ঢাকা ১১:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাজারে অভিযান চান ভোক্তারা

বাগমারায়বাড়তি দামে নিত্যপন্য বিক্রি

নাজিম হাসান, নিজস্ব প্রতিবেদক //
  • আপডেট সময় : ০১:৩২:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪ ১৯ বার পড়া হয়েছে

বাগমারার বিভিন্ন হাট বাজার গুলোতে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য। এসব পন্য বিক্রিতে সরকারের নির্ধারিত মূল কেউ মানছেন না। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে স্বল্প আয় ও সীমিত আয়ের লোকজন। তারা পাইকারি ও খুরচা বাজারে অতি প্রয়োজনীয় এসব পন্যের মূল্য নিয়ন্ত্রনে এখনই বাজার মনিটরিং ও ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনার কথা বলেছেন। নিত্য প্রয়োজনীয় বলতে আলু পেঁয়াজ ডিমের দাম সরকার বেঁধে দিলেও তা মানছেন না কোন ব্যবসায়ী। পাইকারি আলু ব্যবসায়ীরা জানান, ষ্টোর গেট থেকে প্রতি কেজি আলু ৪৮-৫০ টাকা দরে কিনতে হচ্ছে। এর সাথে পরিবহন খরচ ও পচন বাদ দিয়ে খুরচা ব্যবসায়ীদের কাছে ৬০-৬৫ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি করতে হচ্ছে। উপজেলার সালেহা ইমারত কোল্ড ষ্টোরের ম্যানেজার সাজ্জাদুর রহমান জুয়েল জানান, গত বছর আবহাওয়া ও রোগবালাই জনিত কারণে আলুর আশানুরুপ ফলন হয়নি। বাগমারায় তাদের স্টোর সহ অন্যান্য স্টোরে যে পরিমান আলু সংরক্ষিত আছে তা নতুন আলু উত্তোলন পর্যন্ত থাকবে না। ফলে আলুর দাম আবারও কিছু বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বাগমারার ভবানীগঞ্জ, তাহেরপুর, মোহনগঞ্জ সহ বেশ কিছু হাট-বাজার ঘুরে দেখা যায় সবখানেই সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে পেঁয়াজ ৪০ টাকা , আলু ১০ থেকে ১৫ টাকা ও বেশি দামে ডিম বিক্রি হচ্ছে। ভবানীগঞ্জ বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী সাইদুর রহমান জানান, বেশি দামে কেনার কারণে আমাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুবুল ইসলাম জানান, অতিরিক্ত দামে পেঁয়াজ আলু বিক্রি করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। মাঠ পর্যায়ে আমাদের তদারকি চলমান রয়েছে। এখানে কেউ অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি করলে আইন বসে থাকবে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বাজারে অভিযান চান ভোক্তারা

বাগমারায়বাড়তি দামে নিত্যপন্য বিক্রি

আপডেট সময় : ০১:৩২:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪

বাগমারার বিভিন্ন হাট বাজার গুলোতে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য। এসব পন্য বিক্রিতে সরকারের নির্ধারিত মূল কেউ মানছেন না। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে স্বল্প আয় ও সীমিত আয়ের লোকজন। তারা পাইকারি ও খুরচা বাজারে অতি প্রয়োজনীয় এসব পন্যের মূল্য নিয়ন্ত্রনে এখনই বাজার মনিটরিং ও ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনার কথা বলেছেন। নিত্য প্রয়োজনীয় বলতে আলু পেঁয়াজ ডিমের দাম সরকার বেঁধে দিলেও তা মানছেন না কোন ব্যবসায়ী। পাইকারি আলু ব্যবসায়ীরা জানান, ষ্টোর গেট থেকে প্রতি কেজি আলু ৪৮-৫০ টাকা দরে কিনতে হচ্ছে। এর সাথে পরিবহন খরচ ও পচন বাদ দিয়ে খুরচা ব্যবসায়ীদের কাছে ৬০-৬৫ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি করতে হচ্ছে। উপজেলার সালেহা ইমারত কোল্ড ষ্টোরের ম্যানেজার সাজ্জাদুর রহমান জুয়েল জানান, গত বছর আবহাওয়া ও রোগবালাই জনিত কারণে আলুর আশানুরুপ ফলন হয়নি। বাগমারায় তাদের স্টোর সহ অন্যান্য স্টোরে যে পরিমান আলু সংরক্ষিত আছে তা নতুন আলু উত্তোলন পর্যন্ত থাকবে না। ফলে আলুর দাম আবারও কিছু বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বাগমারার ভবানীগঞ্জ, তাহেরপুর, মোহনগঞ্জ সহ বেশ কিছু হাট-বাজার ঘুরে দেখা যায় সবখানেই সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে পেঁয়াজ ৪০ টাকা , আলু ১০ থেকে ১৫ টাকা ও বেশি দামে ডিম বিক্রি হচ্ছে। ভবানীগঞ্জ বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী সাইদুর রহমান জানান, বেশি দামে কেনার কারণে আমাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুবুল ইসলাম জানান, অতিরিক্ত দামে পেঁয়াজ আলু বিক্রি করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। মাঠ পর্যায়ে আমাদের তদারকি চলমান রয়েছে। এখানে কেউ অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি করলে আইন বসে থাকবে না।