বাংলাদেশে পুশইনের জন্য বিশেষ বিমানে ২০০ জনকে সীমান্তে আনল ভারত

- আপডেট সময় : ১১:১২:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫ ১৯ বার পড়া হয়েছে
ভারতে অবৈধ অভিবাসী হিসেবে আটকের পর বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে তাদের বাংলাদেশে ‘পুশইন’ করছে দেশটির সীমান্তরক্ষী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, যা দিনদিন বেড়েই চলছে। এবার দেশটির পশ্চিমী রাজ্য গুজরাটের ভাদোদরা থেকে প্রায় ২০০ জনকে ভারতের বিমানবাহিনীর একটি বিশেষ বিমানে করে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী অঞ্চলে নিয়ে আসা হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ার এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়, গুজরাট পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন গত বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) আটক ব্যক্তিদের বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলোতে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে, যেখান থেকে ‘বাকি আনুষ্ঠানিকতা’ শেষে তাদের বাংলাদেশে পুশইন করা হবে।
গুজরাট পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, ভাদোদরা বিমানঘাঁটি থেকে কড়া নিরাপত্তায় ভারতীয় বিমানবাহিনীর এয়ারবাস এ৩২১ বিমানে করে ‘নিশ্চিত বাংলাদেশি’সহ বেশ কয়েকজন অবৈধ সন্দেহভাজনকে উত্তর-পূর্ব সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলোতে পাঠানো হয়েছে। যার মধ্যে কয়েকজনের বৈধ কাগজপত্র নেই। সেখান থেকে সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) স্থল সীমান্ত দিয়ে তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অনুসারে দুই মাস আগে গুজরাটে অবৈধ অভিবাসীদের ধরপাকড় শুরু হয়। এরপর অবৈধ সন্দেহভাজনকে আটক করে একটি অস্থায়ী কেন্দ্রে রাখা হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, এই অবৈধ সন্দেহভাজনদের পশ্চিমবঙ্গ ও ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বাংলাদেশে পুশ-ব্যাক করে দেওয়ার বেশ কয়েকটি ঘটনা সামনে এসেছে। ভারতের দিক থেকে যেটা পুশ-ব্যাক, বাংলাদেশের চোখে সেটাই পুশ-ইন। সীমান্তে পুশ-ব্যাক বা পুশ-ইন আসলে এমন একটা পদ্ধতি যেখানে ধরা পড়া ব্যক্তিদের সীমান্তে নিয়ে গিয়ে অন্য দেশের সীমান্তে ঠেলে দেওয়া হয়ে থাকে। এই প্রক্রিয়ার কোনো আইনি স্বীকৃতি নেই ভারতে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরেই এই পদ্ধতি চলে আসছে, যেটা আনুষ্ঠানিকভাবে কেউই স্বীকার করে না।
এ বিষয়ে দিল্লিকে বেশ কয়েকবার চিঠি দিয়েছে ঢাকা। তবে কোনো লাভ হয়নি পুশ-ইন অব্যহত রেখে ভারত।
দেশটির গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ‘অপারেশন সিঁদুর’ নাম দিয়ে পাকিস্তানে হামলা চালানোর পর ভারত এ পর্যন্ত দুই হাজারের বেশি মানুষকে বাংলাদেশে ‘পুশ ইন’ করেছে।