ঢাকা ০৯:০৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

বরিশাল সিটি নির্বাচন, ৩৭ প্রার্থী ফৌজদারি মামলার আসামি

দেশের আওয়াজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ০৯:১২:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ জুন ২০২৩ ১৪৩ বার পড়া হয়েছে

বরিশাল সিটি নির্বাচনে ১৬০ কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ৩৭ জনই ধর্ষণসহ ৫৬টি ফৌজদারি মামলার আসামি। এছাড়া ৫৫ জনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় ১০৫টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। ১২ জনের প্রাতিষ্ঠানিক কোনো শিক্ষা নেই, অষ্টম শ্রেণীর গণ্ডি পার হয়েছেন ২৮ জন আর উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়েছেন ৩৭ জন। বিশিষ্টজনরা মনে করছেন, যোগ্যতা দেখেই ভোট দেবেন ভোটাররা।

হলফনামা অনুযায়ী এবারের বরিশাল সিটি নির্বাচনে সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থী মিলিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেছেন ৩৭ জন। ৩০ জন মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়েছেন। অষ্টম শ্রেণীর গণ্ডি পার হতে পেরেছেন ২৮ জন। ২ জন পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পড়েছেন। ১২ জনের প্রাতিষ্ঠানিক কোনো শিক্ষাই নেই। এছাড়া স্নাতক ৩০ জন, স্নাতকোত্তর ১৮ জন এবং এলএলবি পাস করেছেন ১২ জন।

শুধু তাই-ই নয়, ১৬০ কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ৩৭ জন ধর্ষণ মামলাসহ বিভিন্ন ফৌজদারি মামলার আসামি। মামলার আসামি নন এবং শিক্ষার দিক দিয়ে এগিয়ে থাকা ব্যক্তিদেরকেই জনপ্রতিনিধি হিসেবে বেছে নিতে চান নগরবাসী।

নগরবাসীরা জানান, শিক্ষিত এবং সৎ এরকম একজন প্রার্থীকে ভোট দিব। যাকে দিয়ে নগরের উন্নয়নের কাজ হবে এবং নীতিবান, যার দুর্নীতির কোনো ব্যাকগ্রাউন্ড নেই এমন প্রার্থীকে মূল্যবান ভোট দিতে চাই।

বিশিষ্টজনরা বলছেন, নির্বাচনী বিধিমালায় ত্রুটি থাকার ফলে অযোগ্য প্রার্থীরা সুযোগ নিচ্ছেন। যারা অপরাধের সঙ্গে জড়িত এবং শিক্ষার দিক দিয়ে পিছিয়ে তাদের নির্বাচিত হওয়াটা দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্টজনেরা।

আয়কর আইনজীবী ও সমাজকর্মী সৈয়দ এনায়েত করিম বলেন, “সাধারণ ভোটার যারা রয়েছি তাদের সবারই বিবেচনায় আনা উচিত যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিকে যেন আমরা নির্বাচিত করতে পারি।”

শিক্ষক ও সমাজকর্মী মো: নজরুল ইসলাম বলেন, “ভালো, যোগ্য এবং সৎ যার অতীতে কোনো মামলা নেই, দুর্নীতি নেই এমন ভালো একজন যোগ্য প্রার্থীকে আমরা চাই।”

সাজাপ্রাপ্ত না হলে কোনো প্রার্থীর নির্বাচনে অংশগ্রহণে বাধা নেই বলে জানান বরিশাল মহানগর পুলিশের প্রধান।

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার সাইফুল ইসলাম বলেন, “যে কোনো মানুষের নামেই মামলা হতে পারে, যতক্ষণ পর্যন্ত এই মামলার রায় না হয় অথবা তদন্ত শেষ না হয় ততোক্ষণ পর্যন্ত তাদের নির্বাচন করার আইনগত কোনো সমস্যা নেই। আইনগতভাবে তারা নির্বাচন করতে পারবেন।”

