ঢাকা ০৫:২৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

র‌্যাম নাকি রম দেখে ফোন কিনবেন?

দেশের আওয়াজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ১২:৪৬:৪৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৭ বার পড়া হয়েছে

নতুন ফোন কেনার সময় বেশিরভাগ মানুষ দেখে ওই ফোনটিতে কত জিবি র‌্যাম রয়েছে। কেউবা দেখেন কত জিবি স্টোরেজ আছে। কারো চোখে থাকে ডিসপ্লের দিকে। একটি ফোনের নানা দিক রয়েছে। এক একজনের দৃষ্টি এক এক দিকে। তবে বেশিরভাগ মানুষ ফোন কেনার সময় ডিসপ্লের আকার, স্টোরেজ, র‌্যাম এবং ফোনের ক্যামেরার দিকেই ফোকাস দেন। জানুন নতুন ফোন কেনার টিপস।

অনেকেই আছেন যারা নতুন ফোন কেনার সময় বিভ্রান্ত হন। তারা বুঝতে পারেন না যে, কতটা মেমোরির ফোন কেনা সঠিক এবং কতটা স্টোরেজের ফোন তাদের জন্য সেরা হতে পারে। অথচ এই ব্যাপারে ভুল হলে কিছু দিন পর থেকেই শুরু হয় ফোনের মেমোরি নিয়ে সমস্যা, নানা জিনিস ডিলিট করে তখন কাজ চালাতে হয়।

নতুন ফোন কেনার আগে অনেকেই বিভ্রান্ত থাকেন। কোন ফোন ভাল হবে, তা বুঝতে পারেন না। আমরা অনেকেই বাজেট ঠিক করে ফেললেও, কী দামের মধ্যে ফোন কিনব, কত মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা থাকবে, কত ব্যাটারি পাওয়ার ও স্টোরেজ থাকতে হবে তা নির্ধারণ করতে সমস্যায় পড়ি। কিন্তু, ভালো পারফরম্যান্সের জন্য ফোনের স্টোরেজ এবং র‍্যাম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এমন পরিস্থিতিতে জেনে রাখা প্রয়োজন যে, ফোনে কত স্টোরেজ থাকা ভালো।

কারও স্মার্টফোনে যত বেশি র‌্যাম থাকবে, সে তত দ্রুত বিভিন্ন অ্যাপ চালাতে পারবে। যদি র‌্যাম কম হয়, তাহলে যখন অন্য অ্যাপে যাওয়া হবে তখন সেই অ্যাপটি বন্ধ হয়ে যেতে পারে। অর্থাৎ ফোন স্মুথলি চলবে না এবং হ্যাং হওয়ার সমস্যা হতে পারে।

ফোন মেমোরি সম্পর্কে কথা বলতে গেলে বলতে হয় যে, র‌্যাম হল ফোনের সেই অংশ যা অপারেটিং সিস্টেম চালাতে ব্যবহৃত হয়, বর্তমান সময়ে ব্যবহৃত অ্যাপ এবং ডেটা এখানে রাখা হয়।

অন্য দিকে, ফোন স্টোরেজ অ্যাপ, ফটো, ভিডিও এবং ফাইলের মতো ডেটা রাখতে ব্যবহৃত হয়। যা ফোন চালানোর জন্য প্রয়োজনীয়। স্টোরেজ খুব কম হলে, ফোনের স্টোরেজ কয়েকদিনের মধ্যে ফুল হয়ে যায়। যার কারণে এটি ধীরে ধীরে চলতে শুরু করে।

এই কারণে অনেকেই বুঝতে পারেন না নিজেদের ফোনে কত র‌্যাম থাকা ভাল। নিয়মিত ব্যবহারের জন্য ৬ জিবি র‌্যাম যথেষ্ট। অন্য দিকে, কেউ যদি ফোনে গেম খেলতে চান, তাহলে ৮ জিবি র‌্যাম একটি ভালো বিকল্প হতে পারে। তবে মসৃণ এবং উচ্চ-মানের গেমিং অভিজ্ঞতার জন্য কমপক্ষে ১৬ জিবি র‌্যাম সুপারিশ করা হয়।

ইন্টারনাল স্টোরেজ সম্পর্কে কথা বললে বলতে হয় যে, ৬৪ জিবির ফোন মেমোরি সাধারণ স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের জন্য যথেষ্ট। যদিও অনেকে ১২৮ জিবি এবং ২৫৬ জিবি স্টোরেজের ফোন কিনতে পছন্দ করেন। যারা তাদের মোবাইল ফোন সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করেন, তারাও স্টোরেজ স্পেস ফুরিয়ে যাওয়া এবং গতি কম হওয়া এড়াতে ৫১২ জিবি এবং ১ টিবি স্টোরেজসহ ফোন কিনতে পছন্দ করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

র‌্যাম নাকি রম দেখে ফোন কিনবেন?

