে উদ্বোধনী র‌্যালি এবং ওয়াকাথন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে ওয়াকাথনের শুভ উদ্বোধন করেন বিভাগীয় কমিশনার মোঃ মোখতার আহমেদ। এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মোঃ ইউসুফ আলী এবং পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম।

র‌্যালিটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শহরের এডভোকেট তারেক স্মৃতি মিলনায়তন প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। পরে মিলনায়তনে কল্যাণরাষ্ট্র গঠন বিষয়ে মুক্ত আড্ডা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার মোঃ মোখতার আহমেদ বলেন, আমরা সমাজসেবা দিবস একটি দিনে পালন করছি, কিন্তু সারা বছর ধরে এই সমাজসেবার কার্যক্রম চলে। কখনো প্রকাশ্যে, কখনো অপ্রকাশ্যে সমাজসেবার কাজ পরিচালিত হয়। সমাজসেবা হচ্ছে কল্যাণ রাষ্ট্রের একটি ধারণা, যেখানে রাষ্ট্র সমাজ বঞ্চিত এবং অসহায় যারা আছে, তাদের পাশে দাঁড়াবে।

অনুষ্ঠানের ২য় পর্বে মুক্ত আড্ডা পরিচালনা এবং সমাপনী করেন ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম । আড্ডা সূচনায় ছিলেন বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয়ের পরিচালক মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা এবং আড্ডা সঞ্চালনায় ছিলেন জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক রাজু আহমেদ।

সমাপনী বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম বলেন, আমরা যারা কর্মকর্তা কর্মচারী রয়েছি প্রত্যেকে যদি নিজ নিজ দায়িত্ব আমানত হিসাবে এবং জবাবদিহিতার সাথে পালন করি, তাহলে সে রাষ্ট্র কল্যাণকর রাষ্ট্রে পরিণত হবে।

আড্ডায় আরো উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কবৃন্দ, জুলাইকন্যা, ছাত্র-ছাত্রী, জনতা, প্রবীণগন এবং গণমাধ্যমকর্মীরা। অনুষ্ঠান শেষে প্রবীণ, জুলাইকন্যা এবং ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে যারা বিজয়ী হয়েছেন তাদের মাঝে পুরষ্কার প্রদান করা হয়।