ঢাকা ০৯:২৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বঙ্গবন্ধু পরিবারের পেছনে রাষ্ট্রের খরচ কত, হিসাব চাইলেন আদালত

দেশের আওয়াজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ০১:৫৪:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৪ বার পড়া হয়েছে

‘জাতির পিতার পরিবার-সদস্যদের নিরাপত্তা আইন-২০০৯’ অনুযায়ী সুবিধাভোগী সদস্যদের জন্য রাষ্ট্রের কি পরিমাণ অর্থ ব্যয় হয়েছে জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

রোববার (১ সেপ্টেম্বর) এক আদেশে এ নির্দেশনা দেন আদালত। একইসঙ্গে তারা কি কি সুবিধা ভোগ করেছেন এবং কি কি সম্পত্তি বিশেষ সুবিধায় পেয়েছেন তাও জানতে চেয়েছেন আদালত।

আগামী এক মাসের মধ্যে আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব ও অর্থ সচিবসহ সংশ্লিষ্টদেরকে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এছাড়াও তাদের জন্য বরাদ্দ সুবিধা এবং সম্পত্তি কেন পুনরুদ্ধার করা হবে, সেটিও জানতে চাওয়া হয়েছে।

জনস্বার্থে এক রিট আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে রোববার বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান এবং বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চে এই রুল জারি করেন।

জাতির পিতার পরিবার-সদস্যদের নিরাপত্তা আইন–২০০৯ এবং বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী আইন–২০২১–এর কয়েকটি ধারা চ্যালেঞ্জ করে গত ২৫ আগস্ট হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এবং হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটির (এইসআরএসএস) সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট মোহাম্মাদ মনিরুজ্জামান।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী চৌধুরী ইশরাক আহমেদ সিদ্দিকী। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রেদওয়ান আহমেদ রানজিব।

আইনজীবী চৌধুরী ইশরাক আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, জাতির পিতার পরিবার-সদস্যদের নিরাপত্তা আইন-২০০৯ এবং বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী আইন–২০২১ এর ২(খ), ২(গ), ৮(১), ৮(৩), ৮(৪) ও ৯(২) ধারার মাধ্যমে জন্মসূত্রে জাতির পিতার পরিবারের সদস্যদের বিশেষ শ্রেণির মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। আইনে জাতির পিতার পরিবার-সদস্য অর্থ জাতির পিতার জীবিত দুই মেয়ে এবং তাদের সন্তানাদি বলে উল্লেখ করা হয়েছে; যা সংবিধানের ২৭ ও ৩১ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী।

রিট আবেদনকারী পক্ষ জানান, জাতির পিতার পরিবার-সদস্যদের নিরাপত্তা আইন-২০০৯ এবং বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী আইন–২০২১ এর ধারা ২(খ), ২(গ), ৮(১), ৮(৩), ৮(৪) এবং ৯(২); যেখানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যগণ লেখা আছে, সেগুলো অসাংবিধানিক ও অবৈধ ঘোষণার প্রার্থনা জানানো হয়েছে রিটে। আইনের মাধ্যমে ইতোমধ্যে তারা যেসব সুবিধা ভোগ করেছেন এবং যেসব সম্পত্তি বিশেষ সুবিধায় পেয়েছেন, তা পুনরুদ্ধার করার আবেদনও রয়েছে।

এছাড়া, অতি দ্রুত আইনসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, অর্থসচিব, বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনীর ডিজিকে ‘জাতির পিতার পরিবার-সদস্যদের বিশেষ নিরাপত্তা বিধান’ বন্ধ করার প্রার্থনাও করা হয়।

রিট আবেদনকারী জানান, আইনসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, অর্থসচিব, বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনীর ডিজিকে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে জাতির পিতার পরিবার-সদস্যরা যেসব সুবিধা ভোগ করেছেন, সে জন্য রাষ্ট্রের খরচ নিরূপণ এবং যেসব সম্পত্তি বিশেষ সুবিধায় তারা পেয়েছেন, এর একটা প্রতিবেদন তৈরি করে আদালতে দাখিল করার প্রার্থনাও জানানো হয়েছে।

