ঢাকা ১০:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রমজানে জুমার নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত

দেশের আওয়াজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ০৮:৫১:১৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩ ৯৯ বার পড়া হয়েছে

এবারের রমজান জুমার দিনেই শুরু হয়েছে। রমজান ও জুমা একইদিনে হলে স্বাভাবিকভাবেই দিনটির গুরুত্ব বেড়ে যায়। কেননা জুমার দিন হচ্ছে সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন আর রমজান মাসকে বলা হয় সাইয়িদুশ শুহুর বা সব মাসের সেরা মাস। পবিত্র রমজানে যেকোনো ইবাদতের মর্যাদা অনেক বেশি। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, ‘রমজানে মানব সন্তানের প্রতিটি নেক আমলের প্রতিদান ১০ থেকে ৭০০ গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়ে থাকে..।’ (মুসলিম: ১৫৫১)

সুতরাং রমজানে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজসহ তারাবি, তাহাজ্জুদ, সুন্নত ও নফল নামাজ আদায়ের গুরুত্ব অনেক বেশি। একইভাবে জুমার দিনের গুরুত্ব ও তাৎপর্যও অনেক বেশি। জুমার দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আমল হচ্ছে জুমার নামাজ। খুতবার পরের এই দুই রাকাত নামাজ পড়তে হয়।

মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেছেন— يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا نُودِي لِلصَّلَاةِ مِن يَوْمِ الْجُمُعَةِ فَاسْعَوْا إِلَى ذِكْرِ اللَّهِ وَذَرُوا الْبَيْعَ ذَلِكُمْ خَيْرٌ لَّكُمْ إِن كُنتُمْ تَعْلَمُونَ ‘হে মুমিনগণ, জুমার দিনে যখন নামাজের আজান দেয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর ইবাদতের জন্য দ্রুত বেরিয়ে যাও এবং বেচা-কেনা বন্ধ করো। এটা তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা বোঝ।’ (সুরা জুমা: ০৯)

জুমার ফজিলত সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেছেন, যে দিনগুলোতে সূর্য উদিত হয়, ওই দিনগুলোর মধ্যে জুমার দিন সর্বোত্তম। ওই দিন হজরত আদমকে (আ.) সৃষ্টি করা হয়েছে। ওই দিন তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয় এবং ওই দিনই তাকে জান্নাত থেকে বের করে দেওয়া হয়। আর ওই দিনই কেয়ামত অনুষ্ঠিত হবে। (মুসলিম: ৮৫৪)

জুমার দিন দোয়া কবুল হওয়ার প্রসঙ্গে নবী (স.)ইরশাদ করেছেন, জুমার দিন দোয়া কবুল হওয়ার একটি সময় আছে , কোনো মুসলিম যদি সেই সময়টা পায়, আর তখন যদি সে নামাজে থাকে, তাহলে তার যেকোনো কল্যাণ কামনা আল্লাহ পূরণ করেন। (বুখারি: ৬৪০০)

এছাড়াও হাদিসে রয়েছে, সালমান ফারসি (রা.) বলেন, মহানবী (স.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি জুমার দিনে গোসল করে ভালোরূপে পবিত্রতা অর্জন করে, নিজের ঘরের তেল, সুগন্ধি ব্যবহার করে বের হয় এবং দু’জন লোকের মাঝে ফাঁকা জায়গা না রেখে তার নির্ধারিত নামাজ আদায় করে এবং ইমামের খুতবা দেয়ার সময় চুপ থাকে তাহলে তার জুমা থেকে আরেক জুমা পর্যন্ত সময়ের সব গুনাহ মাফ করে দেয়া হয়। (বুখারি: ৮৩৯)

আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে পবিত্র রমজানে জুমার দিনের গুরুত্ব বোঝার তাওফিক দান করুন। জুমার নামাজ যথাযথভাবে আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

রমজানে জুমার নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত

আপডেট সময় : ০৮:৫১:১৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩

এবারের রমজান জুমার দিনেই শুরু হয়েছে। রমজান ও জুমা একইদিনে হলে স্বাভাবিকভাবেই দিনটির গুরুত্ব বেড়ে যায়। কেননা জুমার দিন হচ্ছে সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন আর রমজান মাসকে বলা হয় সাইয়িদুশ শুহুর বা সব মাসের সেরা মাস। পবিত্র রমজানে যেকোনো ইবাদতের মর্যাদা অনেক বেশি। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, ‘রমজানে মানব সন্তানের প্রতিটি নেক আমলের প্রতিদান ১০ থেকে ৭০০ গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়ে থাকে..।’ (মুসলিম: ১৫৫১)

সুতরাং রমজানে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজসহ তারাবি, তাহাজ্জুদ, সুন্নত ও নফল নামাজ আদায়ের গুরুত্ব অনেক বেশি। একইভাবে জুমার দিনের গুরুত্ব ও তাৎপর্যও অনেক বেশি। জুমার দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আমল হচ্ছে জুমার নামাজ। খুতবার পরের এই দুই রাকাত নামাজ পড়তে হয়।

মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেছেন— يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا نُودِي لِلصَّلَاةِ مِن يَوْمِ الْجُمُعَةِ فَاسْعَوْا إِلَى ذِكْرِ اللَّهِ وَذَرُوا الْبَيْعَ ذَلِكُمْ خَيْرٌ لَّكُمْ إِن كُنتُمْ تَعْلَمُونَ ‘হে মুমিনগণ, জুমার দিনে যখন নামাজের আজান দেয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর ইবাদতের জন্য দ্রুত বেরিয়ে যাও এবং বেচা-কেনা বন্ধ করো। এটা তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা বোঝ।’ (সুরা জুমা: ০৯)

জুমার ফজিলত সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেছেন, যে দিনগুলোতে সূর্য উদিত হয়, ওই দিনগুলোর মধ্যে জুমার দিন সর্বোত্তম। ওই দিন হজরত আদমকে (আ.) সৃষ্টি করা হয়েছে। ওই দিন তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয় এবং ওই দিনই তাকে জান্নাত থেকে বের করে দেওয়া হয়। আর ওই দিনই কেয়ামত অনুষ্ঠিত হবে। (মুসলিম: ৮৫৪)

জুমার দিন দোয়া কবুল হওয়ার প্রসঙ্গে নবী (স.)ইরশাদ করেছেন, জুমার দিন দোয়া কবুল হওয়ার একটি সময় আছে , কোনো মুসলিম যদি সেই সময়টা পায়, আর তখন যদি সে নামাজে থাকে, তাহলে তার যেকোনো কল্যাণ কামনা আল্লাহ পূরণ করেন। (বুখারি: ৬৪০০)

এছাড়াও হাদিসে রয়েছে, সালমান ফারসি (রা.) বলেন, মহানবী (স.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি জুমার দিনে গোসল করে ভালোরূপে পবিত্রতা অর্জন করে, নিজের ঘরের তেল, সুগন্ধি ব্যবহার করে বের হয় এবং দু’জন লোকের মাঝে ফাঁকা জায়গা না রেখে তার নির্ধারিত নামাজ আদায় করে এবং ইমামের খুতবা দেয়ার সময় চুপ থাকে তাহলে তার জুমা থেকে আরেক জুমা পর্যন্ত সময়ের সব গুনাহ মাফ করে দেয়া হয়। (বুখারি: ৮৩৯)

আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে পবিত্র রমজানে জুমার দিনের গুরুত্ব বোঝার তাওফিক দান করুন। জুমার নামাজ যথাযথভাবে আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।