ঢাকা ০৩:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ঋণের টাকা না পেয়ে নারীকে রাতে তালাবদ্ধ করে রাখল পল্লী উন্নয়ন বোর্ড কুষ্টিয়ায় নিখোঁজ অটোরিকশা চালকের লাশ উদ্ধার, প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ ক্রিকেটে নতুন বিশ্বরেকর্ড গড়লেন ক্যাম্ফার পাকিস্তানে বাস থামিয়ে ৯ যাত্রীকে অপহরণের পর হত্যা উন্নত ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে তরুণ প্রজন্মকে দক্ষ হিসেবে গড়ে তোলা আবশ্যক : প্রধান উপদেষ্টা ফৌজদারি কার্যবিধি সংশোধন করে নতুন অধ্যাদেশ জারি রাষ্ট্রপতির ইসরাইলি বর্বরতায় একদিনে আরও ৮২ ফিলিস্তিনি নিহত গ্লোবাল সুপার লিগ : খালেদের ৪ উইকেটে জয়ে শুরু রংপুরের ২১ জেলায় পানির নিচে ৭২ হাজার হেক্টর জমির ফসল টানা বৃষ্টির প্রভাব কাঁচাবাজারে, মরিচের কেজি প্রায় ৩০০ টাকা

“মোখা’য় লণ্ডভণ্ড সেন্টমার্টিন”

দেশের আওয়াজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ০৯:২৪:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ মে ২০২৩ ১৯১ বার পড়া হয়েছে

বঙ্গোসাগরে সৃষ্ট অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন। তীব্র বাতাসে ভেঙে গেছে বহু গাছপালা। ভেঙেছে অনেক ঘরবাড়ি ও বিদ্যুতের খুঁটি। যেসব মানুষ সেন্টমার্টিনে অবস্থান করছেন তাদের সবাইকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে।

রোববার (১৪ মে) দুপুরে ঘূর্ণিঝড় মোখা সেন্টমার্টিনে আঘাত করে। দুপুর আড়াইটায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এখনো মোখা ভয়াবহ তাণ্ডব চালাচ্ছে।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নুর আহমেদ ঢাকা মেইলকে বলেন, সেন্টমার্টিনে দুপুর থেকে প্রচণ্ড বাতাস শুরু হয়। কিছু সময়ের মধ্যেই তা আরও ভয়াবহ হয়। বাতাসের সঙ্গে প্রচুর বৃষ্টি পড়ছে। তীব্র বাতাসে বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। বাতাসে বহু গাছপালা ভেঙে পড়েছে। তবে পানির উচ্চতা তেমন বাড়েনি।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান ঢাকা মেইলকে বলেন, বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দমকা হাওয়া শুরু হয়। সঙ্গে বৃষ্টি হচ্ছে। প্রবল বাতাস বীচের ভেজা বালু তুলে নিচ্ছে। ঘরবাড়ির টিন, ছাউনি, কাঠ, বাঁশ উড়িয়ে নিচ্ছে। অনেক গাছ ও দুমড়ে মুচড়ে পড়েছে। দোকানপাট ভেঙে উড়ে গেছে। বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে গেছে। জানমাল রক্ষায় দ্বীপটির ৩৭ আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে ৫ হাজার মানুষ।

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সেন্টমার্টিন দ্বীপের লোকসংখ্যা প্রায় ১১ হাজার। বঙ্গোপসাগরের মধ্যে আট বর্গকিলোমিটার আয়তনের এ দ্বীপটি ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি দ্বীপের বড় একটি অংশ সমুদ্রে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করেছিলেন কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ।

তার মতে, মোখার আঘাতে সেন্টমার্টিন দ্বীপের ভূ-অবকাঠামোর বড় ক্ষতি হবে। এতে বহু মানুষের প্রাণহানি ঘটবে। এমন আশঙ্কা থেকে প্রবাল এই দ্বীপ থেকে মানুষকে দ্রুত সরিয়ে নিতে জোর আনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

