ঢাকা ০২:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ২৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিসিবি নির্বাচনে নাটকীয় মোড়, ভোটাধিকার ফিরে পেল ১৫ ক্লাব

ক্রীড়া ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ০৩:৪৬:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৫ ১৫ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) নির্বাচনে যেভাবে নাটকীয়তা চলছে, তা মনে হয় শেষ হবার নয়। একের পর এক নতুন মোড় আসছে, ঘটনা ঘটছে আশ্চর্য গতিতে। সর্বশেষ রায়টি বিসিবির নির্বাচনী চিত্রপট পুরোপুরি পাল্টে দিয়েছে। হাইকোর্টের রুলে নির্বাচনের বাইরে চলে যাওয়া ১৫টি ক্লাব আবার ফিরে পেয়েছে তাদের ভোটাধিকার। আর এই নাটকীয় মোড়ের নায়ক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন বিসিবির বর্তমান কাউন্সিলর, নাখালপাড়া ক্রিকেটার্সের প্রতিনিধি লোকমান হোসেন ভূঁইয়া।

সাবেক বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ হাইকোর্টে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ একটি রিট দায়ের করেন। তার অভিযোগ ছিল, ১৫টি ক্লাব নির্বাচনে অংশ নেওয়ার মতো যোগ্যতাই রাখে না। এই রিটের পর হাইকোর্ট অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেয়, যা অনুযায়ী, ওই ১৫ ক্লাবকে নির্বাচনের বাইরে রাখার নির্দেশ দেয়া হয়। এর ফলে, নির্বাচনী তালিকা থেকে ছিটকে পড়ে এই ১৫ ক্লাবের কাউন্সিলররা, তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন লোকমান হোসেন ভূঁইয়া।

এই পরিস্থিতির পর, বিসিবি কাউন্সিলর লোকমান হোসেন ভূঁইয়া চুপ থাকেননি। তিনি সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার জজ আদালতে আপিল করেন। তার আপিলের পর, চেম্বার জজ আদালত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে দেয়, যার ফলে ওই ১৫টি ক্লাবের ভোটাধিকার পুনর্বহাল হয়ে যায়। নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় আরও একবার পরিবর্তন আনে এই রায়, এবং নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া তাদের জন্য নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়ে যায়।

এই নির্বাচনে সবচেয়ে বড় প্রশ্নটি হলো-ইফতেখার রহমান মিঠু! ১৫টি ক্লাবের কাউন্সিলরদের মধ্যে একমাত্র তিনি ছিলেন, যিনি বিসিবি পরিচালক পদে প্রার্থী হওয়ার জন্য নাম জমা দিয়েছিলেন। তবে, হাইকোর্টের রুলের পর তার নাম নির্বাচনী প্রার্থিতার তালিকা থেকে বাদ পড়ে যায়। এখন চেম্বার জজ আদালতের রায়ের পর তার ফেরার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। যদিও এই বিষয়ে এখনও বিসিবি বা নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি, তবে মিঠুর সমর্থকদের মধ্যে নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে।

বিসিবি নির্বাচনে নাটকীয়তার শেষ পর্ব এখনও বাকি। নির্বাচনী মাঠে প্রার্থীরা সব প্রস্তুতি নিয়ে নেমে পড়েছেন, কিন্তু তালিকা বদলের এই সম্ভাবনা কোনো মুহূর্তে নির্বাচনের চিত্রপট পাল্টে দিতে পারে। নির্বাচনের রূপ কেমন হবে, তার ওপর এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়। তবে, বোঝা যাচ্ছে, শেষ পর্যন্ত সবকিছুই অস্থির, এবং যেকোনো মুহূর্তে নতুন কোনো নাটক শুরু হতে পারে।

বিসিবির নির্বাচনের এই অস্থির পরিবেশে কেউ জানে না, পরবর্তী চমকটা কী হতে যাচ্ছে। একটি ঘটনায় পুরো পরিস্থিতি বদলে যেতে পারে, এবং তার প্রভাব নির্বাচন প্রক্রিয়ায় পড়তে পারে। এখন পর্যন্ত প্রার্থীরা মাঠে নেমে পড়লেও, চূড়ান্ত ফলাফল নিয়ে শঙ্কা রয়েই যাচ্ছে। ভোটের মাঠে আরও নাটকীয় মুহূর্ত অপেক্ষা করছে!

