ঢাকা ০২:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাজারে বর্ষার সবজি, কমেছে দাম

দেশের আওয়াজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ১২:০৫:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫ ২৪ বার পড়া হয়েছে

বর্ষা শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই রাজধানীর বাজারে দেখা যাচ্ছে মৌসুমি শাকসবজির সরবরাহ। নতুন সবজি ওঠায় কমেছে দাম, কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ ভোক্তার মুখে। রাজধানীর রামপুরা, খিলগাঁও, বনশ্রী, আফতাবনগর এবং যাত্রাবাড়ীর বাজার ঘুরে দেখা গেছে—শসা, করলা, ঝিঙে, পুঁইশাক, কচু, ঢেঁড়সসহ নানান মৌসুমি সবজি এখন বাজারে সহজলভ্য এবং তুলনামূলক সস্তা।

সবজির খুচরা বিক্রেতারা জানিয়েছেন, গত সপ্তাহের তুলনায় এখন সবজির দাম কেজিতে ১৫ থেকে ২৫ টাকা পর্যন্ত কমেছে। শসা মিলছে ৩০–৩৫ টাকায়, করলা ৩০–৪০ টাকায়, ঝিঙে ৩৫–৪০ টাকায় এবং পুঁইশাক ১০–১৫ টাকা আঁটি দরে।

রামপুরা বাজারের বিক্রেতা সবুজ আলম জানান, বৃষ্টির কারণে মাঠে নতুন সবজি উঠছে। ফলে বাজারে সরবরাহ বেড়েছে, দামও কমেছে। তবে বর্ষা পুরোপুরি শুরু হলে আবার কিছুদিনের জন্য দাম বাড়ার সম্ভাবনা আছে।

মেরাদিয়া বাজারে সবজি কিনতে আসা গৃহিণী রিনা মণ্ডল বলেন, গত মাসে করলা কিনেছি ৭০ টাকায়, আর এখন ৪০ টাকায় পাচ্ছি। এভাবে দাম থাকলে আমাদের মতো সাধারণ ক্রেতারা একটু বাঁচতে পারব।

এ বিষয়ে বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্ষার শুরুতে সবজি চাষে গতি আসে, সরবরাহ বাড়ে, ফলে দাম কমে। তবে টানা বৃষ্টি বা আকস্মিক বন্যা দেখা দিলে বিপরীত চিত্রও দেখা যেতে পারে। তাই তারা শাকসবজির সরবরাহ চেইন ও কৃষকদের সহায়তায় নজর বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন।

আজকের বাজারে কিছু সবজির দাম (প্রতি কেজি বা আঁটি)— বেগুন ৩০–৫০ টাকা, টমেটো ২০–৪০ টাকা, গাজর ৩০–৬০ টাকা, বরবটি ৩০ টাকা, শসা ৩৫ টাকা, করলা ২০–৫০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ২০–৪০ টাকা, কাঁকরোল ৫০–৬০ টাকা, ধন্দুল ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ও ঝিঙে ৩০–৪০ টাকা, জালি (প্রতি পিস) ৫০ টাকা, কলা (প্রতি হালি) ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ২০ টাকা, কঁচুর লতি ৬০ টাকা ও পেঁপে ৩০ টাকা।

তবে সবজির বাজারে স্বস্তি থাকলেও, মাছ ও মাংসের দাম এখনো বেশ চড়া। বিশেষ করে দেশি মাছ এবং খাসির মাংসের দাম অনেকের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। মাছের বর্তমান বাজারদর (প্রতি কেজি)—ইলিশ (৫০০ গ্রাম) ১১০০ টাকা, ইলিশ (৭০০–৮০০ গ্রাম) ১৭০০ টাকা, ইলিশ (১ কেজি) ২০০০ টাকা, চাষের চিংড়ি ৭৫০–৮০০ টাকা, নদীর চিংড়ি ১০০০–১২০০ টাকা, শিং-টেংরা-শোল-পুঁটি ৫০০–৮০০ টাকা, রুই/কাতলা ৩২০–৩৬০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০–২৪০ টাকা ও পাঙ্গাস ২০০–২৫০ টাকা।

এছাড়া মাংসের বাজারে ব্রয়লার মুরগি ১৬০ টাকা/কেজি, সোনালি মুরগি ৩০০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগি ৩২০ টাকা, গরুর মাংস ৭৫০ টাকা, খাসির মাংস ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এমন দামে মাছ ও মাংস কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন অনেকে। ফলে বিকল্প হিসেবে কম দামে পাওয়া সবজির দিকেই ঝুঁকছেন বেশির ভাগ ক্রেতা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বাজারে বর্ষার সবজি, কমেছে দাম

