ঢাকা ১১:৩০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাগমারায় পুকুরে মাছ লুটের অভিযোগ

নাজিম হাসান, নিজস্ব প্রতিবেদক //
  • আপডেট সময় : ১১:২০:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ মে ২০২৫ ৮ বার পড়া হয়েছে

রাজশাহীর বাগমারায় এক কলেজ শিক্ষকের মায়ের পুকুরের মাছ লুট করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপি’র নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে । তবে তারা তাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এমন ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কলেজ শিক্ষকসহ এলাকার সচেতন মানুষ। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার শুভডাঙ্গা ইউনিয়নের মচমইল গ্রামে। এমন ঘটনার সুষ্ঠ বিচার চেয়েছেন কলেজ শিক্ষকের মা মনোয়ারা বেগম। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মচমইল ডিগ্রী কলেজের শিক্ষক এস এম মাহাবুর রহমানের কাছ থেকে একই এলাকার বিএনপির নামধারী স্থানীয় নেতা আমজাদ হোসেন, তৈহিদুল ইসলাম, আলতাফ হোসেন ওরফে হায়াত আলী, রহিদুল ইসলাম, আহম্মদ আলী ও রাফিউল ইসলাম ভুলু তিন লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় উপরোক্ত ব্যক্তিরা আরো অন্যান্য নেতাকর্মীদের নিয়ে তার বাড়ির সন্নিকটে তাদের ভোগদখলী পুকুরে জাল নামিয়ে মাছ লুট করে। কলেজ শিক্ষক এস এম মাহাবুর রহমান জানান, আমি আওয়ালীগ করায় স্থানীয় হাইব্রিড বিএনপি’র নেতাকর্মীরা এলাকায় থাকতে হলে তাদেরকে তিন লক্ষ টাকা চাঁদা দিয়ে থাকতে হবে বলে জানিয়ে দেন। তিনি চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করলে মঙ্গলবার (৬ মে) ভোর রাতে তারা সংঘবদ্ধ হয়ে পুকুরে জাল নামিয়ে প্রায় দশ লক্ষ টাকার মাছ লুট করে নিয়ে যায়। ওই সময় বাঁধা দিতে গেলে মাছ লুটকারীরা পুকুরের পাহারাদার ফজের আলীকে পিটিয়ে আহত করে। ফজের আলীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে বলে কলেজ শিক্ষক এস এম মাহাবুর রহমান জানিয়েছেন। কলেজ শিক্ষক এস এম মাহাবুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, তার মা মনোয়ারা বেগমের নিজ নামীয় রেকডিও সম্পত্তি পুকুরটির সাথে বাংলাদেশ সরকারের কিছু সম্পত্তি রয়েছে। সরকারী নীতিমালানুসারে মনোয়ারা বেগম সরকারী অংশ টুকু কোশিয়ারা হিসেবে লীজ নিয়ে মাছ চাষ শুরু করেছে। আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর পরই এলাকার বিএনপি’র নামধারী স্থানীয় নেতাকর্মীরা কলেজ শিক্ষককে চাঁদার জন্য চাপ দিতে শুরু করে। চাঁদা না দেয়ায় তার সংঘবদ্ধ হয়ে কলেজ শিক্ষকের পুকুরের মাছ লুট করে এবং পুকুরে লাল পতাকা টাঙ্গিয়ে কলেজ শিক্ষককে পুকুরে নামতে নিষেধ করেন। পুলিশের তেমন তৎপরতা না থাকায় তিনি আদালতে মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন। এ বিষয়ে মাছ লুটের সঙ্গে জড়িত স্থানীয় বিএনপি’র নেতা তৈহিদুল ইসলাম মাছ ধরার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, কলেজ শিক্ষক নিজেই তার পুকুরে মাছ মেরে আমাদেরকে ফাঁসানো চেষ্টা করছেন। তিনি তার লোকজন নিয়ে আমাদের উপর হামলা করেছে বলে তিনি পাল্টা অভিযোগ করেছেন। লাল পতাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি একই ভাবে কলেজ শিক্ষক এস এম মাহাবুর রহমানের ঘাড়ে বিষয়টি চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছেন। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম বলেন, এই ধরনের ঘটনা তার জানা নেই। অভিযোগ করলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বাগমারায় পুকুরে মাছ লুটের অভিযোগ

