ঢাকা ০৫:০১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রধান উপদেষ্টার কাছে যে আবদার করলেন সাবিনারা

ক্রীড়া ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : ০৪:৩০:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪ ১৩ বার পড়া হয়েছে

পরপর দুবার দক্ষিণ এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলার মেয়েরা। কিন্তু সেই মেয়েরাই নানাভাবে অবহেলিত। আবাসন সমস্যা থেকে বেতন বকেয়া-এমন নানা সমস্যা জর্জরিত চ্যাম্পিয়ন মেয়েরা।

এবার নারী ফুটবলারদের সব সমস্যার কথা শুনেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি মেয়েদের সমস্যা সমাধান আশ্বাস দিয়ে লিখিত আকারে অভিযোগ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

সাক্ষাতে সাবিনা খাতুনরা পরিবারের জন্য ঢাকায় আবাসন সুবিধাও চেয়েছেন উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে। এ ছাড়া বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়ের এলাকায় সংস্কারসহ তাদের খেলা সংক্রান্ত কিছু চাহিদাও বৈঠকে তুলে ধরা হয়।

সাক্ষাৎ শেষে বাফুফে ভবনে ফিরে অধিনায়ক সাবিনা খাতুন ও ম্যানেজার মাহমুদা আক্তার অনন্যা মিডিয়ার সামনে এসেছিলেন। এবার সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর নারী ফুটবলরাদের মধ্যে ঢাকায় স্থায়ী আবাসনের একটা চাহিদা উঠে এসেছে।

শনিবার (২ নভেম্বর) অধিনায়ক সাবিনা খাতুন প্রধান উপদেষ্টাকে সেটি বলেছেন বলে জানান, ‘আমাদের পরিবারের অনেকে ঢাকায় আসে, কিন্তু তাদের থাকার জায়গা থাকে না। তাই প্রধান উপদেষ্টাকে অনুরোধ করেছি আমাদের পরিবারের জন্য একটি আবাসন ব্যবস্থার।’

ঢাকায় আবাসন ব্যবস্থার পাশাপাশি অনেক ফুটবলারের নিজ জেলার আবাসনও খুব নাজুক। অনেকের ঘর ভাঙা আবার অনেকের বাড়ির পথ দুর্গম। পাহাড়ি এলাকায় অনেকের বাড়িতে নেই বিদ্যুৎ-ও। ব্যক্তিগত সমস্যাও প্রধান উপদেষ্টার কাছে তুলে ধরেছেন ফুটবলাররা।

সাবিনা বলেন, ‘মারিয়া, কৃষ্ণা, মনিকা, মাসুরাসহ অনেকেই ব্যক্তিগত সমস্যার কথা বলেছে। যেমন মনিকার বাড়িতে যাওয়ার রাস্তা খারাপ এবং সেই এলাকার বিদ্যুৎ সমস্যা।’

ব্যক্তিগত ও কমন চাহিদার পাশাপাশি ফুটবলের কিছু বিষয় নিয়েও আলাপ করেছেন নারী ফুটবলাররা। ফুটবলের প্রধান ভেন্যু বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম এখনও সংস্কারাধীন। বাফুফে ভবনের পাশে টার্ফ ও কমলাপুর স্টেডিয়ামের টার্ফও অকেজো প্রায়।

তাই নারীদের খুব ভোরে মতিঝিল থেকে বসুন্ধরায় যেতে হয়। নারী ফুটবলারদের অভাব-অভিযোগ মনোযোগ সহকারে শুনে লিখিত আকারে দিতে বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা, ‘তিনি আমাদের প্রতিটি বিষয় মনোযোগ দিয়ে জেনেছেন। সবগুলো লিখিত দিতে বলেছেন এবং সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা ক্রীড়া উপদেষ্টার মাধ্যমে এই চিঠি দেব।’

নারী ফুটবলারদের সবচেয়ে বড় সমস্যা প্রীতি ম্যাচ খেলার সুযোগ কম পাওয়া। আর্থিক কারণে বাফুফে ম্যাচ আয়োজন করতে পারে না। তাই সরকারকে বাফুফের সহায়তা করার কথাও বলেছেন নারী ফুটবলাররা, ‘আমাদের মূলত দেখভাল করবে ফেডারেশন। নতুন সভাপতি তাবিথ (আউয়াল) স্যারকে আমাদের প্রয়োজনীয় সমস্যার কথা বলব। সামগ্রিকভাবে নারী ও পুরুষ উভয় ফুটবল দলের জন্য সরকারের সহায়তা চেয়েছি।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