আপডেট সময় : ১২:০৫:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫

বর্ষা শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই রাজধানীর বাজারে দেখা যাচ্ছে মৌসুমি শাকসবজির সরবরাহ। নতুন সবজি ওঠায় কমেছে দাম, কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ ভোক্তার মুখে। রাজধানীর রামপুরা, খিলগাঁও, বনশ্রী, আফতাবনগর এবং যাত্রাবাড়ীর বাজার ঘুরে দেখা গেছে—শসা, করলা, ঝিঙে, পুঁইশাক, কচু, ঢেঁড়সসহ নানান মৌসুমি সবজি এখন বাজারে সহজলভ্য এবং তুলনামূলক সস্তা।

সবজির খুচরা বিক্রেতারা জানিয়েছেন, গত সপ্তাহের তুলনায় এখন সবজির দাম কেজিতে ১৫ থেকে ২৫ টাকা পর্যন্ত কমেছে। শসা মিলছে ৩০–৩৫ টাকায়, করলা ৩০–৪০ টাকায়, ঝিঙে ৩৫–৪০ টাকায় এবং পুঁইশাক ১০–১৫ টাকা আঁটি দরে।

রামপুরা বাজারের বিক্রেতা সবুজ আলম জানান, বৃষ্টির কারণে মাঠে নতুন সবজি উঠছে। ফলে বাজারে সরবরাহ বেড়েছে, দামও কমেছে। তবে বর্ষা পুরোপুরি শুরু হলে আবার কিছুদিনের জন্য দাম বাড়ার সম্ভাবনা আছে।

মেরাদিয়া বাজারে সবজি কিনতে আসা গৃহিণী রিনা মণ্ডল বলেন, গত মাসে করলা কিনেছি ৭০ টাকায়, আর এখন ৪০ টাকায় পাচ্ছি। এভাবে দাম থাকলে আমাদের মতো সাধারণ ক্রেতারা একটু বাঁচতে পারব।

এ বিষয়ে বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্ষার শুরুতে সবজি চাষে গতি আসে, সরবরাহ বাড়ে, ফলে দাম কমে। তবে টানা বৃষ্টি বা আকস্মিক বন্যা দেখা দিলে বিপরীত চিত্রও দেখা যেতে পারে। তাই তারা শাকসবজির সরবরাহ চেইন ও কৃষকদের সহায়তায় নজর বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন।

আজকের বাজারে কিছু সবজির দাম (প্রতি কেজি বা আঁটি)— বেগুন ৩০–৫০ টাকা, টমেটো ২০–৪০ টাকা, গাজর ৩০–৬০ টাকা, বরবটি ৩০ টাকা, শসা ৩৫ টাকা, করলা ২০–৫০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ২০–৪০ টাকা, কাঁকরোল ৫০–৬০ টাকা, ধন্দুল ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ও ঝিঙে ৩০–৪০ টাকা, জালি (প্রতি পিস) ৫০ টাকা, কলা (প্রতি হালি) ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ২০ টাকা, কঁচুর লতি ৬০ টাকা ও পেঁপে ৩০ টাকা।

তবে সবজির বাজারে স্বস্তি থাকলেও, মাছ ও মাংসের দাম এখনো বেশ চড়া। বিশেষ করে দেশি মাছ এবং খাসির মাংসের দাম অনেকের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। মাছের বর্তমান বাজারদর (প্রতি কেজি)—ইলিশ (৫০০ গ্রাম) ১১০০ টাকা, ইলিশ (৭০০–৮০০ গ্রাম) ১৭০০ টাকা, ইলিশ (১ কেজি) ২০০০ টাকা, চাষের চিংড়ি ৭৫০–৮০০ টাকা, নদীর চিংড়ি ১০০০–১২০০ টাকা, শিং-টেংরা-শোল-পুঁটি ৫০০–৮০০ টাকা, রুই/কাতলা ৩২০–৩৬০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০–২৪০ টাকা ও পাঙ্গাস ২০০–২৫০ টাকা।

এছাড়া মাংসের বাজারে ব্রয়লার মুরগি ১৬০ টাকা/কেজি, সোনালি মুরগি ৩০০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগি ৩২০ টাকা, গরুর মাংস ৭৫০ টাকা, খাসির মাংস ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এমন দামে মাছ ও মাংস কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন অনেকে। ফলে বিকল্প হিসেবে কম দামে পাওয়া সবজির দিকেই ঝুঁকছেন বেশির ভাগ ক্রেতা।