ময়মনসিংহের সহকারী ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতি`র অভিযোগ

- আপডেট সময় : ০৩:১১:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫ ৪৯ বার পড়া হয়েছে
সরকারি নিয়ম নীতিকে তোয়াক্কা না করে ময়মনসিংহের সদর উপজেলার ভাবখালী ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা রুহুল আমিন এর বিরুদ্ধে ঘুষ বানিজ্য, নানা অনিয়ম-দুর্নীতি ও অসদাচরণের অভিযোগ উঠেছে। নিয়ম-নীতি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে।জমি নামজারিসহ বিভিন্ন কাজে। স্থানীয়দের
স্থানীয়দের অভিযোগ, রুহুল আমিন টাকা ছাড়া কোনো কাজ করেন না এবং অর্থের বিনিময়ে জমির কাগজপত্র যাচাই-বাছাই ছাড়াই প্রতিবেদন তৈরি করেন। তার এই প্রক্রিয়ায় প্রতারিত হচ্ছেন অসংখ্য নিরীহ মানুষ, যারা পরবর্তীতে জমি নিয়ে মামলা ও জটিলতায় পড়ছেন। তার ঘুষ বাণিজ্যে সদর উপজেলা নিয়ে ইউনিয়নের বিভিন্ন মহলে ব্যাপক কানাঘুষা ও আলোচনা সমালোচনা দেখা দিয়েছে। এতে উপজেলা ভূমি প্রশাসনের সচ্ছতা ও সুনাম নষ্ট হচ্ছে বলেও মন্তব্য চলছে।
স্থানীয়রা জানান,রুহুল আমিন দালাল চক্রের সহায়তায় অবৈধভাবে বিভিন্ন জমি সংক্রান্ত কাজের অনুমোদন দিচ্ছেন। দালালদের মাধ্যমে কাজ করায় ভূমি মালিকরা প্রতারণার শিকার হচ্ছেন, যা নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ ও একাধিক সূত্রের তথ্য মতে জানা গেছে, উপজেলার ১২ নং ভাবখালী ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা রুহুল আমিন যোগদানের পর থেকে তিনি সেবা নিতে আসা লোকজনের কাছ থেকে নামজারি, দাখিলাসহ বিভিন্ন ধরনের কাজ করে দেয়ার কথা বলে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিয়ে আসছেন। এবং কি তিনি টাকা নিয়েও ঠিকমতো কাজ করছেন না বলে ভূক্তভোগীদের দাবি। ভাবখালী ইউনিয়ন ভূমি অফিসটি বর্তমানে দালালদের আখড়া হিসাবে পরিণত হয়েছে বলেও ভুক্তভোগীরা জানায়।
একজন অভিযোগকারী ও ভুক্তভোগী বলেন- জমির নাম জারি আবেদন করে কাগজপত্র জমাদিতে গেলে রুহুল আমিন তার দালালদের মাধ্যমে কাছে ২০ হাজার টাকা চায়,পরে দাবীকৃত টাকা দিতে রাজি না হওয়াতেই আবেদনটি নামঞ্জুর করে দেয়া হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরো একজন ভুক্তভোগী জানান-আমি জমির নামজারি করতে অনেক চেষ্টার পরেও সঠিক কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও ভোগান্তির শিকার হচ্ছি। টাকা না দিলে কোনো কাজ হয় না।” তার মতো আরও অনেকেই জমি সংক্রান্ত জটিলতার কারণে নিজেদের সম্পত্তি নিয়ে উদ্বেগে রয়েছেন।
একজন অভিযোগকারী বলেন, ভূমি সহকারী কর্মকর্তা রুহুল আমিন ঘুষ বানিজ্য ও নানা অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে জমির খারিজ করতে পারেনি। খারিজ এর জন্য ঘুরেও চাহিদা মাফিক টাকা না দেওয়ায় কোন কাজ হয়নি। ইউনিয়ন ভূমি অফিসে হয়রাণীর শিকার অনেকে তার দ্রুত অপসারন চান।
স্থানীয় বাসিন্দারা উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন। তারা মনে করেন, ভাবখালী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের এ ধরনের অনিয়মে সুষ্ঠু তদারকি ও দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ প্রয়োজন।
অভিযুক্ত ভূমি সহকারী কর্মকর্তা রুহুল আমিন এর কাছে ঘুষ বানিজ্যের কথা জানতে জানতে তার মোবাইলে কল দিয়ে তাকে না পাওয়ায় তার বক্তব্য জানা যায়নি।
তবে তার বিরুদ্ধে খাজনার দাখিলায় ১৫ হাজার টাকার খাজনার দাখিলায় টাকা ১৫ হাজার নিলেও মাত্র ১৮০ টাকার রিসিট দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। এবিষয়েও তুলে ধরা হবে পরবর্তী রিপোর্টে —–।