ঢাকা ০৯:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
দুই বিভাগের পুলিশ কমিশনারসহ ৫ এসপিকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দুর্নীতিবিরোধী সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের আমন্ত্রণ, যোগ দিচ্ছে বাংলাদেশ পেঁয়াজের বাজার অস্তির, রাতে ৮০ সকালে ১৬০ টাকা জাপা মহাসচিবের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে নৌকার প্রার্থীর আবেদন ‘আগামীতে রক্তপাত, গৃহযুদ্ধ হলে দায় আওয়ামী লীগের’ ১০ ডিসেম্বর কোথায় মানববন্ধন করবে, জানাল বিএনপি অযৌক্তিক রাজনৈতিক চাপের অভিযোগ তুলে জাতিসংঘকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর চিঠি আপিলকারীরা শতভাগ ন্যায়বিচার পাবেন: ইসি ত্রিশালকে একটি মডেল এলাকা হিসাবে গড়ে তুলবো – স্বতন্ত্র প্রার্থী আনিছ যারা আগুন দিতে যাবে তাদের পুলিশে দিন: প্রধানমন্ত্রী

রাবি ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের দেশীয় অস্ত্রের মহড়া

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:৫৪:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৩ ১৩ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

লের সিট থেকে নামিয়ে দেওয়াকে কেন্দ্র করে মধ্যে রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিয়েছে। এবং মুখমুখি অবস্থানও নিয়েছিল। সোমবার (১৩ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১১টা থেকে মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) রাত দেড়টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব আব্দুল লতিফ হলের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব আব্দুল লতিফ হলের ৩২২ নাম্বার কক্ষ থেকে বিবেক সাহা নামের এক শিক্ষার্থীকে নামিয়ে দেয় তাসকিফ আল তৌহিদ নামের ছাত্রলীগ নেতা। সোমবার রাত সাড়ে আটটার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

বিবেক নাট্যকলা বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। বিবেক সাহা নবাব আব্দুল লতিফ হলের সাধারণ সম্পাদক শামীম হোসেনের অনুসারী। তৌহিদ সে সিটে তার এক কর্মীকে তুলে দেন। আরবী বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী তৌহিদ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর অনুসারী এবং শামীম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শাহিনুল ইসলাম সরকার ডনের অনুসারী। বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র শামীম সদ্য বিদায়ী কমিটির যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।

বিবেককে হল থেকে নামিয়ে দিলে শামীম তার কর্মীদের নিয়ে তৌহিদের কর্মীকে সিট থেকে নামিয়ে দেন। এরপর শামীম ও তার নেতাকর্মীরা হলে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে শোডাউন দেয়। পরে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি – সম্পাদকের বিভিন্ন হলের অনুসারীরা হলের সামনে জড়ো হয়ে শোডাউন দেন। এরপর, দুই গ্রুপের নেতাকর্মীরা ২ দফা শোডাউন দিয়ে মুখোমুখি অবস্থান নেন। শোডাউন তাদের হাতে বাঁশ, লোহার রড, পাইপ দেখা যায়। এসময় শামীমের অনুসারীরা হলের ভেতরে অবস্থান নেন এবং সভাপতি- সম্পাদকের অনুসারীরা হলের বাইরে অবস্থান নেন। পরে, সভাপতি – সম্পাদক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে মধ্যস্থতা করেন।

শামীম হোসেন বলেন, আমার যে কর্মীকে হল থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে সে হলের আবাসিক ছাত্র। আর যে ছেলেকে হলে তুলেছে সে অনাবাসিক ছাত্র। তৌহিদ নিজেই হল থেকে বহিষ্কৃত। সভাপতি- সম্পাদকের অনুসারীরা আমার ব্যানার, পোস্টার ছিঁড়ে ফেলেছে। তারা আমার কর্মীকে হল থেকে নামিয়ে দিয়েছে। তাই, আমরা প্রতিবাদ করেছি।

মধ্যস্থতা শেষে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব বলেন, ছাত্রলীগের কর্মীদের মধ্যে কোন ভুল বোঝাবুঝি বা সমস্যা হলে, আগে আমাদের জানাতে হবে। যেকোন সমস্যা দ্রুত সময়ে নিষ্পত্তি করতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

রাবি ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের দেশীয় অস্ত্রের মহড়া

আপডেট সময় : ০৮:৫৪:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৩

লের সিট থেকে নামিয়ে দেওয়াকে কেন্দ্র করে মধ্যে রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিয়েছে। এবং মুখমুখি অবস্থানও নিয়েছিল। সোমবার (১৩ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১১টা থেকে মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) রাত দেড়টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব আব্দুল লতিফ হলের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব আব্দুল লতিফ হলের ৩২২ নাম্বার কক্ষ থেকে বিবেক সাহা নামের এক শিক্ষার্থীকে নামিয়ে দেয় তাসকিফ আল তৌহিদ নামের ছাত্রলীগ নেতা। সোমবার রাত সাড়ে আটটার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

বিবেক নাট্যকলা বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। বিবেক সাহা নবাব আব্দুল লতিফ হলের সাধারণ সম্পাদক শামীম হোসেনের অনুসারী। তৌহিদ সে সিটে তার এক কর্মীকে তুলে দেন। আরবী বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী তৌহিদ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর অনুসারী এবং শামীম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শাহিনুল ইসলাম সরকার ডনের অনুসারী। বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র শামীম সদ্য বিদায়ী কমিটির যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।

বিবেককে হল থেকে নামিয়ে দিলে শামীম তার কর্মীদের নিয়ে তৌহিদের কর্মীকে সিট থেকে নামিয়ে দেন। এরপর শামীম ও তার নেতাকর্মীরা হলে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে শোডাউন দেয়। পরে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি – সম্পাদকের বিভিন্ন হলের অনুসারীরা হলের সামনে জড়ো হয়ে শোডাউন দেন। এরপর, দুই গ্রুপের নেতাকর্মীরা ২ দফা শোডাউন দিয়ে মুখোমুখি অবস্থান নেন। শোডাউন তাদের হাতে বাঁশ, লোহার রড, পাইপ দেখা যায়। এসময় শামীমের অনুসারীরা হলের ভেতরে অবস্থান নেন এবং সভাপতি- সম্পাদকের অনুসারীরা হলের বাইরে অবস্থান নেন। পরে, সভাপতি – সম্পাদক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে মধ্যস্থতা করেন।

শামীম হোসেন বলেন, আমার যে কর্মীকে হল থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে সে হলের আবাসিক ছাত্র। আর যে ছেলেকে হলে তুলেছে সে অনাবাসিক ছাত্র। তৌহিদ নিজেই হল থেকে বহিষ্কৃত। সভাপতি- সম্পাদকের অনুসারীরা আমার ব্যানার, পোস্টার ছিঁড়ে ফেলেছে। তারা আমার কর্মীকে হল থেকে নামিয়ে দিয়েছে। তাই, আমরা প্রতিবাদ করেছি।

মধ্যস্থতা শেষে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব বলেন, ছাত্রলীগের কর্মীদের মধ্যে কোন ভুল বোঝাবুঝি বা সমস্যা হলে, আগে আমাদের জানাতে হবে। যেকোন সমস্যা দ্রুত সময়ে নিষ্পত্তি করতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।