ঢাকা ০২:৪৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কৃষি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার এসোসিয়েশনের অনন্য অবদান রয়েছে : শরীফ উদ্দিন চাঁপাইনবাবগঞ্জে হঠাৎ করেই চালের বাজার অস্থির, কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে ৮ টাকা দুর্গাপুর সীমান্ত দিয়ে আরও ২১ জনকে বাংলাদেশে পুশইন রাজস্ব আদায় কার্যক্রমে মনোযোগ দেওয়ার নির্দেশ এনবিআর চেয়ারম্যানের পুরো সংসদীয় আসনের ভোট বাতিলের ক্ষমতা চায় ইসি একযোগে ১৮ বিচারককে অবসরে পাঠাল সরকার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে যে একাদশ নিয়ে মাঠে নামছে বাংলাদেশ বাংলাদেশি-রোহিঙ্গা সন্দেহে ভারতে ৪৪৪ জনকে আটক সোহরাওয়ার্দীর সমাবেশ বাস্তবায়নে ডিএমপির সহযোগিতা চেয়েছে জামায়াত নির্বাচনের প্রস্তুতির নির্দেশ, প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ ফখরুলের

বিবিসিকে তলব দিল্লি হাইকোর্টের

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ০৯:৩৯:২৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ মে ২০২৩ ১০০ বার পড়া হয়েছে

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে তৈরি তথ্যচিত্র প্রচার করায় ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং করপোরেশন (বিবিসি) র বিরুদ্ধে দায়ের করা মানহানি মামলায় সংবাদমাধ্যমটিকে তলব করেছে দিল্লি হাইকোর্ট। সোমবার দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি শচীন দত্ত এ বিষয়ে বিবিসিকে নোটিশ দিয়েছেন। তথ্যচিত্রটির বিষয়ে বিবিসির ব্যাখ্যাও চেয়েছে আদালত। আগামী সেপ্টেম্বর মাসে মামলাটির পরবর্তী শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
গুজরাটের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভূমিকা নিয়ে করা বিবিসির একটি তথ্যচিত্র আলোড়ন সৃষ্টি হয় ভারতে। তথ্যচিত্র ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদি কোয়েশ্চেন’কে ঘিরে গুজরাটভিত্তিক বেসরকারি সংস্থা ‘জাস্টিস অন ট্রায়াল’ নামের একটি এনজিও মানহানির মামলা দায়ের করেছিল। ওই এনজিও সংস্থাটির অভিযোগ ছিল, ওই ডকুমেন্টারিতে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরোধিতা করা হয়েছে।

বেসরকারি এনজিও সংস্থাটির আইনজীবী হরিষ সালভি মনে করেন, বিবিসির ২ পর্বের তথ্যচিত্রে ভারত ও এর বিচার ব্যবস্থাকে হেয় করা হয়েছে।

আদালত বলেছে, বিবিসির তথ্যচিত্রে ২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গায় রাজ্যটির তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী মোদির ভূমিকা নিয়ে যা তুলে ধরা হয়েছে তা ভারতের সুনাম ক্ষুণ্ণ করেছে। তথ্যচিত্রটি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মোদির বিরুদ্ধে তৈরি করা হয়েছে—বাদীর এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিবাদীকে তলব করা হয়েছে।

এর আগে একটি নিম্ন আদালতও এই সংক্রান্ত মামলায় বিবিসি কর্তৃপক্ষকে তলব করেছিল। সেসময় মামলাটি করেছিলেন বিজেপি নেতা বিনয় কুমার সিংহ। আদালতের কাছে তিনি এই ধরনের তথ্যচিত্র প্রদর্শনীতে নিষেধাজ্ঞা জারি করার আর্জি জানিয়েছিলেন।

২০০২ সালে নরেন্দ্র মোদী গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় সে রাজ্যে সংখ্যালঘুদের কেমন অবস্থা ছিল, তা নিয়ে দুই পর্বে একটি তথ্যচিত্র প্রকাশ করেছিল ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। কিন্তু ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদি কোয়েশ্চেন শীর্ষক তথ্যচিত্রটি বিশেষ তথ্যপ্রযুক্তি আইন প্রয়োগ করে ইউটিউব-সহ যাবতীয় সমাজমাধ্যম থেকে সরিয়ে দেয়ার নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় সরকার।

