ঢাকা ০৮:৪৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বেগুন-শসা-লেবুর দাম বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ

দেশের আওয়াজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ০৯:০৪:৪৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩ ৯১ বার পড়া হয়েছে

রমজানের শুরুতেই নিত্যপণ্যের বাজারে ছড়িয়ে পড়ছে এর উত্তাপ। প্রায় প্রতিটি জিনিসপত্রের দামই বেড়েছে। তবে ইফতার আইটেম সংশ্লিষ্ট পণ্যগুলোর দাম বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে। কাঁচাবাজারে প্রায় প্রতিটি সবজির দাম বেড়েছে। এর মধ্যে ইফতার আইটেম হিসেবে বেগুন, শসা ও লেবুর দ্বারা বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে।

রোজার প্রথম দিন শুক্রবার (২৪ মার্চ) রাজধানীর কয়েকটি কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে বেগুন। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৬০-৭০ টাকায়। শসার কেজি মানভেদে ৮০-১০০ টাকা। যা কদিন আগেও বিক্রি হয়েছে ৪০-৬০ টাকা কেজি দরে। ছোট সাইজের লেবুর হালি প্রতি ২০ টাকা বেড়ে হয়েছে ৬০ টাকা। বড় সাইজের লেবু পিসপ্রতি ১০ টাকা বেডে বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। এদিকে মাছের দামও কেজিতে ২০-৫০ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

বাজারগুলোতে দেখা যায়, আলুর দাম কেজিপ্রতি পাঁচ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়, পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ৪০ টাকা, যা গতকাল বৃহস্পতিবারও ছিল ৩৫ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচামরিচের কেজি ২০ টাকা বেড়ে হয়েছে ৭০ টাকা। ডিম বিক্রি হচ্ছে ডজন ১৪০ টাকা করে, যা ছিল ১২০ টাকা। আর দেশি মুরগির ডিমের ডজন ১৯০-২০০ টাকা।

প্রতি কেজি ছোলার দাম ৯০-৯৫ টাকা। সপ্তাহখানেক আগেও ছোলার কেজি ছিল ৮০ টাকা। এছাড়াও অন্যান্য ডাল কেজিপ্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। অ্যাংকার ডাল কেজিপ্রতি ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, মাসকলাইয়ের ডাল ১৫০ টাকা, মুগডাল ১১০ টাকা।

মানভেদে বেসন বিক্রি হচ্ছে ৯৫ থেকে ১২০ টাকায়। বুটের ডালের বেসন ৯৫ টাকা ও মুগ ডালের বেসন কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকায়। সবধরনের বেসনের দাম বেড়েছে ২০-২৫ টাকা পর্যন্ত।

সাধারণ সবজির দামও বাড়তি। শিম ৪০-৫০ টাকা কেজি, করলা ১০০-১২০ টাকা, আকারভেদে লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়। চাল কুমড়া প্রতিটি ৫০-৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০, পটল ৮০, ঢেঁড়স ১০০, কচুর লতি ১০০, পেঁপে ৩০-৪০, বরবটি ১২০ ও ধুন্দুল ৫০-৬০ টাকা কেজি। পাতা কপি ৩০-৪০ টাকা পিস।

নাগালের বাইরেই রয়েছে গরুর মাংসের দাম। গরু বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকায় আর আর খাসির মাংসের কেজি ১০৫০-১১০০ টাকা।

বড় রসুনের কেজি ১৩০-১৪০ টাকা। ছোট রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৩০ টাকা, আদার কেজি ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা, চায়না আদা ২২০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে যা রসুন ও আদার দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ২০ টাকা।

খোলা চিনির কেজি ১১৫ থেকে ১২০ টাকা, খোলা আটা ৬০ টাকা। সয়াবিন তেল প্রতি লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৮৭ টাকা, লবণের কেজি ৩৮-৪০ টাকা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বেগুন-শসা-লেবুর দাম বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ

আপডেট সময় : ০৯:০৪:৪৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩

রমজানের শুরুতেই নিত্যপণ্যের বাজারে ছড়িয়ে পড়ছে এর উত্তাপ। প্রায় প্রতিটি জিনিসপত্রের দামই বেড়েছে। তবে ইফতার আইটেম সংশ্লিষ্ট পণ্যগুলোর দাম বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে। কাঁচাবাজারে প্রায় প্রতিটি সবজির দাম বেড়েছে। এর মধ্যে ইফতার আইটেম হিসেবে বেগুন, শসা ও লেবুর দ্বারা বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে।

রোজার প্রথম দিন শুক্রবার (২৪ মার্চ) রাজধানীর কয়েকটি কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে বেগুন। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৬০-৭০ টাকায়। শসার কেজি মানভেদে ৮০-১০০ টাকা। যা কদিন আগেও বিক্রি হয়েছে ৪০-৬০ টাকা কেজি দরে। ছোট সাইজের লেবুর হালি প্রতি ২০ টাকা বেড়ে হয়েছে ৬০ টাকা। বড় সাইজের লেবু পিসপ্রতি ১০ টাকা বেডে বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। এদিকে মাছের দামও কেজিতে ২০-৫০ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

বাজারগুলোতে দেখা যায়, আলুর দাম কেজিপ্রতি পাঁচ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়, পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ৪০ টাকা, যা গতকাল বৃহস্পতিবারও ছিল ৩৫ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচামরিচের কেজি ২০ টাকা বেড়ে হয়েছে ৭০ টাকা। ডিম বিক্রি হচ্ছে ডজন ১৪০ টাকা করে, যা ছিল ১২০ টাকা। আর দেশি মুরগির ডিমের ডজন ১৯০-২০০ টাকা।

প্রতি কেজি ছোলার দাম ৯০-৯৫ টাকা। সপ্তাহখানেক আগেও ছোলার কেজি ছিল ৮০ টাকা। এছাড়াও অন্যান্য ডাল কেজিপ্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। অ্যাংকার ডাল কেজিপ্রতি ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, মাসকলাইয়ের ডাল ১৫০ টাকা, মুগডাল ১১০ টাকা।

মানভেদে বেসন বিক্রি হচ্ছে ৯৫ থেকে ১২০ টাকায়। বুটের ডালের বেসন ৯৫ টাকা ও মুগ ডালের বেসন কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকায়। সবধরনের বেসনের দাম বেড়েছে ২০-২৫ টাকা পর্যন্ত।

সাধারণ সবজির দামও বাড়তি। শিম ৪০-৫০ টাকা কেজি, করলা ১০০-১২০ টাকা, আকারভেদে লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়। চাল কুমড়া প্রতিটি ৫০-৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০, পটল ৮০, ঢেঁড়স ১০০, কচুর লতি ১০০, পেঁপে ৩০-৪০, বরবটি ১২০ ও ধুন্দুল ৫০-৬০ টাকা কেজি। পাতা কপি ৩০-৪০ টাকা পিস।

নাগালের বাইরেই রয়েছে গরুর মাংসের দাম। গরু বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকায় আর আর খাসির মাংসের কেজি ১০৫০-১১০০ টাকা।

বড় রসুনের কেজি ১৩০-১৪০ টাকা। ছোট রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৩০ টাকা, আদার কেজি ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা, চায়না আদা ২২০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে যা রসুন ও আদার দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ২০ টাকা।

খোলা চিনির কেজি ১১৫ থেকে ১২০ টাকা, খোলা আটা ৬০ টাকা। সয়াবিন তেল প্রতি লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৮৭ টাকা, লবণের কেজি ৩৮-৪০ টাকা।