ঢাকা ০১:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কৃষি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার এসোসিয়েশনের অনন্য অবদান রয়েছে : শরীফ উদ্দিন চাঁপাইনবাবগঞ্জে হঠাৎ করেই চালের বাজার অস্থির, কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে ৮ টাকা দুর্গাপুর সীমান্ত দিয়ে আরও ২১ জনকে বাংলাদেশে পুশইন রাজস্ব আদায় কার্যক্রমে মনোযোগ দেওয়ার নির্দেশ এনবিআর চেয়ারম্যানের পুরো সংসদীয় আসনের ভোট বাতিলের ক্ষমতা চায় ইসি একযোগে ১৮ বিচারককে অবসরে পাঠাল সরকার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে যে একাদশ নিয়ে মাঠে নামছে বাংলাদেশ বাংলাদেশি-রোহিঙ্গা সন্দেহে ভারতে ৪৪৪ জনকে আটক সোহরাওয়ার্দীর সমাবেশ বাস্তবায়নে ডিএমপির সহযোগিতা চেয়েছে জামায়াত নির্বাচনের প্রস্তুতির নির্দেশ, প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ ফখরুলের

‘বাজার নিয়ন্ত্রণে উদাসীনতায় কাঁচামরিচের মূল্য রেকর্ড ভেঙেছে’

দেশের আওয়াজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ০৮:০৬:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ জুলাই ২০২৩ ১২০ বার পড়া হয়েছে

বাজারে সরকারের নিয়ন্ত্রণ না থাকা এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর উদাসীনতায় কাঁচামরিচের মূল্য রেকর্ড ভেঙেছে বলে মনে করে বাংলাদেশ সাধারণ নাগরিক সমাজ। এ অবস্থায় জনগণের ভোগান্তি কমাতে এবং বাজার দ্রুততার সাথে সাধারণ মানুষের ক্ষমতার মধ্যে আনতে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে সংগঠনটি।

রোববার (২ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো বাংলাদেশ সাধারণ নাগরিক সমাজের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়।

সংগঠনের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, গত দুই বছর যাবত আমরা লক্ষ্য করছি- বাজারে সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেই। এক শ্রেণির অতি মুনাফাখোর, সিন্ডিকেটকারী অসাধু ব্যক্তিদের হাতে চলে গেছে বাজার। এতে আজকে যদি আদার দাম বাড়ে তো কালকে পেঁয়াজের দাম বাড়ে, আবার পরের দিন মসলার দাম বাড়ে। চাল ডাল দুধ নিত্যপণ্যের দাম প্রতিযোগিতা দিয়ে বাড়ছে। অথচ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিযোগিতা কমিশন নিরব ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। সরকারের টেরিফ কমিশনের কোন ভূমিকা আছে বলে আমরা দেখি না।

উদাসীনতাকে দায়ী করে তিনি বলেন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর মাঝে মাঝে কিছু উদ্যোগ নিলেও সার্বিকভাবে বাজার তাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। কৃষি অধিদফতর ও প্রাণিসম্পদ অধিদফতরেরও বাজার নিয়ন্ত্রণে কোনো কার্যকর ভূমিকা আজ পর্যন্ত লক্ষ্য করা যায়নি। ফলে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উদাসীনতার সুযোগ নিচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। সিন্ডিকেটকারী ব্যবসায়ীরা বাজার জিম্মি করে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে নিয়ে গেছে।

কাঁচামরিচের দাম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ঈদের দুই দিন আগে কাঁচামরিচের দাম ছিল ৮০ থেকে ১২০ টাকা কেজি। সেই মরিচ ঈদের পরদিন ৫০০ থেকে এলাকাভেদে ৭০০-৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশে কোন ভয়াবহ বন্যা নেই। এমনকি লাগাতার ভারী বৃষ্টিপাতও নেই। বরং দুই দিনের বৃষ্টিতে মরিচের গাছ আরও সজীব হয়েছে এবং ফলনও বৃদ্ধি পেয়েছে। খোঁজ নিলে দেখা যাবে, মরিচের উচ্চমূল্যের এই সুবিধা কৃষক পাচ্ছে না, পাচ্ছে মধ্যস্বত্বভোগী এবং এক শ্রেণির অতি মুনাফাকারী। বাজারে গেলে কাঁচামরিচের শূন্যতা লক্ষ্য করা যায় না বরং আগের মতোই সরবরাহ রয়েছে। চাহিদা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে সত্যি কিন্তু সরবরাহ তুলনায় সেই চাহিদা কোনো অংশে বেশি না।