তারপরই কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়। ওই মামলায় কেন্দ্রের কাছে রিপোর্ট তলব করে দেশের শীর্ষ আদালত। বিচারাধীন বিষয় নিয়ে মন্ত্রীরা কোনও মন্তব্য করতে না চাইলেও বিজেপির একাধিক নেতা বিবিসির তীব্র সমালোচনা করে জানান, দেশকে খাটো করার জন্যই মিথ্যা এবং বিকৃত তথ্য পরিবেশন করছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটি। সরকারের তরফেও জানানো হয়, বিবিসির ওই তথ্যচিত্র দেশের সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতার আদর্শকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বিবিসিকে তলব দিল্লি হাইকোর্টের

আপডেট সময় : ০৯:৩৯:২৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ মে ২০২৩

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে তৈরি তথ্যচিত্র প্রচার করায় ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং করপোরেশন (বিবিসি) র বিরুদ্ধে দায়ের করা মানহানি মামলায় সংবাদমাধ্যমটিকে তলব করেছে দিল্লি হাইকোর্ট। সোমবার দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি শচীন দত্ত এ বিষয়ে বিবিসিকে নোটিশ দিয়েছেন। তথ্যচিত্রটির বিষয়ে বিবিসির ব্যাখ্যাও চেয়েছে আদালত। আগামী সেপ্টেম্বর মাসে মামলাটির পরবর্তী শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
গুজরাটের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভূমিকা নিয়ে করা বিবিসির একটি তথ্যচিত্র আলোড়ন সৃষ্টি হয় ভারতে। তথ্যচিত্র ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদি কোয়েশ্চেন’কে ঘিরে গুজরাটভিত্তিক বেসরকারি সংস্থা ‘জাস্টিস অন ট্রায়াল’ নামের একটি এনজিও মানহানির মামলা দায়ের করেছিল। ওই এনজিও সংস্থাটির অভিযোগ ছিল, ওই ডকুমেন্টারিতে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরোধিতা করা হয়েছে।

বেসরকারি এনজিও সংস্থাটির আইনজীবী হরিষ সালভি মনে করেন, বিবিসির ২ পর্বের তথ্যচিত্রে ভারত ও এর বিচার ব্যবস্থাকে হেয় করা হয়েছে।

আদালত বলেছে, বিবিসির তথ্যচিত্রে ২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গায় রাজ্যটির তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী মোদির ভূমিকা নিয়ে যা তুলে ধরা হয়েছে তা ভারতের সুনাম ক্ষুণ্ণ করেছে। তথ্যচিত্রটি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মোদির বিরুদ্ধে তৈরি করা হয়েছে—বাদীর এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিবাদীকে তলব করা হয়েছে।

এর আগে একটি নিম্ন আদালতও এই সংক্রান্ত মামলায় বিবিসি কর্তৃপক্ষকে তলব করেছিল। সেসময় মামলাটি করেছিলেন বিজেপি নেতা বিনয় কুমার সিংহ। আদালতের কাছে তিনি এই ধরনের তথ্যচিত্র প্রদর্শনীতে নিষেধাজ্ঞা জারি করার আর্জি জানিয়েছিলেন।

২০০২ সালে নরেন্দ্র মোদী গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় সে রাজ্যে সংখ্যালঘুদের কেমন অবস্থা ছিল, তা নিয়ে দুই পর্বে একটি তথ্যচিত্র প্রকাশ করেছিল ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। কিন্তু ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদি কোয়েশ্চেন শীর্ষক তথ্যচিত্রটি বিশেষ তথ্যপ্রযুক্তি আইন প্রয়োগ করে ইউটিউব-সহ যাবতীয় সমাজমাধ্যম থেকে সরিয়ে দেয়ার নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় সরকার।

তারপরই কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়। ওই মামলায় কেন্দ্রের কাছে রিপোর্ট তলব করে দেশের শীর্ষ আদালত। বিচারাধীন বিষয় নিয়ে মন্ত্রীরা কোনও মন্তব্য করতে না চাইলেও বিজেপির একাধিক নেতা বিবিসির তীব্র সমালোচনা করে জানান, দেশকে খাটো করার জন্যই মিথ্যা এবং বিকৃত তথ্য পরিবেশন করছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটি। সরকারের তরফেও জানানো হয়, বিবিসির ওই তথ্যচিত্র দেশের সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতার আদর্শকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।