ঢাকা ০১:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ২৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রাজনীতি স্থিতিশীল থাকলে অর্থনীতি আরও ভালোভাবে চলবে: গভর্নর সকলে মিলে একটি ঐকমত্যের জাতীয় সরকার গঠনের চেষ্টা চলছে : নুর পাবনার এতিম দুই শিশুর পাশে তারেক রহমান আজকের শিশু আগামীর ভালো মানুষ হয় শিক্ষক দ্বারা : শরীফ উদ্দিন কুয়েতের চমকেই শেষ আটে পাকিস্তান, বিদায় ভারত হিন্দু-মুসলমান ভাই ভাই, ধানের শীষে ভোট চাই : মির্জা ফখরুল বিজিবির সহায়তায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে ভারতীয় বৃদ্ধার মরদেহ দেখলেন স্বজনরা অবৈধ প্রবাসীদের জন্য নতুন ডিজিটাল উদ্যোগ সৌদি আরবের অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রাথমিকের শিক্ষকদের কর্মবিরতি ঘোষণা আ.লীগের গুপ্ত কৌশল ঠেকাতে জাতীয় ঐক্য অত্যন্ত জরুরি: তারেক

ময়লার স্তুপ ও দূরগন্ধে জরাজীর্ণ রাজশাহীর বানেশ্বর হাট

মোঃ মেহেদী হাসান, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
  • আপডেট সময় : ১১:৫৪:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ৭৪ বার পড়া হয়েছে

কতৃপক্ষের অবহেলায় ময়লার স্তুপ ও দুর্গন্ধে জরাজীর্ণ রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী বানেশ্বর হাট। এমন অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে বাধ্য হয়ে কেনা বেচা করছেন ক্রেতা এবং বিক্রেতারা। এ হাট থেকে কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হলেও উন্নয়নে তেমন কোন উদ্যোগ না নেওয়ার অভিযোগ ব্যবসায়ীদের।
মাংস বিক্রেতা আলম আলী বলেন, পাশেই ময়লার ভাগাড় আর দুর্গন্ধ। কেনা বেচা তো দূরের কথা এখানে টিকে থাকা দায় হয়ে গেছে আমাদের। মাছ ও মাংস হাটার পানি নিস্কাশনের কোন ব্যবস্থা না থাকায় মাছের পানি, জবাই করা গবাদি পশুর রক্ত জমে পচা-দুর্গন্ধময় পরিবেশের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বাধ্য হয়ে কেনা বেচা করছি।
মাছ ব্যবসায়ী রেজাউল করিম বলেন, মাছ বাজারের পাশের পুকুরটি পরিনত হয়েছে ময়লার ভাগাড়ে। শুকনো মৌসুমে কষ্ট করে কেনা বেচা করা গেলেও বর্ষার সময় দূরগন্ধযুক্ত পানি ছড়িয়ে পড়ে পুরো হাটজুড়ে। বার বার বলা হলেও কোন ব্যবস্থা নেয়না হাট কতৃপক্ষ।
রহিদুল নামে এক ক্রেতা বলেন, বানেশ্বর হাট বর্তমানে খুবই নোংরা পরিবেশ। দুর্গন্ধের কারনে এ হাটে বাজার করতে আসা যায়না। চারিদিকে শুধু ময়লার স্তুপ।
সবুজ আলী নামে আরেক ক্রেতা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে হাটের এই নোংরা অবস্থা। শুকনো মৌসুমে কষ্ট করে বাজার করা গেলেও। বর্ষার সময় পুরো হাট পানির নিচে তলা থাকে আর সাথে নোংরা বর্জ্য, ছোট ছোট পোকা মানুষের শরীরে উঠে। হাটে কেউ আসতে চাই না।
বানেশ্বর বনিক সমিতির সভাপতি মতিউর রহমান মতি বলেন, আম, খেজুরের গুড়, সবজি গরু-ছাগল ও গৃহস্থালি পণ্যের জন্য বেশ পরিচিত এ হাট। প্রতিবছর কোটি টাকার বেশি দিয়ে হাটটি ইজারা নেওয়া হলেও হাটটির সার্বিক উন্নয়নে কোন নজর দারি নেই কতৃপক্ষের। বার বার পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাটের উন্নয়নের জন্য আশ্বাস দিলেও এখনো কোন কার্যকরী পদক্ষেপ নেননি।
এ বিষয়ে পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম নুর হোসেন নির্ঝর মুঠো ফোনে জানান, হাটের নোংরা পরিবেশের অন্যতম কারণ ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকা। মাছ ও মাংশ হাটার বন্ধ ড্রেনটি সংস্কার করার পাশাপাশি হাটের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ময়লার স্তুপ ও দূরগন্ধে জরাজীর্ণ রাজশাহীর বানেশ্বর হাট