এ অবস্থায় দ্রুততার সাথে বাজার মূল্য সাধারণ মানুষের ক্ষমতার মধ্যে আনতে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে বাংলাদেশে সাধারণ নাগরিক সমাজ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

‘বাজার নিয়ন্ত্রণে উদাসীনতায় কাঁচামরিচের মূল্য রেকর্ড ভেঙেছে’

আপডেট সময় : ০৮:০৬:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ জুলাই ২০২৩

বাজারে সরকারের নিয়ন্ত্রণ না থাকা এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর উদাসীনতায় কাঁচামরিচের মূল্য রেকর্ড ভেঙেছে বলে মনে করে বাংলাদেশ সাধারণ নাগরিক সমাজ। এ অবস্থায় জনগণের ভোগান্তি কমাতে এবং বাজার দ্রুততার সাথে সাধারণ মানুষের ক্ষমতার মধ্যে আনতে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে সংগঠনটি।

রোববার (২ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো বাংলাদেশ সাধারণ নাগরিক সমাজের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়।

সংগঠনের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, গত দুই বছর যাবত আমরা লক্ষ্য করছি- বাজারে সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেই। এক শ্রেণির অতি মুনাফাখোর, সিন্ডিকেটকারী অসাধু ব্যক্তিদের হাতে চলে গেছে বাজার। এতে আজকে যদি আদার দাম বাড়ে তো কালকে পেঁয়াজের দাম বাড়ে, আবার পরের দিন মসলার দাম বাড়ে। চাল ডাল দুধ নিত্যপণ্যের দাম প্রতিযোগিতা দিয়ে বাড়ছে। অথচ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিযোগিতা কমিশন নিরব ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। সরকারের টেরিফ কমিশনের কোন ভূমিকা আছে বলে আমরা দেখি না।

উদাসীনতাকে দায়ী করে তিনি বলেন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর মাঝে মাঝে কিছু উদ্যোগ নিলেও সার্বিকভাবে বাজার তাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। কৃষি অধিদফতর ও প্রাণিসম্পদ অধিদফতরেরও বাজার নিয়ন্ত্রণে কোনো কার্যকর ভূমিকা আজ পর্যন্ত লক্ষ্য করা যায়নি। ফলে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উদাসীনতার সুযোগ নিচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। সিন্ডিকেটকারী ব্যবসায়ীরা বাজার জিম্মি করে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে নিয়ে গেছে।

কাঁচামরিচের দাম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ঈদের দুই দিন আগে কাঁচামরিচের দাম ছিল ৮০ থেকে ১২০ টাকা কেজি। সেই মরিচ ঈদের পরদিন ৫০০ থেকে এলাকাভেদে ৭০০-৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশে কোন ভয়াবহ বন্যা নেই। এমনকি লাগাতার ভারী বৃষ্টিপাতও নেই। বরং দুই দিনের বৃষ্টিতে মরিচের গাছ আরও সজীব হয়েছে এবং ফলনও বৃদ্ধি পেয়েছে। খোঁজ নিলে দেখা যাবে, মরিচের উচ্চমূল্যের এই সুবিধা কৃষক পাচ্ছে না, পাচ্ছে মধ্যস্বত্বভোগী এবং এক শ্রেণির অতি মুনাফাকারী। বাজারে গেলে কাঁচামরিচের শূন্যতা লক্ষ্য করা যায় না বরং আগের মতোই সরবরাহ রয়েছে। চাহিদা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে সত্যি কিন্তু সরবরাহ তুলনায় সেই চাহিদা কোনো অংশে বেশি না।

এ অবস্থায় দ্রুততার সাথে বাজার মূল্য সাধারণ মানুষের ক্ষমতার মধ্যে আনতে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে বাংলাদেশে সাধারণ নাগরিক সমাজ।