ঢাকা ০৪:৪৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশ থেকে আরও জনবল নিয়োগে আগ্রহী ইতালি

দেশের আওয়াজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ০৪:৫২:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জুলাই ২০২৩ ৮৩ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশ থেকে বিশেষ করে কৃষি ও সেবা খাতে আরও জনশক্তি নিয়োগের আগ্রহ দেখিয়েছে ইতালি। জাতিসংঘ খাদ্য ব্যবস্থা শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ইতালির তিন মন্ত্রীর সাক্ষাৎকালে এ আগ্রহ প্রকাশ করা হয়।

খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) সদর দপ্তরের বৈঠকে থাকা ইতালির মন্ত্রীদের উদ্ধৃতি দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ইতালি তার সেবা ও কৃষি খাতে বাংলাদেশ থেকে আরও কর্মী নিতে চায়।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সোমবার ইতালির কৃষিমন্ত্রী ফ্রান্সেসকো ললোব্রিগিদা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাত্তেও পিয়ান্তেডোসি ও বিচারমন্ত্রী কার্লো নর্দিওর বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন ড. মোমেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ইতালির মন্ত্রীদের বৈঠকে বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে যথাযথ চ্যানেল বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এছাড়া অবৈধ শ্রমিকদের বিষয়টিও বৈঠকে উঠে এসেছে।

ড. মোমেন বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে বলেছেন, তার দেশ সব সময়ই অবৈধ শ্রমিকদের নিরুৎসাহিত করে।’

‘বৈধ ও অবৈধ উভয় ধরনের শ্রমিকই ইতালি ও বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছে’ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা ইতালি সরকারকে সুশিক্ষিত ও দক্ষ অবৈধ বাংলাদেশি শ্রমিকদের বৈধ করার কথা বলেন।

আব্দুল মোমেন বলেন, ‘ইতালি খুবই খুশি, বাংলাদেশ সরকার বৈধ উপায়ে শ্রমিক অভিবাসনে সহায়তা করবে।’

এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী অন্য সরকার ও রাষ্টপ্রধানদের সঙ্গে এফএও সদর দপ্তরে খাদ্য ও কৃষি সংস্থার মহাপরিচালক কু ডংইউ আয়োজিত সংবর্ধনায় যোগ দেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের উপস্থিতিতে বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য স্কুল ফিডিং কার্যক্রম সম্প্রসারণ ও উন্নত করার জন্য ডব্লিউএফপির সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।

বাংলাদেশ সরকার ২০১০ সালে একটি স্কুল ফিডিং পদ্ধতি চালু করে এবং এখন এই কর্মসূচির আওতায় ১০৪টি উপজেলার ১৫ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ২৩ লাখ শিক্ষার্থী খাবার পাচ্ছে।

নতুন চুক্তির আওতায় স্কুল ফিডিং কার্যক্রম ১৫০টিরও বেশি উপজেলায় সম্প্রসারিত করা হবে, যার ফলে সুবিধাভোগীর সংখ্যা ৩৭ লাখ শিক্ষার্থীতে উন্নীত হবে। এছাড়া বিস্কুটের পরিবর্তে ফল, দুধ, রুটি, ডিম ও অন্যান্য পুষ্টিকর খাবার দেয়া হবে।

ফিডিং কার্যক্রমের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে ড. মোমেন বলেন, এর ফলে ঝরে পড়ার হার ৭ দশমিক ৫ শতাংশ কমেছে এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির হার ১৪ শতাংশ বেড়েছে।

ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম এবং ইতালিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. শামীম আহসান উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বাংলাদেশ থেকে আরও জনবল নিয়োগে আগ্রহী ইতালি

আপডেট সময় : ০৪:৫২:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জুলাই ২০২৩

বাংলাদেশ থেকে বিশেষ করে কৃষি ও সেবা খাতে আরও জনশক্তি নিয়োগের আগ্রহ দেখিয়েছে ইতালি। জাতিসংঘ খাদ্য ব্যবস্থা শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ইতালির তিন মন্ত্রীর সাক্ষাৎকালে এ আগ্রহ প্রকাশ করা হয়।

খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) সদর দপ্তরের বৈঠকে থাকা ইতালির মন্ত্রীদের উদ্ধৃতি দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ইতালি তার সেবা ও কৃষি খাতে বাংলাদেশ থেকে আরও কর্মী নিতে চায়।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সোমবার ইতালির কৃষিমন্ত্রী ফ্রান্সেসকো ললোব্রিগিদা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাত্তেও পিয়ান্তেডোসি ও বিচারমন্ত্রী কার্লো নর্দিওর বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন ড. মোমেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ইতালির মন্ত্রীদের বৈঠকে বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে যথাযথ চ্যানেল বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এছাড়া অবৈধ শ্রমিকদের বিষয়টিও বৈঠকে উঠে এসেছে।

ড. মোমেন বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে বলেছেন, তার দেশ সব সময়ই অবৈধ শ্রমিকদের নিরুৎসাহিত করে।’

‘বৈধ ও অবৈধ উভয় ধরনের শ্রমিকই ইতালি ও বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছে’ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা ইতালি সরকারকে সুশিক্ষিত ও দক্ষ অবৈধ বাংলাদেশি শ্রমিকদের বৈধ করার কথা বলেন।

আব্দুল মোমেন বলেন, ‘ইতালি খুবই খুশি, বাংলাদেশ সরকার বৈধ উপায়ে শ্রমিক অভিবাসনে সহায়তা করবে।’

এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী অন্য সরকার ও রাষ্টপ্রধানদের সঙ্গে এফএও সদর দপ্তরে খাদ্য ও কৃষি সংস্থার মহাপরিচালক কু ডংইউ আয়োজিত সংবর্ধনায় যোগ দেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের উপস্থিতিতে বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য স্কুল ফিডিং কার্যক্রম সম্প্রসারণ ও উন্নত করার জন্য ডব্লিউএফপির সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।

বাংলাদেশ সরকার ২০১০ সালে একটি স্কুল ফিডিং পদ্ধতি চালু করে এবং এখন এই কর্মসূচির আওতায় ১০৪টি উপজেলার ১৫ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ২৩ লাখ শিক্ষার্থী খাবার পাচ্ছে।

নতুন চুক্তির আওতায় স্কুল ফিডিং কার্যক্রম ১৫০টিরও বেশি উপজেলায় সম্প্রসারিত করা হবে, যার ফলে সুবিধাভোগীর সংখ্যা ৩৭ লাখ শিক্ষার্থীতে উন্নীত হবে। এছাড়া বিস্কুটের পরিবর্তে ফল, দুধ, রুটি, ডিম ও অন্যান্য পুষ্টিকর খাবার দেয়া হবে।

ফিডিং কার্যক্রমের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে ড. মোমেন বলেন, এর ফলে ঝরে পড়ার হার ৭ দশমিক ৫ শতাংশ কমেছে এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির হার ১৪ শতাংশ বেড়েছে।

ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম এবং ইতালিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. শামীম আহসান উপস্থিত ছিলেন।