রিটে আইনসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, অর্থসচিব, বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনীর ডিজি এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক, মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক ও আজমিনা সিদ্দিককে বিবাদী করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বঙ্গবন্ধু পরিবারের পেছনে রাষ্ট্রের খরচ কত, হিসাব চাইলেন আদালত

আপডেট সময় : ০১:৫৪:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

‘জাতির পিতার পরিবার-সদস্যদের নিরাপত্তা আইন-২০০৯’ অনুযায়ী সুবিধাভোগী সদস্যদের জন্য রাষ্ট্রের কি পরিমাণ অর্থ ব্যয় হয়েছে জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

রোববার (১ সেপ্টেম্বর) এক আদেশে এ নির্দেশনা দেন আদালত। একইসঙ্গে তারা কি কি সুবিধা ভোগ করেছেন এবং কি কি সম্পত্তি বিশেষ সুবিধায় পেয়েছেন তাও জানতে চেয়েছেন আদালত।

আগামী এক মাসের মধ্যে আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব ও অর্থ সচিবসহ সংশ্লিষ্টদেরকে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এছাড়াও তাদের জন্য বরাদ্দ সুবিধা এবং সম্পত্তি কেন পুনরুদ্ধার করা হবে, সেটিও জানতে চাওয়া হয়েছে।

জনস্বার্থে এক রিট আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে রোববার বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান এবং বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চে এই রুল জারি করেন।

জাতির পিতার পরিবার-সদস্যদের নিরাপত্তা আইন–২০০৯ এবং বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী আইন–২০২১–এর কয়েকটি ধারা চ্যালেঞ্জ করে গত ২৫ আগস্ট হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এবং হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটির (এইসআরএসএস) সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট মোহাম্মাদ মনিরুজ্জামান।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী চৌধুরী ইশরাক আহমেদ সিদ্দিকী। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রেদওয়ান আহমেদ রানজিব।

আইনজীবী চৌধুরী ইশরাক আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, জাতির পিতার পরিবার-সদস্যদের নিরাপত্তা আইন-২০০৯ এবং বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী আইন–২০২১ এর ২(খ), ২(গ), ৮(১), ৮(৩), ৮(৪) ও ৯(২) ধারার মাধ্যমে জন্মসূত্রে জাতির পিতার পরিবারের সদস্যদের বিশেষ শ্রেণির মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। আইনে জাতির পিতার পরিবার-সদস্য অর্থ জাতির পিতার জীবিত দুই মেয়ে এবং তাদের সন্তানাদি বলে উল্লেখ করা হয়েছে; যা সংবিধানের ২৭ ও ৩১ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী।

রিট আবেদনকারী পক্ষ জানান, জাতির পিতার পরিবার-সদস্যদের নিরাপত্তা আইন-২০০৯ এবং বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী আইন–২০২১ এর ধারা ২(খ), ২(গ), ৮(১), ৮(৩), ৮(৪) এবং ৯(২); যেখানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যগণ লেখা আছে, সেগুলো অসাংবিধানিক ও অবৈধ ঘোষণার প্রার্থনা জানানো হয়েছে রিটে। আইনের মাধ্যমে ইতোমধ্যে তারা যেসব সুবিধা ভোগ করেছেন এবং যেসব সম্পত্তি বিশেষ সুবিধায় পেয়েছেন, তা পুনরুদ্ধার করার আবেদনও রয়েছে।

এছাড়া, অতি দ্রুত আইনসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, অর্থসচিব, বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনীর ডিজিকে ‘জাতির পিতার পরিবার-সদস্যদের বিশেষ নিরাপত্তা বিধান’ বন্ধ করার প্রার্থনাও করা হয়।

রিট আবেদনকারী জানান, আইনসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, অর্থসচিব, বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনীর ডিজিকে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে জাতির পিতার পরিবার-সদস্যরা যেসব সুবিধা ভোগ করেছেন, সে জন্য রাষ্ট্রের খরচ নিরূপণ এবং যেসব সম্পত্তি বিশেষ সুবিধায় তারা পেয়েছেন, এর একটা প্রতিবেদন তৈরি করে আদালতে দাখিল করার প্রার্থনাও জানানো হয়েছে।

রিটে আইনসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, অর্থসচিব, বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনীর ডিজি এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক, মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক ও আজমিনা সিদ্দিককে বিবাদী করা হয়েছে।