ভোলায় ৭ ট্রলারডুবি: নিখোঁজ ২৩, উদ্ধার ৬৭
- আপডেট সময় : ০৭:০৮:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অগাস্ট ২০২৩ ৭৪ বার পড়া হয়েছে
ভোলার মেঘনা ও বঙ্গোপসাগরের মোহনায় ঝড়ের কবলে পড়ে সাতটি জেলে ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ৬৭ জনকে জীবিত উদ্ধার করা গেলেও এখনও নিখোঁজ ২৩ জন।
মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ছয়টি নৌকা নিম্মচাপের প্রভাবে সৃষ্ট ঝড়ে এবং একটি কার্গো জাহাজের ধাক্কায় ডুবে যায় বলে জানান মনপুরা থানার ওসি জহিরুল ইসলাম কামরুল ও ইলিশা নৌ-থানার পরিদর্শক মো. আখতারুজ্জামান।
এর মধ্যে বঙ্গোপসাগরে তিনটি, সাগরের মোহনায় দুইটি, দৌলতখানের মেঘনায় একটি এবং সদর উপজেলার তুলাতলি মেঘনা নদীর মাঝের চর সংলগ্ন এলাকায় একটি ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে।
মনপুরা থানার ওসি জহিরুল ইসলাম কামরুল জানান, ডুবে যাওয়া ট্রলারগুলোর মধ্যে মনপুরার মাছ ব্যবসায়ীদের মাছ ধরার পাঁচটি ট্রলার রয়েছে। এর মধ্যে একটি হাজির হাট এলাকার মাইনুদ্দিন মাঝির, একটি ৬ নম্বর ওয়ার্ডের হাফেজ মাঝির, একটি উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের জসিম মাঝির, একটি দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের ইউনুস বলির এবং অন্যটি ১ নম্বর মনপুরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন হাওলাদারের।
এর মধ্যে তিনটি ট্রলার বঙ্গোপসাগরে ডুবেছে, দুটি ডুবেছে সাগরের মোহনায়। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, মাইনুদ্দিন মাঝির ট্রলারের ২২ জেলে, হাফেজ মাঝির ৮ জেলে, জসিম মাঝির ৮ জেলে, ইউনুস বলির ১০ জেলে উদ্ধার হলেও ট্রলারগুলো উদ্ধার করা যায়নি।
এছাড়া আলাউদ্দিন চেয়ারম্যানের ট্রলারের ১০ জেলের মধ্যে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত চারজনকে উদ্ধার করা গেলেও এখনও নিখোঁজ ২৩ জেলে।
ট্রলার মালিক আলাউদ্দিন হাওলাদার বলেন, সাগর উত্তাল থাকায় নিখোঁজ ছয় জেলের সন্ধান পাওয়া যায়নি। নিখোঁজ জেলেদের সাগরে খোঁজা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মনপুরা থানার ওসি মো. কামরুল ইসলাম।
এছাড়াও দৌলতখান উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন মেঘনা নদীতে মো. মহিউদ্দিন মাঝির একটি ট্রলার পাঁচ জেলেসহ ডুবে গেছে। পরে স্থানীয় জেলেরা ট্রলারসহ সবাইকে উদ্ধার করেছে।