আপডেট সময় : ১১:২০:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ মে ২০২৫

রাজশাহীর বাগমারায় এক কলেজ শিক্ষকের মায়ের পুকুরের মাছ লুট করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপি’র নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে । তবে তারা তাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এমন ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কলেজ শিক্ষকসহ এলাকার সচেতন মানুষ। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার শুভডাঙ্গা ইউনিয়নের মচমইল গ্রামে। এমন ঘটনার সুষ্ঠ বিচার চেয়েছেন কলেজ শিক্ষকের মা মনোয়ারা বেগম। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মচমইল ডিগ্রী কলেজের শিক্ষক এস এম মাহাবুর রহমানের কাছ থেকে একই এলাকার বিএনপির নামধারী স্থানীয় নেতা আমজাদ হোসেন, তৈহিদুল ইসলাম, আলতাফ হোসেন ওরফে হায়াত আলী, রহিদুল ইসলাম, আহম্মদ আলী ও রাফিউল ইসলাম ভুলু তিন লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় উপরোক্ত ব্যক্তিরা আরো অন্যান্য নেতাকর্মীদের নিয়ে তার বাড়ির সন্নিকটে তাদের ভোগদখলী পুকুরে জাল নামিয়ে মাছ লুট করে। কলেজ শিক্ষক এস এম মাহাবুর রহমান জানান, আমি আওয়ালীগ করায় স্থানীয় হাইব্রিড বিএনপি’র নেতাকর্মীরা এলাকায় থাকতে হলে তাদেরকে তিন লক্ষ টাকা চাঁদা দিয়ে থাকতে হবে বলে জানিয়ে দেন। তিনি চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করলে মঙ্গলবার (৬ মে) ভোর রাতে তারা সংঘবদ্ধ হয়ে পুকুরে জাল নামিয়ে প্রায় দশ লক্ষ টাকার মাছ লুট করে নিয়ে যায়। ওই সময় বাঁধা দিতে গেলে মাছ লুটকারীরা পুকুরের পাহারাদার ফজের আলীকে পিটিয়ে আহত করে। ফজের আলীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে বলে কলেজ শিক্ষক এস এম মাহাবুর রহমান জানিয়েছেন। কলেজ শিক্ষক এস এম মাহাবুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, তার মা মনোয়ারা বেগমের নিজ নামীয় রেকডিও সম্পত্তি পুকুরটির সাথে বাংলাদেশ সরকারের কিছু সম্পত্তি রয়েছে। সরকারী নীতিমালানুসারে মনোয়ারা বেগম সরকারী অংশ টুকু কোশিয়ারা হিসেবে লীজ নিয়ে মাছ চাষ শুরু করেছে। আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর পরই এলাকার বিএনপি’র নামধারী স্থানীয় নেতাকর্মীরা কলেজ শিক্ষককে চাঁদার জন্য চাপ দিতে শুরু করে। চাঁদা না দেয়ায় তার সংঘবদ্ধ হয়ে কলেজ শিক্ষকের পুকুরের মাছ লুট করে এবং পুকুরে লাল পতাকা টাঙ্গিয়ে কলেজ শিক্ষককে পুকুরে নামতে নিষেধ করেন। পুলিশের তেমন তৎপরতা না থাকায় তিনি আদালতে মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন। এ বিষয়ে মাছ লুটের সঙ্গে জড়িত স্থানীয় বিএনপি’র নেতা তৈহিদুল ইসলাম মাছ ধরার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, কলেজ শিক্ষক নিজেই তার পুকুরে মাছ মেরে আমাদেরকে ফাঁসানো চেষ্টা করছেন। তিনি তার লোকজন নিয়ে আমাদের উপর হামলা করেছে বলে তিনি পাল্টা অভিযোগ করেছেন। লাল পতাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি একই ভাবে কলেজ শিক্ষক এস এম মাহাবুর রহমানের ঘাড়ে বিষয়টি চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছেন। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম বলেন, এই ধরনের ঘটনা তার জানা নেই। অভিযোগ করলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে ।