ঢাকা ১০:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালালো পাকিস্তান

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ০৫:২২:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫ ১৮ বার পড়া হয়েছে

ভারতের সঙ্গে চলমান তীব্র উত্তেজনার মধ্যে আবারও ফাতাহ নামে একটি ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে পাকিস্তান।

জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলার ঘটনায় ভারতের সঙ্গে চলমান তীব্র উত্তেজনার মধ্যে সোমবার (৫ মে) এ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে পাকিস্তান।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন জানিয়েছে, সোমবার পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী ভূমি থেকে ভূমিতে আঘাত হানতে সক্ষম ওই ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায়।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, পাকিস্তান সোমবার সফলভাবে ১২০ কিলোমিটার পাল্লার ফাতাহ সিরিজের ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রের উৎক্ষেপণ সম্পন্ন করেছে। এই উৎক্ষেপণটি চলমান সামরিক মহড়া “এক্স ইন্ডাস”-এর অংশ হিসেবে অনুষ্ঠিত হয়।

পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মিডিয়া উইং আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, এই উৎক্ষেপণের মূল উদ্দেশ্য ছিল সেনাবাহিনীর যুদ্ধ প্রস্তুতি নিশ্চিত করা এবং ক্ষেপণাস্ত্রটির উন্নত ন্যাভিগেশন সিস্টেম ও নির্ভুল লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার সক্ষমতাসহ বিভিন্ন প্রযুক্তিগত বৈশিষ্ট্য যাচাই করা।

দ্য ডন বলছে, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, কৌশলগত সংস্থার বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীদের উপস্থিতিতে ক্ষেপণাস্ত্রটির উৎক্ষেপণ করা হয়।

পরে জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটির চেয়ারম্যান ও সেনাবাহিনী প্রধান ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণে অংশগ্রহণকারী সেনা সদস্য, বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীদের অভিনন্দন জানান এবং দেশের আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় সেনাবাহিনীর প্রস্তুতির ওপর পূর্ণ আস্থা প্রকাশ করেন।

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম বলছে, ফাতাহ সিরিজের এই ক্ষেপণাস্ত্রটি পাকিস্তানের কৌশলগত অস্ত্রভাণ্ডারের একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন।

এটি উন্নত ন্যাভিগেশন সিস্টেম ও টার্মিনাল গাইডেন্স প্রযুক্তির মাধ্যমে শত্রুর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এড়িয়ে নির্ভুলভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।

উল্লেখ্য, এর আগে পাকিস্তান ৪০০ কিলোমিটার পাল্লার ফাতাহ-২ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল উৎক্ষেপণ সম্পন্ন করেছিল, যা বর্তমানে সেনাবাহিনীর আর্টিলারি ইউনিটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

সাম্প্রতিক সময়ে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে এই উৎক্ষেপণটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা প্রদর্শনের একটি কৌশলগত পদক্ষেপ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ফের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালালো পাকিস্তান

আপডেট সময় : ০৫:২২:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫

ভারতের সঙ্গে চলমান তীব্র উত্তেজনার মধ্যে আবারও ফাতাহ নামে একটি ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে পাকিস্তান।

জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলার ঘটনায় ভারতের সঙ্গে চলমান তীব্র উত্তেজনার মধ্যে সোমবার (৫ মে) এ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে পাকিস্তান।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন জানিয়েছে, সোমবার পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী ভূমি থেকে ভূমিতে আঘাত হানতে সক্ষম ওই ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায়।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, পাকিস্তান সোমবার সফলভাবে ১২০ কিলোমিটার পাল্লার ফাতাহ সিরিজের ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রের উৎক্ষেপণ সম্পন্ন করেছে। এই উৎক্ষেপণটি চলমান সামরিক মহড়া “এক্স ইন্ডাস”-এর অংশ হিসেবে অনুষ্ঠিত হয়।

পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মিডিয়া উইং আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, এই উৎক্ষেপণের মূল উদ্দেশ্য ছিল সেনাবাহিনীর যুদ্ধ প্রস্তুতি নিশ্চিত করা এবং ক্ষেপণাস্ত্রটির উন্নত ন্যাভিগেশন সিস্টেম ও নির্ভুল লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার সক্ষমতাসহ বিভিন্ন প্রযুক্তিগত বৈশিষ্ট্য যাচাই করা।

দ্য ডন বলছে, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, কৌশলগত সংস্থার বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীদের উপস্থিতিতে ক্ষেপণাস্ত্রটির উৎক্ষেপণ করা হয়।

পরে জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটির চেয়ারম্যান ও সেনাবাহিনী প্রধান ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণে অংশগ্রহণকারী সেনা সদস্য, বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীদের অভিনন্দন জানান এবং দেশের আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় সেনাবাহিনীর প্রস্তুতির ওপর পূর্ণ আস্থা প্রকাশ করেন।

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম বলছে, ফাতাহ সিরিজের এই ক্ষেপণাস্ত্রটি পাকিস্তানের কৌশলগত অস্ত্রভাণ্ডারের একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন।

এটি উন্নত ন্যাভিগেশন সিস্টেম ও টার্মিনাল গাইডেন্স প্রযুক্তির মাধ্যমে শত্রুর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এড়িয়ে নির্ভুলভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।

উল্লেখ্য, এর আগে পাকিস্তান ৪০০ কিলোমিটার পাল্লার ফাতাহ-২ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল উৎক্ষেপণ সম্পন্ন করেছিল, যা বর্তমানে সেনাবাহিনীর আর্টিলারি ইউনিটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

সাম্প্রতিক সময়ে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে এই উৎক্ষেপণটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা প্রদর্শনের একটি কৌশলগত পদক্ষেপ।