যমুনায় তলিয়ে গেছে ৩০০ ঘর বাড়ি
- আপডেট সময় : ১২:১৬:১৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জুলাই ২০২৪ ৪৫ বার পড়া হয়েছে
কয়েক দিনে অবিরাম ভারী বর্ষণ ও উজার থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে যমুনার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় যমুনা নদীর পানি বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ৭৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
যমুনার পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় উপজেলার কুলকান্দি,বেলগাছা,নোয়ারপাড়া,চিনাডুলী, সাপধরী, ইসলামপুর সদর,পার্থশী ও পলবান্ধা ইউনিয়নের ৭০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। অন্যদিকে,গত কয়েকদিনে যমুনা নদী ভাঙ্গনে তিন শতাধিক বাড়ী ঘর নদীর গর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙ্গনের মুখে ফসলি জমি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থাপনা।
সরেজমিনে দেখা গেছে,উপজেলার বেলগাছা ইউনিয়নের মন্নিয়া,শিলদহ,সিন্দুরতলী,সাপধরী ইউনিয়নের চেংগানিয়া, মন্ডলপাড়া, কাঁসারী ডোবা, আকন্দপাড়া,কুলকান্দি ইউনিয়নের জিগাতলা,বেড়কুশা,নোয়ারপাড়া ইউনিয়নের টগা,হাড়গিলা,চিনাডুলী ইউনিয়নের নন্দনের পাড়,দেওয়ানপাড়া ও শিংভাঙ্গা এলাকায় যমুনার তীব্র ভাঙ্গন ও সদর ইউনিয়নের পচাবহলা যমুনার শাখা নদী ভাঙ্গনের,গাইবান্ধা ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র নদের চন্দনপুর গ্রামে দশআনী নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ভাঙনে দিশাহারা হয়ে পড়েচে নদীপাড়ে মানুষগুলো।
বেলগাছা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক এ ভিসয়ে জানান, সিন্দুরতলী , মন্নিয়া,শিলদহ গ্রামের প্রায় ৩০০ বসতভিটা যমুনা গর্ভে বিলীন হয়েছে। তারা বর্তমানে খোলা আকাশের নিচে মানবেতন জীবন যাপন করছে। এরইমধ্য তাদের প্রশাসন ৬ টন চাল ও প্রধানমন্ত্রীর উপহার ৩শত প্যাকেট ত্রাণ বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে ইসলামপুর ইউএনও জানান, নদী ভাঙ্গন পরিবারগুলোর খোঁজখবর নিচ্ছি। ভাঙ্গ কবলিতদের জন্য বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে। ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান দুলাল এমপি মহোদয়কে প্রধানমন্ত্রীর উপহার বিতরণ করবেন।