ঢাকা ০১:২৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রোজার আগেই বাড়তি চাহিদাযুক্ত পণ্যের বাজার অস্থিতিশীল

দেশের আওয়াজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ১০:৩৬:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ মার্চ ২০২৩ ১৩২ বার পড়া হয়েছে

রমজান মাস আসতে এখনো প্রায় দুই সপ্তাহ বাকি। এর আগেই অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে রমজানে বাড়তি চাহিদাযুক্ত পণ্যের বাজার। কিছুদিন ধরে বাড়তে থাকা মাছ-মাংসের পর বেশ কয়েকটি ভোগ্যপণ্যের দামও বেড়েছে।

কয়েকদিন আগে চিনির দাম স্থিতিশীল রাখতে আমদানিতে শুল্ক কমিয়ে দেয় সরকার। কিন্তু এর দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও খুচরা বাজারে এর কোনো প্রভাব পড়েনি। পাশাপাশি ছোলাবুট, আ্যকরের ডালসহ কয়েকটি পণ্যের দামও বেড়ে গেছে। আজ শনিবার রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, মজুদে কোনো ঘাটতি না থাকলেও বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে রমজানে বাড়তি চাহিদাযুক্ত কয়েকটি পণ্য। গত এক মাসে ছোলার দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা। সপ্তাহখানেক আগে ছোলার কেজি ছিল ৮৫ থেকে ৯০ টাকা। মানভেদে এখন বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা। ছোলার সাথে ছোলাবুটের দরও বেড়েছে।

দুই সপ্তাহের ব্যবধানে এ মানের বুট কেজিতে বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা। প্রতি কেজি ছোলাবুট বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকা দরে। পিছিয়ে নেই অ্যাঙ্কর ডাল। একই সময়ে এ ডাল কেজিতে ১০ টাকার মতো বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। এ ছাড়া বেসনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১০৫ টাকা ।

রমজানে প্রচলিত এসব ডালের পাশাপাশি পাকিস্তানি কাবলি বুট বিক্রি হয় বাজারে। গত বছর এ ধরনের ডাল বিক্রি হয়েছিল ১৪০ থেকে ১৬০ কেজি দরে। এবার বিক্রেতারা এ মানের কাবলি বুটের কেজি হাঁকাছেন ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা। সে হিসাবে গত বছরের চেয়ে এবার প্রতি কেজি কাবলি বুট কিনতে ক্রেতাকে অতিরিক্ত খরচ করতে হবে ৯০ থেকে ১০০ টাকা।

সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশনের তথ্য বলছে, গত এক মাসে ছোলার দাম প্রায় ৬ এবং এক বছরে ২৩ শতাংশ বেড়েছে। এ ছাড়া অ্যাঙ্কর ডাল এক বছরে কেজিতে দাম বেড়েছে প্রায় ৪৮ শতাংশ।

গোশতের বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে গরুর গোশত বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি ৭৬০ থেকে ৮০০ টাকা। এক সপ্তাহ আগেও বিক্রি হতো ৭২০ থেকে ৭৫০ টাকায়। বাজারে খাসির গোশতের কেজি বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৫০ থেকে এক হাজার ১০০ টাকা দরে। আগে বিক্রি হতো এক হাজার টাকায়। বাজারে আবারো দাম বেড়েছে মুরগির। ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা দরে। গত সপ্তাহে ছিল ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা।

সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৩৭০ টাকা দরে। দুই সপ্তাহ আগে সোনালি মুরগির কেজি ছিল ৩১০-৩২০ টাকা। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৩০ টাকা। গত সপ্তাহে লেয়ার মুরগির কেজি ছিল ৩১০-৩২০ টাকা। বাজারে খোলা চিনি প্রতি কেজি ১১৫ থেকে ১২০ টাকা। খোলা আটার কেজি ৬০ টাকা। প্যাকেট আটার কেজি ৬৫ টাকা। দুই কেজির প্যাকেট আটা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়।

দেশি মসুরের ডালের কেজি ১৪০ টাকা। ইন্ডিয়ান মসুরের ডালের কেজি ১২০ থেকে ১২৫ টাকা। সয়াবিন তেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৮৭ টাকায়। লবণের কেজি ৩৮ থেকে ৪০ টাকা। বাজারে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম একটু কমেছে। ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকায়। হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ২১০-২২০ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন ১৯০-২০০ টাকা।

মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি পাঙ্গাশ ১৭০-২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তেলাপিয়া মাছের কেজি হয়েছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা। প্রতি কেজি চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ১০০০ টাকায়। তাজা রুই, কাতলা, মৃগেল বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৬০ টাকা কেজি দরে। দেশী প্রজাতির টেংরা, শিং, গচি ও বোয়াল মাছের কেজি ৬৫০ থেকে ৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

