ঢাকা ১১:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

সিরাজগঞ্জ আইনজীবী সমিতি নির্বাচনে

বিএনপি-জামায়াতপন্থি প্যানেল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী

দেশের আওয়াজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ১১:১৮:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫ ১৩ বার পড়া হয়েছে

সিরাজগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াতপন্থি প্যানেল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে। এতে অ্যাডভোকেট শাকিল মোহাম্মদ, শরিফুর হায়দার, রফিক সরকার (বিএনপি) ও অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম সেলিম (জামায়াত) সমর্থিত প্যানেলের ১৭ জন বিজয়ী হয়েছেন।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে ১৭টি পদের বিপরীতে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় বিএনপি-জামায়াতপন্থি একক প্যানেলকে জয়ী ঘোষণা করা হয়।

অভিযোগ উঠেছে, হুমকি-ধমকি, বাঁধা প্রদান ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করায় আওয়ামীপন্থী আইনজীবীরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিজয়ী প্যানেলের সভাপতি।

সিরাজগঞ্জ আইনজীবী সমিতির বর্তমান সভাপতি ও নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট কায়ছার আহমেদ লিটন জানান, ৩১ ডিসেম্বর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। ৩০ জানুয়ারি এ নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। তফসিল অনুযায়ী ১৬ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে ১৭টি পদের বিপরীতে ৩টি পদ ছাড়া বাকি ১৪টি পদে একটি করে মনোনয়নপত্র দাখিল হয়। ২২ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন পর্যন্ত সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট কামরুজ্জামান কামাল (জাপা), সাধারণ সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ (বিএনপি) ও অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম (আওয়ামী লীগ) এবং ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট মুজাহিদ বিন রহমান মিঠুন (জাপা) মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। এ অবস্থায় ১৭টি পদে সবাই একক প্রার্থী হওয়ায় অ্যাডভোকেট শাকিল মোহাম্মদ, শরিফুর হায়দার, রফিক সরকার (বিএনপি) ও অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম সেলিম (জামায়াত) সমর্থিত প্যানেলকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নবনির্বাচিত সভাপতি, জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট রফিক সরকার বলেন, আইনজীবী সমিতির ১৭টি পদের মধ্যে সভাপতিসহ ১২টি পদে বিএনপি এবং সাধারণ সম্পাদকসহ ৫টি পদে জামায়াত সমর্থিত আইনজীবীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন। তবে ‘দলীয়ভাবে কাউকে নির্বাচনে অংশ নিতে বাঁধা দেওয়া হয়নি। বহিরাগত লোকজনের ভয়ে আওয়ামীপন্থী আইনজীবীরা নির্বাচনে অংশ নেয়নি। এমন বাঁধা আমরাও অতীতে অনেক পেয়েছি, তবুও নির্বাচনে অংশ নিয়েছি, কখনোই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াইনি।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

সিরাজগঞ্জ আইনজীবী সমিতি নির্বাচনে

বিএনপি-জামায়াতপন্থি প্যানেল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী

আপডেট সময় : ১১:১৮:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫

সিরাজগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াতপন্থি প্যানেল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে। এতে অ্যাডভোকেট শাকিল মোহাম্মদ, শরিফুর হায়দার, রফিক সরকার (বিএনপি) ও অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম সেলিম (জামায়াত) সমর্থিত প্যানেলের ১৭ জন বিজয়ী হয়েছেন।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে ১৭টি পদের বিপরীতে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় বিএনপি-জামায়াতপন্থি একক প্যানেলকে জয়ী ঘোষণা করা হয়।

অভিযোগ উঠেছে, হুমকি-ধমকি, বাঁধা প্রদান ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করায় আওয়ামীপন্থী আইনজীবীরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিজয়ী প্যানেলের সভাপতি।

সিরাজগঞ্জ আইনজীবী সমিতির বর্তমান সভাপতি ও নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট কায়ছার আহমেদ লিটন জানান, ৩১ ডিসেম্বর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। ৩০ জানুয়ারি এ নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। তফসিল অনুযায়ী ১৬ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে ১৭টি পদের বিপরীতে ৩টি পদ ছাড়া বাকি ১৪টি পদে একটি করে মনোনয়নপত্র দাখিল হয়। ২২ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন পর্যন্ত সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট কামরুজ্জামান কামাল (জাপা), সাধারণ সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ (বিএনপি) ও অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম (আওয়ামী লীগ) এবং ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট মুজাহিদ বিন রহমান মিঠুন (জাপা) মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। এ অবস্থায় ১৭টি পদে সবাই একক প্রার্থী হওয়ায় অ্যাডভোকেট শাকিল মোহাম্মদ, শরিফুর হায়দার, রফিক সরকার (বিএনপি) ও অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম সেলিম (জামায়াত) সমর্থিত প্যানেলকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নবনির্বাচিত সভাপতি, জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট রফিক সরকার বলেন, আইনজীবী সমিতির ১৭টি পদের মধ্যে সভাপতিসহ ১২টি পদে বিএনপি এবং সাধারণ সম্পাদকসহ ৫টি পদে জামায়াত সমর্থিত আইনজীবীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন। তবে ‘দলীয়ভাবে কাউকে নির্বাচনে অংশ নিতে বাঁধা দেওয়া হয়নি। বহিরাগত লোকজনের ভয়ে আওয়ামীপন্থী আইনজীবীরা নির্বাচনে অংশ নেয়নি। এমন বাঁধা আমরাও অতীতে অনেক পেয়েছি, তবুও নির্বাচনে অংশ নিয়েছি, কখনোই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াইনি।’