এরপর সরকার অনেককে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিলেও অনেকে থেকে যান। তারা তিনটি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রসহ দ্বীপের ৩৭টি হোটেল রিসোর্ট-কটেজে ঠাঁই নিয়েছেন।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোখার সর্বশেষ পরিস্থিতি জানাতে গিয়ে আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, ‘সাইক্লোনের আই যাচ্ছে টেকনাফ থেকে ৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে, অর্থাৎ নিচ দিয়ে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিত্তের ভেতর দিয়ে। আমাদের উপকূলে সেন্টার পড়েনি। বাম পাশের অংশ আমাদের ওপর পড়েছে। যে কারণে ক্ষতির পরিমাণ কমেছে। আস্তে আস্তে স্থলভাগে আসার পর দুর্বল হতে থাকবে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

“মোখা’য় লণ্ডভণ্ড সেন্টমার্টিন”

আপডেট সময় : ০৯:২৪:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ মে ২০২৩

বঙ্গোসাগরে সৃষ্ট অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন। তীব্র বাতাসে ভেঙে গেছে বহু গাছপালা। ভেঙেছে অনেক ঘরবাড়ি ও বিদ্যুতের খুঁটি। যেসব মানুষ সেন্টমার্টিনে অবস্থান করছেন তাদের সবাইকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে।

রোববার (১৪ মে) দুপুরে ঘূর্ণিঝড় মোখা সেন্টমার্টিনে আঘাত করে। দুপুর আড়াইটায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এখনো মোখা ভয়াবহ তাণ্ডব চালাচ্ছে।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নুর আহমেদ ঢাকা মেইলকে বলেন, সেন্টমার্টিনে দুপুর থেকে প্রচণ্ড বাতাস শুরু হয়। কিছু সময়ের মধ্যেই তা আরও ভয়াবহ হয়। বাতাসের সঙ্গে প্রচুর বৃষ্টি পড়ছে। তীব্র বাতাসে বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। বাতাসে বহু গাছপালা ভেঙে পড়েছে। তবে পানির উচ্চতা তেমন বাড়েনি।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান ঢাকা মেইলকে বলেন, বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দমকা হাওয়া শুরু হয়। সঙ্গে বৃষ্টি হচ্ছে। প্রবল বাতাস বীচের ভেজা বালু তুলে নিচ্ছে। ঘরবাড়ির টিন, ছাউনি, কাঠ, বাঁশ উড়িয়ে নিচ্ছে। অনেক গাছ ও দুমড়ে মুচড়ে পড়েছে। দোকানপাট ভেঙে উড়ে গেছে। বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে গেছে। জানমাল রক্ষায় দ্বীপটির ৩৭ আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে ৫ হাজার মানুষ।

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সেন্টমার্টিন দ্বীপের লোকসংখ্যা প্রায় ১১ হাজার। বঙ্গোপসাগরের মধ্যে আট বর্গকিলোমিটার আয়তনের এ দ্বীপটি ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি দ্বীপের বড় একটি অংশ সমুদ্রে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করেছিলেন কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ।

তার মতে, মোখার আঘাতে সেন্টমার্টিন দ্বীপের ভূ-অবকাঠামোর বড় ক্ষতি হবে। এতে বহু মানুষের প্রাণহানি ঘটবে। এমন আশঙ্কা থেকে প্রবাল এই দ্বীপ থেকে মানুষকে দ্রুত সরিয়ে নিতে জোর আনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

এরপর সরকার অনেককে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিলেও অনেকে থেকে যান। তারা তিনটি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রসহ দ্বীপের ৩৭টি হোটেল রিসোর্ট-কটেজে ঠাঁই নিয়েছেন।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোখার সর্বশেষ পরিস্থিতি জানাতে গিয়ে আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, ‘সাইক্লোনের আই যাচ্ছে টেকনাফ থেকে ৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে, অর্থাৎ নিচ দিয়ে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিত্তের ভেতর দিয়ে। আমাদের উপকূলে সেন্টার পড়েনি। বাম পাশের অংশ আমাদের ওপর পড়েছে। যে কারণে ক্ষতির পরিমাণ কমেছে। আস্তে আস্তে স্থলভাগে আসার পর দুর্বল হতে থাকবে।’