১২ জুন বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ। ৩০ ওয়ার্ডে ১ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হওয়ায় সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১১৮ জন এবং ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ৪২ জন প্রার্থী।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বরিশাল সিটি নির্বাচন, ৩৭ প্রার্থী ফৌজদারি মামলার আসামি

আপডেট সময় : ০৯:১২:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ জুন ২০২৩

বরিশাল সিটি নির্বাচনে ১৬০ কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ৩৭ জনই ধর্ষণসহ ৫৬টি ফৌজদারি মামলার আসামি। এছাড়া ৫৫ জনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় ১০৫টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। ১২ জনের প্রাতিষ্ঠানিক কোনো শিক্ষা নেই, অষ্টম শ্রেণীর গণ্ডি পার হয়েছেন ২৮ জন আর উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়েছেন ৩৭ জন। বিশিষ্টজনরা মনে করছেন, যোগ্যতা দেখেই ভোট দেবেন ভোটাররা।

হলফনামা অনুযায়ী এবারের বরিশাল সিটি নির্বাচনে সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থী মিলিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেছেন ৩৭ জন। ৩০ জন মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়েছেন। অষ্টম শ্রেণীর গণ্ডি পার হতে পেরেছেন ২৮ জন। ২ জন পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পড়েছেন। ১২ জনের প্রাতিষ্ঠানিক কোনো শিক্ষাই নেই। এছাড়া স্নাতক ৩০ জন, স্নাতকোত্তর ১৮ জন এবং এলএলবি পাস করেছেন ১২ জন।

শুধু তাই-ই নয়, ১৬০ কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ৩৭ জন ধর্ষণ মামলাসহ বিভিন্ন ফৌজদারি মামলার আসামি। মামলার আসামি নন এবং শিক্ষার দিক দিয়ে এগিয়ে থাকা ব্যক্তিদেরকেই জনপ্রতিনিধি হিসেবে বেছে নিতে চান নগরবাসী।

নগরবাসীরা জানান, শিক্ষিত এবং সৎ এরকম একজন প্রার্থীকে ভোট দিব। যাকে দিয়ে নগরের উন্নয়নের কাজ হবে এবং নীতিবান, যার দুর্নীতির কোনো ব্যাকগ্রাউন্ড নেই এমন প্রার্থীকে মূল্যবান ভোট দিতে চাই।

বিশিষ্টজনরা বলছেন, নির্বাচনী বিধিমালায় ত্রুটি থাকার ফলে অযোগ্য প্রার্থীরা সুযোগ নিচ্ছেন। যারা অপরাধের সঙ্গে জড়িত এবং শিক্ষার দিক দিয়ে পিছিয়ে তাদের নির্বাচিত হওয়াটা দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্টজনেরা।

আয়কর আইনজীবী ও সমাজকর্মী সৈয়দ এনায়েত করিম বলেন, “সাধারণ ভোটার যারা রয়েছি তাদের সবারই বিবেচনায় আনা উচিত যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিকে যেন আমরা নির্বাচিত করতে পারি।”

শিক্ষক ও সমাজকর্মী মো: নজরুল ইসলাম বলেন, “ভালো, যোগ্য এবং সৎ যার অতীতে কোনো মামলা নেই, দুর্নীতি নেই এমন ভালো একজন যোগ্য প্রার্থীকে আমরা চাই।”

সাজাপ্রাপ্ত না হলে কোনো প্রার্থীর নির্বাচনে অংশগ্রহণে বাধা নেই বলে জানান বরিশাল মহানগর পুলিশের প্রধান।

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার সাইফুল ইসলাম বলেন, “যে কোনো মানুষের নামেই মামলা হতে পারে, যতক্ষণ পর্যন্ত এই মামলার রায় না হয় অথবা তদন্ত শেষ না হয় ততোক্ষণ পর্যন্ত তাদের নির্বাচন করার আইনগত কোনো সমস্যা নেই। আইনগতভাবে তারা নির্বাচন করতে পারবেন।”

১২ জুন বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ। ৩০ ওয়ার্ডে ১ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হওয়ায় সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১১৮ জন এবং ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ৪২ জন প্রার্থী।