ঢাকা ০৯:০৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

বাগমারায় বারনই নদী থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক//
  • আপডেট সময় : ০১:০৩:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫ ১৫ বার পড়া হয়েছে

রাজশাহীর বাগমারায় নিখোঁজের এক দিন পর বারনই নদী থেকে নাজমুল হক (৩৫) নামের এক যুবকের ভাসমান লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সন্ধ্যায় উপজেলার হাসনিপুর এলাকার টাটা ইটভাটার নিচে নদী থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।রাজশাহীর রেস্টুরেন্ট গাইড

নাজমুল হক গণিপুর ইউনিয়নের হাসনিপুর গ্রামের আফজাল হোসেনের ছেলে। তিনি পেশায় রাজমিস্ত্রি ছিলেন।

নাজমুলের পরিবার জানায়, বুধবার বিকেলে তিনি হাসনিপুর বাজারে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকে তাঁর আর কোনো খোঁজ মেলেনি। পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর সন্ধান পাননি।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর স্থানীয় টাটা ইটভাটার শ্রমিকেরা নদীতে পা ধুতে গিয়ে একটি লাশ ভাসতে দেখেন। পরে তাঁদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে জড়ো হন। রাত আটটার দিকে নাজমুলের বাবা গিয়ে ছেলের লাশ শনাক্ত করেন।

নাজমুলের শরীরে একটি জার্সি, হাতে ঘড়ি ও প্যান্টের পকেটে হেডফোন ছিল। তবে তাঁর মোবাইল ফোনটি পাওয়া যায়নি। শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্নও ছিল না।

নাজমুলের বাবা আফজাল হোসেন বলেন, “বুধবার বিকেল থেকে ছেলের খোঁজ পাচ্ছিলাম না। সন্ধ্যায় নদীতে লাশ পাওয়া গেছে -এ খবরে দৌড়ে এসেছি। আমার ছেলে কীভাবে মারা গেল বুঝতে পারছি না।”

বাগমারা থানার ওসি তৌহিদুল ইসলাম বলেন, “নদী থেকে লাশ উদ্ধারের পর সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।”

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বাগমারায় বারনই নদী থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার

আপডেট সময় : ০১:০৩:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫

রাজশাহীর বাগমারায় নিখোঁজের এক দিন পর বারনই নদী থেকে নাজমুল হক (৩৫) নামের এক যুবকের ভাসমান লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সন্ধ্যায় উপজেলার হাসনিপুর এলাকার টাটা ইটভাটার নিচে নদী থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।রাজশাহীর রেস্টুরেন্ট গাইড

নাজমুল হক গণিপুর ইউনিয়নের হাসনিপুর গ্রামের আফজাল হোসেনের ছেলে। তিনি পেশায় রাজমিস্ত্রি ছিলেন।

নাজমুলের পরিবার জানায়, বুধবার বিকেলে তিনি হাসনিপুর বাজারে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকে তাঁর আর কোনো খোঁজ মেলেনি। পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর সন্ধান পাননি।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর স্থানীয় টাটা ইটভাটার শ্রমিকেরা নদীতে পা ধুতে গিয়ে একটি লাশ ভাসতে দেখেন। পরে তাঁদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে জড়ো হন। রাত আটটার দিকে নাজমুলের বাবা গিয়ে ছেলের লাশ শনাক্ত করেন।

নাজমুলের শরীরে একটি জার্সি, হাতে ঘড়ি ও প্যান্টের পকেটে হেডফোন ছিল। তবে তাঁর মোবাইল ফোনটি পাওয়া যায়নি। শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্নও ছিল না।

নাজমুলের বাবা আফজাল হোসেন বলেন, “বুধবার বিকেল থেকে ছেলের খোঁজ পাচ্ছিলাম না। সন্ধ্যায় নদীতে লাশ পাওয়া গেছে -এ খবরে দৌড়ে এসেছি। আমার ছেলে কীভাবে মারা গেল বুঝতে পারছি না।”

বাগমারা থানার ওসি তৌহিদুল ইসলাম বলেন, “নদী থেকে লাশ উদ্ধারের পর সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।”