আপডেট সময় : ১২:৪৬:৪৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নতুন ফোন কেনার সময় বেশিরভাগ মানুষ দেখে ওই ফোনটিতে কত জিবি র‌্যাম রয়েছে। কেউবা দেখেন কত জিবি স্টোরেজ আছে। কারো চোখে থাকে ডিসপ্লের দিকে। একটি ফোনের নানা দিক রয়েছে। এক একজনের দৃষ্টি এক এক দিকে। তবে বেশিরভাগ মানুষ ফোন কেনার সময় ডিসপ্লের আকার, স্টোরেজ, র‌্যাম এবং ফোনের ক্যামেরার দিকেই ফোকাস দেন। জানুন নতুন ফোন কেনার টিপস।

অনেকেই আছেন যারা নতুন ফোন কেনার সময় বিভ্রান্ত হন। তারা বুঝতে পারেন না যে, কতটা মেমোরির ফোন কেনা সঠিক এবং কতটা স্টোরেজের ফোন তাদের জন্য সেরা হতে পারে। অথচ এই ব্যাপারে ভুল হলে কিছু দিন পর থেকেই শুরু হয় ফোনের মেমোরি নিয়ে সমস্যা, নানা জিনিস ডিলিট করে তখন কাজ চালাতে হয়।

নতুন ফোন কেনার আগে অনেকেই বিভ্রান্ত থাকেন। কোন ফোন ভাল হবে, তা বুঝতে পারেন না। আমরা অনেকেই বাজেট ঠিক করে ফেললেও, কী দামের মধ্যে ফোন কিনব, কত মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা থাকবে, কত ব্যাটারি পাওয়ার ও স্টোরেজ থাকতে হবে তা নির্ধারণ করতে সমস্যায় পড়ি। কিন্তু, ভালো পারফরম্যান্সের জন্য ফোনের স্টোরেজ এবং র‍্যাম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এমন পরিস্থিতিতে জেনে রাখা প্রয়োজন যে, ফোনে কত স্টোরেজ থাকা ভালো।

কারও স্মার্টফোনে যত বেশি র‌্যাম থাকবে, সে তত দ্রুত বিভিন্ন অ্যাপ চালাতে পারবে। যদি র‌্যাম কম হয়, তাহলে যখন অন্য অ্যাপে যাওয়া হবে তখন সেই অ্যাপটি বন্ধ হয়ে যেতে পারে। অর্থাৎ ফোন স্মুথলি চলবে না এবং হ্যাং হওয়ার সমস্যা হতে পারে।

ফোন মেমোরি সম্পর্কে কথা বলতে গেলে বলতে হয় যে, র‌্যাম হল ফোনের সেই অংশ যা অপারেটিং সিস্টেম চালাতে ব্যবহৃত হয়, বর্তমান সময়ে ব্যবহৃত অ্যাপ এবং ডেটা এখানে রাখা হয়।

অন্য দিকে, ফোন স্টোরেজ অ্যাপ, ফটো, ভিডিও এবং ফাইলের মতো ডেটা রাখতে ব্যবহৃত হয়। যা ফোন চালানোর জন্য প্রয়োজনীয়। স্টোরেজ খুব কম হলে, ফোনের স্টোরেজ কয়েকদিনের মধ্যে ফুল হয়ে যায়। যার কারণে এটি ধীরে ধীরে চলতে শুরু করে।

এই কারণে অনেকেই বুঝতে পারেন না নিজেদের ফোনে কত র‌্যাম থাকা ভাল। নিয়মিত ব্যবহারের জন্য ৬ জিবি র‌্যাম যথেষ্ট। অন্য দিকে, কেউ যদি ফোনে গেম খেলতে চান, তাহলে ৮ জিবি র‌্যাম একটি ভালো বিকল্প হতে পারে। তবে মসৃণ এবং উচ্চ-মানের গেমিং অভিজ্ঞতার জন্য কমপক্ষে ১৬ জিবি র‌্যাম সুপারিশ করা হয়।

ইন্টারনাল স্টোরেজ সম্পর্কে কথা বললে বলতে হয় যে, ৬৪ জিবির ফোন মেমোরি সাধারণ স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের জন্য যথেষ্ট। যদিও অনেকে ১২৮ জিবি এবং ২৫৬ জিবি স্টোরেজের ফোন কিনতে পছন্দ করেন। যারা তাদের মোবাইল ফোন সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করেন, তারাও স্টোরেজ স্পেস ফুরিয়ে যাওয়া এবং গতি কম হওয়া এড়াতে ৫১২ জিবি এবং ১ টিবি স্টোরেজসহ ফোন কিনতে পছন্দ করেন।