ভোটের দিনে নির্বাচন কমিশন অনুমোদিত সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকদের বাধা দিলে বা সম্পদ বিনষ্ট করলে দুই থেকে ৭ বছর পর্যন্ত সাজার বিধান রেখে নির্বাচনী আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের প্রস্তাব নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে ইসির এই প্রস্তাবের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।
পরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মো. মাহমুদুল হোসাইন খান সাংবাদিকদের এ ব্যাপারে ব্রিফ করেন।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বর্তমানে প্রতি জেলায় একজন করে রিটার্নিং কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করেন। তবে এখন থেকে প্রতি আসনে একজন করে রিটার্নিং অফিসার রাখার প্রস্তাব রয়েছে আরপিওতে।
সংশোধনী প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পাওয়ায় এবার সংসদের আসন্ন অধিবেশনে এটি বিল আকারে উঠতে পারে। বিল পাস হলে দলগুলো নারী কোটা পূরণে আরও সাত বছর সময় পাচ্ছে। আগামী ৬ এপ্রিল সংসদের ২২তম অধিবেশন বসবে।
এছাড়া আজকের মন্ত্রিসভা বৈঠকে ‘ব্যাংক-কোম্পানি (সংশোধন) আইন, ২০২ ‘ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এতে কোনো পরিবার থেকে সর্বোচ্চ তিনজনের বেশি ব্যাংকের পরিচালনা বোর্ডে থাকতে পারবেন না। আগে এই সংখ্যাটি ছিল চারজন।
সচিব বলেন, ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে কেউ খেলাপি হলে তিনি ব্যাংকের পরিচালক হতে পারবেন না। এমনকি ঋণের অর্থ পরিশোধ করলেও তিনি পরবর্তী পাঁচ বছর আর পরিচালক হতে পারবেন না।
তিনি জানান, খসড়া আইন অনুযায়ী, ঋণ খেলাপিদের দেশের বাইরে যেতে হলেও বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন লাগবে। ইচ্ছেকৃত ঋণ খেলাপি হলে ৫০ লাখ থেকে সর্বোচ্চ এক কোটি টাকা জরিমানা। জরিমানা এককালীন এই অর্থ দিতে ব্যর্থ হলে প্রতিদিন এক লাখ করে জরিমানা দিতে হবে।