ঢাকা ১০:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৩০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাগেরহাটে মজুত করা ২০ হাজার টন চাল জব্দ

দেশের আওয়াজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ০৩:৫৭:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ ১০৫ বার পড়া হয়েছে

বাগেরহাটের ফকিরহাটে অতিরিক্ত মুনাফার জন্য মজুদ করা ২০ হাজার মেট্রিকটন চাল জব্দ করেছে র‌্যাব। বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলার লখপুর এলাকার এএমএম জুট মিলের গোডাউন থেকে এসব চাল জব্দ করা হয়।

অবৈধ মজুতের অপরাধে গুদামের দায়িত্বে থাকা অলোক চক্রবর্ত্তী নামে এক ব্যক্তিকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেই সঙ্গে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত গুদামটি সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।

বাগেরহাট জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার রুবাইয়া বিনতে কাশেম এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এসময় র‌্যাব-৬ খুলনার কোম্পানি কমান্ডার মো. বদরুদ্দৌজা, বাগেরহাট জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মো. সুজাত হোসেন খান, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল ইমরান উপস্থিত ছিলেন।

র‌্যাব-৬ খুলনার কোম্পানি কমান্ডার মো. বদরুদ্দৌজা বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে গুদামের মধ্যে বিপুল পরিমাণ চাল পাওয়া গেছে। চালগুলো অতিরিক্ত দামে বিক্রির আশায় মজুত করা হয়েছিল।

গুদামের দায়িত্বে থাকা অলোক চক্রবর্ত্তীর দাবি, জব্দ করা চালগুলো সরকারি গুদামে দেওয়ার জন্য আমদানি করা হয়েছিল। চালগুলো নষ্ট হওয়ায় আর গুদামে দেওয়া যায়নি।

বাগেরহাট জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মো. সুজাত হোসেন খান বলেন, খাদ্য অধিদপ্তরের চাহিদা অনুযায়ী এসব চাল আমদানি করা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে চালের মান খারাপ বলে চালগুলো আর সরকারি খাদ্য গুদামে দেয়নি চাল ব্যবসায়ী। আসলে মাত্র দুই-তিন বস্তা চাল খারাপ হতে পারে। বাকি চাল ভালো। গুদামে ২০ হাজার মেট্রিক টন চাল রয়েছে।

তিনি বলেন, জুট মিলে এতো চাল থাকার কথা নয়। সব চাল ভালো থাকা স্বত্তেও তারা চাল নষ্ট বলছে। অতিরিক্ত মুনাফার উদ্দ্যেশ্যে এই চাল মজুদ করা হয়েছিল। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত গুদামটি সিলগালা থাকবে।

চালের বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত হবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে মো. সুজাত হোসেন খান বলেন, চাল আমদানিকারক বৈধ কাগজপত্র ও খাদ্য বিভাগের নির্দেশনা নিয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করবেন। জেলা প্রশাসক তার কাগজপত্র, চালের পরিমাণ, স্থানীয় সাক্ষীদের বক্তব্য ও সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে যে সিদ্ধান্ত দেবেন তাই হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বাগেরহাটে মজুত করা ২০ হাজার টন চাল জব্দ

আপডেট সময় : ০৩:৫৭:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

বাগেরহাটের ফকিরহাটে অতিরিক্ত মুনাফার জন্য মজুদ করা ২০ হাজার মেট্রিকটন চাল জব্দ করেছে র‌্যাব। বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলার লখপুর এলাকার এএমএম জুট মিলের গোডাউন থেকে এসব চাল জব্দ করা হয়।

অবৈধ মজুতের অপরাধে গুদামের দায়িত্বে থাকা অলোক চক্রবর্ত্তী নামে এক ব্যক্তিকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেই সঙ্গে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত গুদামটি সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।

বাগেরহাট জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার রুবাইয়া বিনতে কাশেম এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এসময় র‌্যাব-৬ খুলনার কোম্পানি কমান্ডার মো. বদরুদ্দৌজা, বাগেরহাট জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মো. সুজাত হোসেন খান, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল ইমরান উপস্থিত ছিলেন।

র‌্যাব-৬ খুলনার কোম্পানি কমান্ডার মো. বদরুদ্দৌজা বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে গুদামের মধ্যে বিপুল পরিমাণ চাল পাওয়া গেছে। চালগুলো অতিরিক্ত দামে বিক্রির আশায় মজুত করা হয়েছিল।

গুদামের দায়িত্বে থাকা অলোক চক্রবর্ত্তীর দাবি, জব্দ করা চালগুলো সরকারি গুদামে দেওয়ার জন্য আমদানি করা হয়েছিল। চালগুলো নষ্ট হওয়ায় আর গুদামে দেওয়া যায়নি।

বাগেরহাট জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মো. সুজাত হোসেন খান বলেন, খাদ্য অধিদপ্তরের চাহিদা অনুযায়ী এসব চাল আমদানি করা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে চালের মান খারাপ বলে চালগুলো আর সরকারি খাদ্য গুদামে দেয়নি চাল ব্যবসায়ী। আসলে মাত্র দুই-তিন বস্তা চাল খারাপ হতে পারে। বাকি চাল ভালো। গুদামে ২০ হাজার মেট্রিক টন চাল রয়েছে।

তিনি বলেন, জুট মিলে এতো চাল থাকার কথা নয়। সব চাল ভালো থাকা স্বত্তেও তারা চাল নষ্ট বলছে। অতিরিক্ত মুনাফার উদ্দ্যেশ্যে এই চাল মজুদ করা হয়েছিল। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত গুদামটি সিলগালা থাকবে।

চালের বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত হবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে মো. সুজাত হোসেন খান বলেন, চাল আমদানিকারক বৈধ কাগজপত্র ও খাদ্য বিভাগের নির্দেশনা নিয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করবেন। জেলা প্রশাসক তার কাগজপত্র, চালের পরিমাণ, স্থানীয় সাক্ষীদের বক্তব্য ও সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে যে সিদ্ধান্ত দেবেন তাই হবে।