রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের সাবেক এমপি আসাদুজ্জামান আসাদকে আরও দুটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আবারোও জেলহাজতে প্রেরন করা হয়েছে। মামলা দুটির তদন্ত কর্মকর্তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার আদালত এ আদেশ দিয়েছেন। এর আগে কড়া নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে আসাদুজ্জামান আসাদকে প্রিজন ভ্যান থেকে নামানো হয়। এসময় আদালত চত্বর ছিল বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের দখলে। তারা প্রিজন ভ্যান লক্ষ্য করে ডিম, ইটপাটকেল ও বালু নিক্ষেপ করেন। বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে আসামির উপস্থিতিতেই রাজশাহীর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এর বিচারক ফয়সাল তারেক এ আদেশ দেন। মামলা দুটিতে গ্রেপ্তার দেখানোর পর আসামিপক্ষের আইনজীবী ইব্রাহিম হোসেন আসাদের জামিনের আবেদন করেছিলেন। তবে শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নাকচ করেন বিচারক ফয়সাল তারেক। জানা গেছে, নতুন যে দুটি মামলায় আসাদকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে সেগুলো হলো বিস্ফোরকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মহানগরীর বোয়ালিয়া থানায় দায়ের করা হয়েছে। একটি মামলার বাদীর নাম মো. রোকনুজ্জামান। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় ২৫ সেপ্টেম্বর তিনি মামলাটি দায়ের করেন। অপর মামলার বাদীর নাম আবদুর রশিদ ফকির। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগে ২৮ নভেম্বর তিনি মামলাটি দায়ের করেন। দুটি মামলা তদন্ত করছেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) দুজন উপপরিদর্শক (এসআই)। নগর পুলিশের উপ-পুলিশ আদালত পরিদর্শক মাহমুদুল হাসান জানান, দুটি মামলাতেই এজাহারভুক্ত আসামি সাবেক এমপি আসাদুজ্জামান আসাদ। তদন্ত কর্মকর্তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আসামিকে আদালতে আনা হয়েছিল। আদালত তাঁকে মামলা দুটিতে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি আদালত তাঁর জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেছেন। উল্লখ্যে,আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ৬ অক্টোবর রাজশাহীর মোহনপুর থানার একটি মামলায় ঢাকায় গ্রেপ্তার হন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ। মোহনপুর থানার আরেকটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখাতে গত ৫ ডিসেম্বর তাঁকে আদালতে তোলা হয়েছিল।