প্রধান উপদেষ্টার কাছে যে আবদার করলেন সাবিনারা

আপডেট সময় : ০৪:৩০:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪

পরপর দুবার দক্ষিণ এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলার মেয়েরা। কিন্তু সেই মেয়েরাই নানাভাবে অবহেলিত। আবাসন সমস্যা থেকে বেতন বকেয়া-এমন নানা সমস্যা জর্জরিত চ্যাম্পিয়ন মেয়েরা।

এবার নারী ফুটবলারদের সব সমস্যার কথা শুনেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি মেয়েদের সমস্যা সমাধান আশ্বাস দিয়ে লিখিত আকারে অভিযোগ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

সাক্ষাতে সাবিনা খাতুনরা পরিবারের জন্য ঢাকায় আবাসন সুবিধাও চেয়েছেন উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে। এ ছাড়া বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়ের এলাকায় সংস্কারসহ তাদের খেলা সংক্রান্ত কিছু চাহিদাও বৈঠকে তুলে ধরা হয়।

সাক্ষাৎ শেষে বাফুফে ভবনে ফিরে অধিনায়ক সাবিনা খাতুন ও ম্যানেজার মাহমুদা আক্তার অনন্যা মিডিয়ার সামনে এসেছিলেন। এবার সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর নারী ফুটবলরাদের মধ্যে ঢাকায় স্থায়ী আবাসনের একটা চাহিদা উঠে এসেছে।

শনিবার (২ নভেম্বর) অধিনায়ক সাবিনা খাতুন প্রধান উপদেষ্টাকে সেটি বলেছেন বলে জানান, ‘আমাদের পরিবারের অনেকে ঢাকায় আসে, কিন্তু তাদের থাকার জায়গা থাকে না। তাই প্রধান উপদেষ্টাকে অনুরোধ করেছি আমাদের পরিবারের জন্য একটি আবাসন ব্যবস্থার।’

ঢাকায় আবাসন ব্যবস্থার পাশাপাশি অনেক ফুটবলারের নিজ জেলার আবাসনও খুব নাজুক। অনেকের ঘর ভাঙা আবার অনেকের বাড়ির পথ দুর্গম। পাহাড়ি এলাকায় অনেকের বাড়িতে নেই বিদ্যুৎ-ও। ব্যক্তিগত সমস্যাও প্রধান উপদেষ্টার কাছে তুলে ধরেছেন ফুটবলাররা।

সাবিনা বলেন, ‘মারিয়া, কৃষ্ণা, মনিকা, মাসুরাসহ অনেকেই ব্যক্তিগত সমস্যার কথা বলেছে। যেমন মনিকার বাড়িতে যাওয়ার রাস্তা খারাপ এবং সেই এলাকার বিদ্যুৎ সমস্যা।’

ব্যক্তিগত ও কমন চাহিদার পাশাপাশি ফুটবলের কিছু বিষয় নিয়েও আলাপ করেছেন নারী ফুটবলাররা। ফুটবলের প্রধান ভেন্যু বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম এখনও সংস্কারাধীন। বাফুফে ভবনের পাশে টার্ফ ও কমলাপুর স্টেডিয়ামের টার্ফও অকেজো প্রায়।

তাই নারীদের খুব ভোরে মতিঝিল থেকে বসুন্ধরায় যেতে হয়। নারী ফুটবলারদের অভাব-অভিযোগ মনোযোগ সহকারে শুনে লিখিত আকারে দিতে বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা, ‘তিনি আমাদের প্রতিটি বিষয় মনোযোগ দিয়ে জেনেছেন। সবগুলো লিখিত দিতে বলেছেন এবং সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা ক্রীড়া উপদেষ্টার মাধ্যমে এই চিঠি দেব।’

নারী ফুটবলারদের সবচেয়ে বড় সমস্যা প্রীতি ম্যাচ খেলার সুযোগ কম পাওয়া। আর্থিক কারণে বাফুফে ম্যাচ আয়োজন করতে পারে না। তাই সরকারকে বাফুফের সহায়তা করার কথাও বলেছেন নারী ফুটবলাররা, ‘আমাদের মূলত দেখভাল করবে ফেডারেশন। নতুন সভাপতি তাবিথ (আউয়াল) স্যারকে আমাদের প্রয়োজনীয় সমস্যার কথা বলব। সামগ্রিকভাবে নারী ও পুরুষ উভয় ফুটবল দলের জন্য সরকারের সহায়তা চেয়েছি।’