ঢাকা ০২:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভেজাল ওষুধে আটা-ময়দা, চরম স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা

দেশের আওয়াজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ১২:১০:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫ ২০ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশে জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী রাজনৈতিক অস্থিরতা ও প্রশাসনের শিথিল নজরদারির সুযোগে আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে ভেজাল ওষুধের চক্র। রাজধানী থেকে গ্রামীণ এলাকাগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে নকল ওষুধ, যা রোগী ও চিকিৎসকদের মধ্যে তীব্র উদ্বেগ তৈরি করেছে — জানিয়েছে বিবিসি বাংলা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘অ্যালবুমিন ইনজেকশন’সহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ওষুধের নকল সংস্করণ এমনভাবে বাজারে ছড়িয়ে পড়েছে যে চিকিৎসকরা সেগুলোর ব্যবহার সীমিত বা বন্ধ করে দিচ্ছেন। খালি চোখে আসল-নকলের পার্থক্য করা কঠিন হওয়ায় চিকিৎসকরাও বিভ্রান্ত হচ্ছেন।
ঢাকা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডা. চঞ্চল কুমার ঘোষ জানান, “নকল এতটাই ছড়িয়ে গেছে যে আমরা ব্যবহার বন্ধ করে দিয়েছি। সাধারণ মানুষ বোঝে না, আমরাও অনেক সময় বুঝতে পারি না।”

বিশ্বখ্যাত সাময়িকী নেচার-এ প্রকাশিত এক গবেষণা অনুযায়ী, শুধু ঢাকাতেই প্রায় ১০ শতাংশ অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ নকল বা নিম্নমানের। রাজধানীর বাইরের চিত্র আরও ভয়াবহ—অনেক জায়গায় আটা-ময়দা দিয়ে তৈরি ট্যাবলেট বাজারজাত করার প্রমাণ মিলেছে।

যদিও ২০২৩ সালে ওষুধ ও কসমেটিক আইনে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান যুক্ত করা হয়, তবু এখনো পর্যন্ত কাউকে এ সাজা দেওয়া হয়নি। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই দুর্বল বাস্তবায়ন জনস্বাস্থ্যের ওপর বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ভেজাল ওষুধে আটা-ময়দা, চরম স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা

আপডেট সময় : ১২:১০:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫

বাংলাদেশে জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী রাজনৈতিক অস্থিরতা ও প্রশাসনের শিথিল নজরদারির সুযোগে আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে ভেজাল ওষুধের চক্র। রাজধানী থেকে গ্রামীণ এলাকাগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে নকল ওষুধ, যা রোগী ও চিকিৎসকদের মধ্যে তীব্র উদ্বেগ তৈরি করেছে — জানিয়েছে বিবিসি বাংলা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘অ্যালবুমিন ইনজেকশন’সহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ওষুধের নকল সংস্করণ এমনভাবে বাজারে ছড়িয়ে পড়েছে যে চিকিৎসকরা সেগুলোর ব্যবহার সীমিত বা বন্ধ করে দিচ্ছেন। খালি চোখে আসল-নকলের পার্থক্য করা কঠিন হওয়ায় চিকিৎসকরাও বিভ্রান্ত হচ্ছেন।
ঢাকা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডা. চঞ্চল কুমার ঘোষ জানান, “নকল এতটাই ছড়িয়ে গেছে যে আমরা ব্যবহার বন্ধ করে দিয়েছি। সাধারণ মানুষ বোঝে না, আমরাও অনেক সময় বুঝতে পারি না।”

বিশ্বখ্যাত সাময়িকী নেচার-এ প্রকাশিত এক গবেষণা অনুযায়ী, শুধু ঢাকাতেই প্রায় ১০ শতাংশ অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ নকল বা নিম্নমানের। রাজধানীর বাইরের চিত্র আরও ভয়াবহ—অনেক জায়গায় আটা-ময়দা দিয়ে তৈরি ট্যাবলেট বাজারজাত করার প্রমাণ মিলেছে।

যদিও ২০২৩ সালে ওষুধ ও কসমেটিক আইনে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান যুক্ত করা হয়, তবু এখনো পর্যন্ত কাউকে এ সাজা দেওয়া হয়নি। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই দুর্বল বাস্তবায়ন জনস্বাস্থ্যের ওপর বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।