রোজার আগেই বাড়তি চাহিদাযুক্ত পণ্যের বাজার অস্থিতিশীল

আপডেট সময় : ১০:৩৬:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ মার্চ ২০২৩

রমজান মাস আসতে এখনো প্রায় দুই সপ্তাহ বাকি। এর আগেই অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে রমজানে বাড়তি চাহিদাযুক্ত পণ্যের বাজার। কিছুদিন ধরে বাড়তে থাকা মাছ-মাংসের পর বেশ কয়েকটি ভোগ্যপণ্যের দামও বেড়েছে।

কয়েকদিন আগে চিনির দাম স্থিতিশীল রাখতে আমদানিতে শুল্ক কমিয়ে দেয় সরকার। কিন্তু এর দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও খুচরা বাজারে এর কোনো প্রভাব পড়েনি। পাশাপাশি ছোলাবুট, আ্যকরের ডালসহ কয়েকটি পণ্যের দামও বেড়ে গেছে। আজ শনিবার রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, মজুদে কোনো ঘাটতি না থাকলেও বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে রমজানে বাড়তি চাহিদাযুক্ত কয়েকটি পণ্য। গত এক মাসে ছোলার দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা। সপ্তাহখানেক আগে ছোলার কেজি ছিল ৮৫ থেকে ৯০ টাকা। মানভেদে এখন বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা। ছোলার সাথে ছোলাবুটের দরও বেড়েছে।

দুই সপ্তাহের ব্যবধানে এ মানের বুট কেজিতে বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা। প্রতি কেজি ছোলাবুট বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকা দরে। পিছিয়ে নেই অ্যাঙ্কর ডাল। একই সময়ে এ ডাল কেজিতে ১০ টাকার মতো বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। এ ছাড়া বেসনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১০৫ টাকা ।

রমজানে প্রচলিত এসব ডালের পাশাপাশি পাকিস্তানি কাবলি বুট বিক্রি হয় বাজারে। গত বছর এ ধরনের ডাল বিক্রি হয়েছিল ১৪০ থেকে ১৬০ কেজি দরে। এবার বিক্রেতারা এ মানের কাবলি বুটের কেজি হাঁকাছেন ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা। সে হিসাবে গত বছরের চেয়ে এবার প্রতি কেজি কাবলি বুট কিনতে ক্রেতাকে অতিরিক্ত খরচ করতে হবে ৯০ থেকে ১০০ টাকা।

সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশনের তথ্য বলছে, গত এক মাসে ছোলার দাম প্রায় ৬ এবং এক বছরে ২৩ শতাংশ বেড়েছে। এ ছাড়া অ্যাঙ্কর ডাল এক বছরে কেজিতে দাম বেড়েছে প্রায় ৪৮ শতাংশ।

গোশতের বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে গরুর গোশত বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি ৭৬০ থেকে ৮০০ টাকা। এক সপ্তাহ আগেও বিক্রি হতো ৭২০ থেকে ৭৫০ টাকায়। বাজারে খাসির গোশতের কেজি বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৫০ থেকে এক হাজার ১০০ টাকা দরে। আগে বিক্রি হতো এক হাজার টাকায়। বাজারে আবারো দাম বেড়েছে মুরগির। ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা দরে। গত সপ্তাহে ছিল ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা।

সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৩৭০ টাকা দরে। দুই সপ্তাহ আগে সোনালি মুরগির কেজি ছিল ৩১০-৩২০ টাকা। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৩০ টাকা। গত সপ্তাহে লেয়ার মুরগির কেজি ছিল ৩১০-৩২০ টাকা। বাজারে খোলা চিনি প্রতি কেজি ১১৫ থেকে ১২০ টাকা। খোলা আটার কেজি ৬০ টাকা। প্যাকেট আটার কেজি ৬৫ টাকা। দুই কেজির প্যাকেট আটা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়।

দেশি মসুরের ডালের কেজি ১৪০ টাকা। ইন্ডিয়ান মসুরের ডালের কেজি ১২০ থেকে ১২৫ টাকা। সয়াবিন তেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৮৭ টাকায়। লবণের কেজি ৩৮ থেকে ৪০ টাকা। বাজারে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম একটু কমেছে। ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকায়। হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ২১০-২২০ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন ১৯০-২০০ টাকা।

মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি পাঙ্গাশ ১৭০-২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তেলাপিয়া মাছের কেজি হয়েছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা। প্রতি কেজি চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ১০০০ টাকায়। তাজা রুই, কাতলা, মৃগেল বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৬০ টাকা কেজি দরে। দেশী প্রজাতির টেংরা, শিং, গচি ও বোয়াল মাছের কেজি ৬৫০ থেকে ৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।