বাগমারায় চায়না দুয়ারি জালে অবাধে বিলুপ্ত হচ্ছে জলজ প্রানী
- আপডেট সময় : ০৪:৩৩:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই ২০২৪ ২০ বার পড়া হয়েছে
ভারী বৃষ্টিপাত আর পাহাড়ী ঢলে রাজশাহীর বাগমারায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে স্বাল্পকালীন বন্যার সৃষ্টি হওয়ায়রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার নদ-নদী ও খালে বিলে সর্বত্র চায়না দুয়ারী জাল দিয়ে বোয়াল, রুই, কাতলা, মৃগেল সহ নানান দেশী প্রজাতির পোনা মাছ শিকার করে বাজারে অবাধে বিক্রি চলছে। নিষিদ্ধ এই জাল দিয়ে পোনা থেকে শুরু করে বিভিন্ন আকারের মাছ ধরায় ইতিমধ্যেই উপজেলার নদী ও অন্যান্য প্রাকৃতিক জলাশয়গুলো অনেকটাই মৎস শূন্য হয়ে পড়েছে। বর্তমানে বাজারে পোনা বা ছোট আকারের দেশি মাছ মিললেও স্বাভাবিক আকারের দেশি মিলছে না বললেই চলে। বাজারে দেশি মাছ না পেয়ে ক্রেতারা বিদেশী পাঙ্গাস, মাগুর, কই সহ সিলভারকার্প জাতীয় মাছ কিনছেন। উপজেলা মৎস দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বাগমারা উপজেলায় তিনটি নদনদী সহ প্রাকৃতির ভাবে প্রচুর খালবিল রয়েছে। এসব জলাশয়ে এক সময় প্রচুর মাছ থাকলেও এখন বিভিন্ন কারেন্ট জাল ও চায়না দুয়ারী জালের কারণে মাছের বিচরণ অনেকটাই কমে গেছে। এসব জালে মাছ ছাড়াও কাঁকড়া, কুঁইচা, ব্যঙ, সাপ, শামুখ সহ নানান জলজ প্রানী মারা পড়ার কারণে প্রাকৃতির বিপর্যয়ের আশংঙ্কা করা হচ্ছে। ভবানীগঞ্জ মহিলা ডিগ্রি কলেজের ভ’গোল ও পরিবেশ বিদ্যা বিভাগের সহকারি অধ্যাপক এসএম কাদরী বলেন, বাগমারার খাল-বিল নদ-নদী এক সময় মাছে ভরপুর ছিল। অথচ চায়না দুয়ারী জালের জন্য নানান জাতের দেশি মাছ অনেকটা হারিয়েই যেতে বসেছে। প্রতিদিনই বাজারে পোনা মাছ এনে অবাধে বিক্রি করা হচ্ছে। উপজেলা মৎস কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, চায়না দুয়ারী জালের কারণে আজ দেশি মাছ অনেকটা হারিয়ে যেতে বসেছে। আমার অফিসে কম লোকবল সত্বেও এসব জালের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি। এরই মধ্যে বেশ কিছু জাল আটক করে ধ্বংস করা হয়েছে। তার মতে এই জাল ব্যবহারকারীরা খুবই চালাক চতুর। এজন্য এলাকাবসীর উচিত এদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে আমাদের তথ্য দেওয়া। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহাবুবুল ইসলাম বলেন, নিষিদ্ধ এই জালের বিরুদ্ধে আমরা সর্বদা তৎপর। অভিযান চলমান রয়েছে।