আপডেট সময় : ১১:৫৪:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

কতৃপক্ষের অবহেলায় ময়লার স্তুপ ও দুর্গন্ধে জরাজীর্ণ রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী বানেশ্বর হাট। এমন অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে বাধ্য হয়ে কেনা বেচা করছেন ক্রেতা এবং বিক্রেতারা। এ হাট থেকে কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হলেও উন্নয়নে তেমন কোন উদ্যোগ না নেওয়ার অভিযোগ ব্যবসায়ীদের।
মাংস বিক্রেতা আলম আলী বলেন, পাশেই ময়লার ভাগাড় আর দুর্গন্ধ। কেনা বেচা তো দূরের কথা এখানে টিকে থাকা দায় হয়ে গেছে আমাদের। মাছ ও মাংস হাটার পানি নিস্কাশনের কোন ব্যবস্থা না থাকায় মাছের পানি, জবাই করা গবাদি পশুর রক্ত জমে পচা-দুর্গন্ধময় পরিবেশের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বাধ্য হয়ে কেনা বেচা করছি।
মাছ ব্যবসায়ী রেজাউল করিম বলেন, মাছ বাজারের পাশের পুকুরটি পরিনত হয়েছে ময়লার ভাগাড়ে। শুকনো মৌসুমে কষ্ট করে কেনা বেচা করা গেলেও বর্ষার সময় দূরগন্ধযুক্ত পানি ছড়িয়ে পড়ে পুরো হাটজুড়ে। বার বার বলা হলেও কোন ব্যবস্থা নেয়না হাট কতৃপক্ষ।
রহিদুল নামে এক ক্রেতা বলেন, বানেশ্বর হাট বর্তমানে খুবই নোংরা পরিবেশ। দুর্গন্ধের কারনে এ হাটে বাজার করতে আসা যায়না। চারিদিকে শুধু ময়লার স্তুপ।
সবুজ আলী নামে আরেক ক্রেতা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে হাটের এই নোংরা অবস্থা। শুকনো মৌসুমে কষ্ট করে বাজার করা গেলেও। বর্ষার সময় পুরো হাট পানির নিচে তলা থাকে আর সাথে নোংরা বর্জ্য, ছোট ছোট পোকা মানুষের শরীরে উঠে। হাটে কেউ আসতে চাই না।
বানেশ্বর বনিক সমিতির সভাপতি মতিউর রহমান মতি বলেন, আম, খেজুরের গুড়, সবজি গরু-ছাগল ও গৃহস্থালি পণ্যের জন্য বেশ পরিচিত এ হাট। প্রতিবছর কোটি টাকার বেশি দিয়ে হাটটি ইজারা নেওয়া হলেও হাটটির সার্বিক উন্নয়নে কোন নজর দারি নেই কতৃপক্ষের। বার বার পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাটের উন্নয়নের জন্য আশ্বাস দিলেও এখনো কোন কার্যকরী পদক্ষেপ নেননি।
এ বিষয়ে পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম নুর হোসেন নির্ঝর মুঠো ফোনে জানান, হাটের নোংরা পরিবেশের অন্যতম কারণ ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকা। মাছ ও মাংশ হাটার বন্ধ ড্রেনটি সংস্কার করার পাশাপাশি হাটের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।