মাঠ পর্যায়ে জরিপে এগিয়ে বিএনপি, অনলাইনে জামায়াত
- আপডেট সময় : ১২:২১:০২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১১ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশে আগামী নির্বাচনে ভোট দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে, বিএনপি ও জামায়াত এগিয়ে রয়েছে। তবে ৩৪ শতাংশ মানুষ এখনও নিশ্চিত নন কাকে ভোট দেবেন।
মাঠ পর্যায়ের জরিপে, ৫ হাজার ১১৫ জনের মধ্যে ৩৪ শতাংশ নিশ্চিত নন কাকে ভোট দেবেন। বিএনপিকে ভোট দিতে চান ২১ শতাংশ, জামায়াতকে ১৪ শতাংশ, এবং ছাত্র সমর্থিত নতুন দলকে ১০ শতাংশ ভোট দিতে চান। আওয়ামী লীগকে ভোট দিতে ইচ্ছুক ৫ শতাংশ, মন্তব্য করতে পারছেন ৪ শতাংশ, স্বতন্ত্র প্রার্থীকে ৩ শতাংশ এবং ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশকে ৩ শতাংশ ভোট দিতে চান।
অন্যদিকে, অনলাইনে পরিচালিত জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৩৫ শতাংশ ছাত্র সমর্থিত নতুন দলকে ভোট দিতে চান, জামায়াতকে ২৫ শতাংশ, এবং ১১ শতাংশ এখনও নিশ্চিত নন। আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে ভোট দিতে চান যথাক্রমে ১০ শতাংশ। স্বতন্ত্র প্রার্থীকে ৩ শতাংশ, কাউকেই না ৩ শতাংশ, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশকে ১ শতাংশ এবং অন্যান্য প্রার্থীকে ১ শতাংশ ভোট দিতে চান।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ১০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে ‘জনমতে ভোটের হিসাব: অনলাইন বনাম মাঠ জরিপের ফল’ শীর্ষক সভায় এসব তথ্য প্রকাশিত হয়। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন গবেষণা ও প্রকল্প ব্যবস্থাপনা সংস্থা ইনোভিশন কন্সাল্টিং।
” জেন-জি প্রজন্মের অনেকেই রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়নি, কিন্তু তাদের নেতৃত্বে জুলাই বিপ্লব হয়েছে। নির্বাচনের পর জনগণের মতামত কেমন হতে পারে, তা টেকসই রাজনৈতিক সংস্কারের জন্য সহায়ক হতে পারে।”
ইনোভিশন কন্সাল্টিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রুবাইয়াৎ সরওয়ার
অনলাইন জরিপে মূলধারার রাজনৈতিক দলগুলোকে প্রত্যাখ্যান করার প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। বক্তারা বলেন, জেন-জি ও মিলেনিয়ালস প্রজন্মের মতামত বয়সে জ্যেষ্ঠ প্রজন্মের মতামতের থেকে আলাদা এবং নারীর ও পুরুষের মধ্যে মতামতের ভিন্নতা রয়েছে।
ইনোভিশন কন্সাল্টিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রুবাইয়াৎ সরওয়ার বলেন, “জেন-জি প্রজন্মের অনেকেই রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়নি, কিন্তু তাদের নেতৃত্বে জুলাই বিপ্লব হয়েছে। নির্বাচনের পর জনগণের মতামত কেমন হতে পারে, তা টেকসই রাজনৈতিক সংস্কারের জন্য সহায়ক হতে পারে।”
তিনি আরও বলেন, “মাঠ পর্যায়ে জরিপে দরিদ্র ও স্বল্প আয়ের জনগণের প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। অন্যদিকে, অনলাইন জরিপে ৯২ শতাংশ অংশগ্রহণকারী জেন-জি ও মিলেনিয়ালস।”
গবেষণা কার্যক্রমের উপদেষ্টা ফাহিম মাশরুর বলেন, “বিশ্বব্যাপী গণতান্ত্রিক দেশগুলোতে পাবলিক অপিনিওন পোল একটি প্রচলিত ব্যবস্থা। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে অনলাইন জরিপে আগ্রহ বেড়েছে। তবে অনলাইন জরিপে বয়স, লিঙ্গ, অঞ্চল ও পেশাভিত্তিক বিশ্লেষণ সম্ভব নয়।”
তিনি আরও যোগ করেন, “এই গবেষণায় আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মেথডলজি ব্যবহার করা হয়েছে এবং প্রতি ৩-৪ মাসে এ ধরনের জরিপ পুনরাবৃত্তি করা প্রয়োজন।”