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বিসিবি নির্বাচনে নাটকীয় মোড়, ভোটাধিকার ফিরে পেল ১৫ ক্লাব

আপডেট সময় : ০৩:৪৬:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৫

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) নির্বাচনে যেভাবে নাটকীয়তা চলছে, তা মনে হয় শেষ হবার নয়। একের পর এক নতুন মোড় আসছে, ঘটনা ঘটছে আশ্চর্য গতিতে। সর্বশেষ রায়টি বিসিবির নির্বাচনী চিত্রপট পুরোপুরি পাল্টে দিয়েছে। হাইকোর্টের রুলে নির্বাচনের বাইরে চলে যাওয়া ১৫টি ক্লাব আবার ফিরে পেয়েছে তাদের ভোটাধিকার। আর এই নাটকীয় মোড়ের নায়ক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন বিসিবির বর্তমান কাউন্সিলর, নাখালপাড়া ক্রিকেটার্সের প্রতিনিধি লোকমান হোসেন ভূঁইয়া।

সাবেক বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ হাইকোর্টে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ একটি রিট দায়ের করেন। তার অভিযোগ ছিল, ১৫টি ক্লাব নির্বাচনে অংশ নেওয়ার মতো যোগ্যতাই রাখে না। এই রিটের পর হাইকোর্ট অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেয়, যা অনুযায়ী, ওই ১৫ ক্লাবকে নির্বাচনের বাইরে রাখার নির্দেশ দেয়া হয়। এর ফলে, নির্বাচনী তালিকা থেকে ছিটকে পড়ে এই ১৫ ক্লাবের কাউন্সিলররা, তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন লোকমান হোসেন ভূঁইয়া।

এই পরিস্থিতির পর, বিসিবি কাউন্সিলর লোকমান হোসেন ভূঁইয়া চুপ থাকেননি। তিনি সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার জজ আদালতে আপিল করেন। তার আপিলের পর, চেম্বার জজ আদালত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে দেয়, যার ফলে ওই ১৫টি ক্লাবের ভোটাধিকার পুনর্বহাল হয়ে যায়। নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় আরও একবার পরিবর্তন আনে এই রায়, এবং নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া তাদের জন্য নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়ে যায়।

এই নির্বাচনে সবচেয়ে বড় প্রশ্নটি হলো-ইফতেখার রহমান মিঠু! ১৫টি ক্লাবের কাউন্সিলরদের মধ্যে একমাত্র তিনি ছিলেন, যিনি বিসিবি পরিচালক পদে প্রার্থী হওয়ার জন্য নাম জমা দিয়েছিলেন। তবে, হাইকোর্টের রুলের পর তার নাম নির্বাচনী প্রার্থিতার তালিকা থেকে বাদ পড়ে যায়। এখন চেম্বার জজ আদালতের রায়ের পর তার ফেরার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। যদিও এই বিষয়ে এখনও বিসিবি বা নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি, তবে মিঠুর সমর্থকদের মধ্যে নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে।

বিসিবি নির্বাচনে নাটকীয়তার শেষ পর্ব এখনও বাকি। নির্বাচনী মাঠে প্রার্থীরা সব প্রস্তুতি নিয়ে নেমে পড়েছেন, কিন্তু তালিকা বদলের এই সম্ভাবনা কোনো মুহূর্তে নির্বাচনের চিত্রপট পাল্টে দিতে পারে। নির্বাচনের রূপ কেমন হবে, তার ওপর এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়। তবে, বোঝা যাচ্ছে, শেষ পর্যন্ত সবকিছুই অস্থির, এবং যেকোনো মুহূর্তে নতুন কোনো নাটক শুরু হতে পারে।

বিসিবির নির্বাচনের এই অস্থির পরিবেশে কেউ জানে না, পরবর্তী চমকটা কী হতে যাচ্ছে। একটি ঘটনায় পুরো পরিস্থিতি বদলে যেতে পারে, এবং তার প্রভাব নির্বাচন প্রক্রিয়ায় পড়তে পারে। এখন পর্যন্ত প্রার্থীরা মাঠে নেমে পড়লেও, চূড়ান্ত ফলাফল নিয়ে শঙ্কা রয়েই যাচ্ছে। ভোটের মাঠে আরও নাটকীয় মুহূর্ত অপেক্ষা করছে!